1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বদরুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৮ মার্চ ২০১৭

কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের উপর হামলা হওয়ার পাঁচ মাস পাঁচ দিন পর তাকে হত্যা চেষ্টার দায়ে বদরুল আলমের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজার রায় দিয়েছে আদালত৷ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন খাদিজা৷

https://p.dw.com/p/2Yp7G
ফাইল ফটো
ফাইল ফটোছবি: bdnews24.com

বুধবার সকালে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন৷ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি বদরুলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শেষে বের হয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন৷ হামলকারী বদরুল আলম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন৷ তার ধারালো অস্ত্রের আঘাত খাদিজার মাথার খুলি ভেদ করে মস্তিষ্ককেও জখম করেছিল৷ স্কয়ার হাসপাতালে তিন দফা অস্ত্রোপচারের পর এখন অনেকটা সুস্থ খাদিজা৷ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি সিলেটে তার বাড়ি ফিরে গেছেন৷

খাদিজার উপর হামলার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল৷

সকালে রায়ের পর দুপুরে নিজ বাড়িতে খাদিজা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আদালতের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা৷ এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট৷ দেশের মানুষের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞতা জানাই৷ আমি আবার লেখাপড়া করতে চাই৷''

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই রায় পাওয়ায় আরও খুশি তিনি৷ খাদিজা বলেন, ‘‘এ দিনে বাংলাদেশের সকল নারীর প্রতি আমার আহ্বান হলো, আমার মতো যেন আর কেউ এমন পরিস্থিতির শিকার না হয়৷ এ জন্য সবাই যেন সচেতন হন৷''

রায়ের পর্যবেক্ষণেও নারী দিবসের বিষয়টি উঠে এসেছে৷ আদালত বলেছে, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার নারী৷ সর্বস্তরে যখন নারীরা সাফল্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে তারা অরক্ষিত, নির্যাতিত৷ দেশের অগ্রযাত্রায় নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য৷'' খাদিজার ওপর এমন নৃশংস হামলা প্রমাণ করে নারীরা কতটা অরক্ষিত৷

এদিকে, মামলার বাদী খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুসও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ তবে তাঁর কামনা আইনের ফাঁকে যাতে এ রায় বদল না হয়৷

খাদিজার মা মনোয়ারা বেগমও রায়ে সান্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ তবে খাদিজার ভাই শরনান হক শাহীন সাংবাদিকদের জানান, বদরুলের ফাঁসি হলে তিনি সন্তুষ্ট হতেন৷

এই রায় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ রুবি চৌধুরী মনে করছেন, খাদিজাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় বদরুল তার প্রাপ্য সাজাই পেয়েছে৷ তবে শাখাওয়াৎ রাসেল তা মনে করছেন না৷ ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘বদরুলরা বারবার বেঁচে যায়, তাই খাদিজারা বারবার কোপান খায়৷'' এদিকে, তোফায়েল সুমনের প্রশ্ন, ‘‘আচ্ছা, যদি খাদিজা মারা যেতেন, তবে কি বদরুল সাহেবের ফাঁসি হতো?''

জেডএইচ/এসিবি (বিডিনিউজ, প্রথম আলো)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য