বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাবে রবীন্দ্রনাথের সংগঠন
৭ মার্চ ২০২০রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল, অতুল প্রসাদ সেনরা তৈরি করেছিলেন এই সংগঠন। প্রথমে নাম ছিল প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন, পরে তা বদলে হয় নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন। শতবর্ষের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা এই সংগঠন এ বার আরেক অনন্য বাঙালির জন্মশতবর্ষ পালন করছে। তিনি হলেন, শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশে তো'মুজিব-বর্ষ' পালন করা হচ্ছে। তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতও পিছিয়ে নেই। এখানেও সম্মান জানানো হচ্ছে বাংলাদেশের রূপকারকে।
নতুন দিল্লিতে আগামী ৪ থেকে ৭ এপ্রিল নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের বার্ষিক অধিবেশন হবে। সেখানেই একটা দিন রাখা হয়েছে শেখ মুজিবের জন্ম শতবর্ষ পালন করার জন্য। আর ওই দিন অধিবেশনে থাকার কথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তাঁর স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
আগামী ৪ এপ্রিল নিউ দিল্লি কালীবাড়িতে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বাংলাদেশ থেকে পঞ্চাশ সদস্যের প্রতিনিধিদলেরও আসার কথা। সম্মেলনের সভাপতি এবং কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘এ বার তিনজন মহান মানুষের স্মরণে তিনটি দিন রাখা হয়েছে। ৫ তারিখ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবার্ষিকী পালন করা হবে, ৬ তারিখ জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধা জানানো হবে শেখ মুজিবকে এবং শেষ দিন অর্থাৎ ৭ এপ্রিল রাখা হয়েছে গান্ধীজির জন্য। ১৫০ তম জন্ম বার্ষিকীতে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।’’
প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের প্রথম অধিবেশেনে সভাপতিত্ব করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এর সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন কাজী নজরুল, অতুল প্রসাদরা। এই সংগঠনের একটা ঐতিহ্য আছে, ইতিহাস আছে। বাংলার বাইরে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চাকে তুলে ধরতেই তৈরি হয়েছিল এই সংগঠন। এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তখন থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু যে গভীর তাই নয়, আর পাঁচটা দেশের থেকেও একেবারে আলাদা। বাংলাদেশ হল ভারতের সব চেয়ে ভরসার এবং সব চেয়ে নির্ভরযোগ্য ও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। আর বাংলাদেশের নির্মাতা বঙ্গবন্ধুর স্থান আমাদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী। তাই জন্মশতবর্ষে শেখ মুজিবকে সম্মান জানানো মানে সমগ্র বাঙালি জাতিকেই সম্মান জানানো।’’