1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেশে-বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

৭ মে ২০১৮

সব নাগরিকের কাছে বন্দুক থাকলে সন্ত্রাসবাদ, অপরাধের মোকাবিলা করা সহজ হয়৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন যুক্তি তুলে ধরে দেশে-বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷

https://p.dw.com/p/2xH8f
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/M. Candelori

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক, পিস্তলসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও তার সরঞ্জাম প্রায় অবাধে কেনা যায়৷ মার্কিন সংবিধানের একটি ধারাকে আঁকড়ে ধরে এই অধিকারের প্রবক্তারা কোনো রকম নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করে চলেছে৷ এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সংগঠন ‘ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন’ শক্তিশালী লবি হিসেবে এতকাল বন্দুক নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় উদ্যোগ ব্যর্থ করে এসেছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টরাও তাদের চাপের মুখে অসহায়৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংগঠন ও তাদের মূল্যবোধের জোরালো প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন৷

শুক্রবার সদস্যদের সামনে এক ভাষণে ট্রাম্প অবাধ বন্দুক বিক্রির পক্ষে সওয়াল করতে ফ্রান্স ও ব্রিটেনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন৷ তাঁর যুক্তি, কড়া বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন না থাকলে ২০১৫ সালে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা সম্ভবত অনেক সহজে প্রতিহত করা সম্ভব হতো৷ যারা হামলার শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কারো হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকলে সন্ত্রাসবাদীরা তাণ্ডব চালাতে পারতো না৷ এ প্রসঙ্গে ব্রিটেনে হ্যান্ডগানের উপর নিষেধাজ্ঞারও সমালোচনা করেন তিনি৷ তাঁর মতে, সে কারণেই সে দেশে ছুরি-হামলা বেড়ে গেছে৷

ফ্রান্স ও ব্রিটেনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য সমালোচনার ঝড় তুলেছে৷ ফ্রান্সের সরকার এক বিবৃতিতে তার প্রতিফলন ঘটিয়েছে৷ যেসব মানুষ ২০১৫ সালের ১৩ই নভেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন, বিবৃতিতে তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার দাবি করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আগ্নেয়াস্ত্রের উপর কড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য ফ্রান্স অত্যন্ত গর্বিত৷

ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো ল্য মেয়ার বলেন, ট্রাম্প নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইবেন বলে তিনি আশা করেন৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড়া পরাশক্তির প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর এমন মন্তব্য একেবারেই খাপ খায় না৷ ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে লজ্জাজনক ও অশ্লীল হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷

ব্রিটেনেও ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিবাদে বিভিন্ন মহল সোচ্চার হয়ে উঠেছে৷ চলতি বছরে লন্ডন শহরে ছুরি চালিয়ে অপরাধের সংখ্যা বেড়ে গেছে৷ শহরের এক হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক মার্টিন গ্রিফিথস সম্প্রতি ভয়াবহ পরিস্থিতির উল্লেখ করেছিলেন৷ ট্রাম্প সেই উক্তির ভিত্তিতেই এমন বেফাঁস মন্তব্য করেন৷ সেই ভাষণ শুনে গ্রিফিথস বলেন, ট্রাম্প সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্তে এসেছেন৷ হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ছুরির মোকাবিলা করতে বন্দুক মোটেই কোনো সমাধানসূত্র হতে পারে না৷  

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)