1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বড় ধাক্কা সেরাম ইনস্টিটিউটের

১ জুলাই ২০২১

শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করেও তার ট্রায়ালের অনুমতি পেল না ভারতের সব চেয়ে বড় টিকা তৈরির সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট।

https://p.dw.com/p/3vqkV
ভ্যাকসিন
ছবি: Md Rafayat H. Khan/Zuma/imago images

ভারতে এই মুহূর্তে তিনটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। একটি ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন, দ্বিতীয়টি সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ড এবং তৃতীয় রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক। এছাড়াও দুইটি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ার অপেক্ষায়। সেরামেরই তৈরি কোভোভ্যাক্স এবং জাইডাস ক্যাডিলার জাইকভ ডি। সিরাম জানিয়েছিল, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বড়দের ব্যবহারের জন্য কোভোভ্যাক্স বাজারে চলে আসবে। জাইডাসের টিকা তারও আগে চলে আসার কথা।

কিন্তু বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের কাছে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে সেরাম। দুই থেকে ১১ বছরের ৪৬০ জন এবং ১১ থেকে ১৭ বছরের ৪৬০ জনের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে কোভোভ্যাক্সের ট্রায়াল চালাতে চেয়েছিল সেরাম। কেন্দ্র সেই অনুমতি দেয়নি। কেন্দ্র জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত কোভোভ্যাক্স কোনো দেশে ছাড়পত্র পায়নি। এই টিকাটি আদৌ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পাবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে টিকাটি শিশুদের উপর পরীক্ষা করা যাবে না। ১৮ বছরের উপরের ব্যক্তিদের উপর এই টিকার প্রভাব কী পড়েছে, তা আগে কেন্দ্রকে জানাতে হবে। তার পর স্থির হবে আদৌ শিশুদের উপর এই টিকার পরীক্ষা করতে দেওয়া হবে কি না।

কিছুদিন আগে অ্যামেরিকার নোভ্যাক্স সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোভোভ্যাক্স তৈরির কাজ শুরু করেছিল সেরাম। তখনই সেরামের প্রধান আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে। কিন্তু সরকারের নতুন এই বক্তব্যে পুরো বিষয়টি নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

ভারতীয় ভ্যাকসিন নিয়ে কূটনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে। ইউরোপ ভারতের কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন কোনোটিই আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত টিকার তালিকায় রাখেনি। ফলে এই ভ্যাকসিন নিয়ে ইউরোপ যাওয়া যাবে না। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ইউরোপের উপর চাপ তৈরি করেছে। বিষয়টি কার্যত কূটনৈতিক সংঘাতের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)