বন শহরে বেঠোফেন উৎসব
কালজয়ী সংগীত সম্রাট লুডভিগ ফন বেঠোফেনের জীবন ও কাজ নিয়ে আগামী সপ্তাহে জার্মানিতে বড় ধরনের প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে৷ জার্মানির বন শহরে জন্ম গ্রহণ করা বেঠোফেনের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের আয়োজনও চলছে জোরেশোরে৷
বিখ্যাত প্রতিকৃতি
১৮১৯ সালে য়োজেফ স্টিলার তেল রঙে বেঠোফেনের একটি প্রতিকৃতি আঁকেন৷ পরবর্তীতে যা জগৎজুড়ে ব্যাপক খ্যাতি পায়৷ ছবিতে বেঠোফেনকে গান কম্পোজ করতে দেখা যাচ্ছে৷ বনের ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারিতে ছবিটি প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে৷
দূরের প্রিয়জন
বেঠোফেনের হাতে লেখা গানের বই ‘অ্যান ডি অ্যানফিয়ান্ত গিলিবতা’ (দূরের প্রিয়জনের কাছে) প্রদর্শনীতে রাখা হবে৷ বেঠোফেনের রহস্যেঘেরা এই প্রিয়জন কে ছিলেন তা নিয় এখনো পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে৷
বেঠোফেন কিচ
আজীবনই জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা বেঠোফেনের এই গ্লাসটি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে ধার করা৷ জীবনের শেষ সময়টা সেখানেই কাটিয়েছেন তিনি৷ গ্লাসের গায়ে ‘ঔড টু জয়’র নোটস দেখা যাচ্ছে৷
বেঠোফেনের বাড়ি পুনরুদ্ধার
পুনরুদ্ধারের তিন বছর পর প্রায় ৩৫ কোটি টাকা খরচ করে সংস্কার করা বেঠোফেনের বাড়ি এখন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় জাদুঘরে পরিণত হয়েছে৷ ছবিতে বেঠোফেনের একটি ‘প্লাস্টার কাস্ট’ দেখা যাচ্ছে৷ আলোকচিত্র আবিষ্কারের আগে তিনি এভাবেই নিজের চেহারা সংরক্ষণ করেছেন৷
বেঠোফেনের শেষ পিয়ানো
বেঠোফেনের বাড়ির সবগুলো কক্ষই একটি নির্দিষ্ট থিমের ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে৷ তারমধ্যে একটি কক্ষ এই সুরকারের কাজ নিয়ে সংগ্রাম এবং তার কাজের ধরন দিয়ে সাজানো, যেখানে তার শেষ পিয়ানটিও স্থান পেয়েছে৷
দর্শণার্থীরা শুনতেও পারবেন
শুধু দেখা নয়, প্রদর্শনীতে বেঠোফেনের অমর সৃষ্টিগুলো শুনতেও পারবেন৷ এজন্য দর্শণার্থীরা নিজের পছন্দের মাধ্যম বেছে নিতে পারবেন৷
বেঠোফেনের জীবনযাত্রা
এই কক্ষে বেঠোফেনের দৈনন্দিন জীবন কেমন ছিল তা তুলে ধরা হয়েছে৷ ২২ বছর বয়সে তিনি বন থেকে ভিয়েনা চলে যান এবং সেখানে বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেছেন৷