বক্সিংয়ে ইয়াজিদি মেয়েদের মুক্তির আনন্দ
জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর হামলার পর তাঁদের জীবনে নেমেছিল চরম বিপর্যয়৷ মানতে বাধ্য হয়েছিল বন্দি জীবন৷ অনেকেই হয়েছেন ধর্ষণের শিকার৷ কেউ পালিয়ে বেঁচেও থেকেছেন আতঙ্কে৷ইয়াজিদি মেয়েদের সেই অতীত ভুলিয়ে দিচ্ছে বক্সিং৷
যেভাবে শুরু
আইএস যুদ্ধে হেরে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর ইরাকে কাজ শুরু করে ব্রিটেনের এনজিও লোটাস ফ্লাওয়ার৷ ২০১৮ সালে তাদের উদ্যোগেই শুরু হয় বক্সিং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি৷ কর্মসূচির নাম দেয়া হয় ‘বক্সিং সিস্টার্স’৷ আইএস জঙ্গিদের নির্যাতনের শিকার ইয়াজিদি মেয়েরাই মূলত বক্সিং শিখছেন সেখানে৷
হুসনার আশ্রয়
লোটাস ফ্লাওয়ারের আঞ্চলিক পরিচালক ভিয়ান আহমেদ জানালেন এক বছরে অনেক ইয়াজিদি নারীই বক্সিং প্রশিক্ষণ শুরু করেছেন৷ তাঁদের অনেকের কাছে বক্সিংই এখন ধ্যান-জ্ঞান৷ হুসনা সাঈদ ইউসেফের কথায় উঠে এলো সেই সত্য৷২০১৪ সালে আইএস-এর হামলা শুরুর পর গ্রাম ছেড়েছিল তার পরিবার৷ হুসনা বললেন, ‘‘অনেক সময়ই বিভীষিকাময় সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে৷ বক্সিং প্রশিক্ষণ আমাকে সেই মুহূর্তগুলো ভুলতে সহায়তা করে৷’’
বক্সিং এখন চিরসঙ্গী
আইএসের হামলা শুরুর আগে নিজের বাড়িতে চাচার কাছে ভারোত্তোলনের প্রশিক্ষন নিতেন হুসনা৷ ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চান৷ তবে ১৮ বছর বয়সি এই তরুণী জানালেন বক্সিং কখনোই ছাড়বেন না৷
অভাবনীয় সাফল্য
শুরুতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইয়াজিদি মেয়েদের বক্সিং প্রশিক্ষণে উদ্বুদ্ধ করতেন লোটাস ফ্লাওইয়ার্সের কর্মীরা৷ এখন আর প্রচারের দরকার পড়ে না৷ নিজের আগ্রহেই যোগ দিচ্ছেন অনেকে৷‘বক্সিং সিস্টার্স’-এর সাফল্যে ভিয়ান আহমেদও অভিভূত৷ দিনে দিনে ব্রিটিশ এনজিওটির কাজের পরিসরও বাড়ছে৷ সম্প্রতি ইয়াজিদি মেয়েদের ইংরেজি ভাষা শেখানোর কাজও শুরু করেছে তারা৷
অভাবনীয় সাফল্য
শুরুতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইয়াজিদি মেয়েদের বক্সিং প্রশিক্ষণে উদ্বুদ্ধ করতেন লোটাস ফ্লাওইয়ার্সের কর্মীরা৷ এখন আর প্রচারের দরকার পড়ে না৷ নিজের আগ্রহেই যোগ দিচ্ছেন অনেকে৷‘বক্সিং সিস্টার্স’-এর সাফল্যে ভিয়ান আহমেদও অভিভূত৷ দিনে দিনে ব্রিটিশ এনজিওটির কাজের পরিসরও বাড়ছে৷ সম্প্রতি ইয়াজিদি মেয়েদের ইংরেজি ভাষা শেখানোর কাজও শুরু করেছে তারা৷