বন্যা: জার্মানিতে মৃত বহু, উদ্ধারে সেনা, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসও আক্রান্ত
ভয়াবহ বন্যা জার্মানি সহ ইউরোপের দেশগুলিতে। জার্মানিতে অন্তত ৮১ জন মারা গেছেন। জার্মানিতে ছয়টি বাড়ি ভাঙল। ২০টি ভাঙার মুখে। বন্যায় আক্রান্ত বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসও।
বন্যার তাণ্ডব
জার্মানিতে বন্যার তাণ্ডবে অনেকে মারা গেছেন। রাস্তা ভেঙে গেছে। বাড়ি ধসে পড়েছে। নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া সহ দুইটি রাজ্য বন্যায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
জার্মানিতে মৃত অন্তত ৮১ জন
জার্মানিতে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা অন্ততপক্ষে ৮১ জন। এক হাজার ৩০০ মানুষের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে প্রশাসনের বক্তব্য, ফোনের সিগন্যাল নেই বলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
বাঁধ ছাপিয়ে জল
রুর নদীর উপর ২৫৩ ফুট উঁচু বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকছে নদীতে। ফলে রুর নদী বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসাতে পারে। বাঁধের আশপাশের গ্রামগুলি খালি করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আরো একটি বাঁধের জল উপচে পড়েছে নদীতে। ফলে বন্যার তাণ্ডব আরো বাড়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
ভাঙা রাস্তায় নদীর জল
বন্যায় রাস্তা ভেঙে গেছে। ভাঙা রাস্তায় নদীর জল।
শুধু ধ্বংসের ছবি
বন্যার জলে ভেঙে গেছে বাড়ি, চারপাশে শুধু ধ্বংসের ছবি।
উদ্ধারে সেনা
বন্যাক্রান্ত এলাকায় উদ্ধারের জন্য সেনা নেমেছে।
ম্যার্কেল-বাইডেনের শোকবার্তা
জার্মানির চ্যান্সেলার ম্যার্কেল এখন অ্যামেরিকা সফরে। হোয়াইট হাউসে আলোচনার পর তারা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই তারা শোক প্রকাশ করেন। ম্যার্কেল বলেন, ''ছোট নদীগুলি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। আজকের দিনটা ভয়, হতাশা, কষ্টের দিন।'' বাইডেন শোকপ্রকাশ করে বলেন, ''আমাদের হৃদয় স্বজন হারানো মানুষের পাশে রয়েছে।''
লুক্সেমবুর্গের অবস্থা
লুক্সেমবুর্গের অবস্থা ভয়াবহ। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু বাড়ি আর বাসযোগ্য নেই।
বেলজিয়ামে শহরের রাস্তায় জলস্রোত
বেলজিয়ামের ছবি। শহরের রাস্তাই নদীতে পরিণত হয়েছে। দশ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বেলজিয়ামেও মৃত বহু
বেলজিয়ামেও বন্যার ফলে অনেকে মারা গেছেন। চকিতে বন্যা এসেছে বলে মানুষ অপ্রস্তুত ছিলেন। তিনজন বয়স্ক মানুষকে নিয়ে যখন একটি নৌকা আসছিল, তখন তা ডুবে যায়। তার ফলে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
ফ্রন্স, নেদারল্যান্ডসেও বন্যা
বন্যার কবল থেকে রক্ষা পায়নি ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসও। তবে তাদের তাদের অবস্থা জার্মানির মতো অতটা খারাপ নয়। উপরের ছবিটি জার্মানির।