1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্লিনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

২৬ নভেম্বর ২০২০

তাঁদের সম্পর্ক ছিল মাত্র ২৩ দিনের। এফবিআইকে মিথ্যা বলার অভিযোগ ছিল ফ্লিনের বিরুদ্ধে। ক্ষমা করে দিলেন ট্রাম্প।

https://p.dw.com/p/3lqBE
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/M. Reinstein

অ্যামেরিকার সাবেক লেফটন্যান্ট জেনারেল এবং একদা তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করে দিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা এবং সে বিষয়ে এফবিআই এবং ট্রাম্প প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ছিল ফ্লিনের বিরুদ্ধে। যে কারণে তাঁকে পদ থেকে সরিয়েও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিদায়বেলায় ফ্লিনের সেই 'দোষ' ক্ষমা করে দিলেন প্রেসিডেন্ট। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ থাকবে না।

ক্ষমা ঘোষণা করার পরে ট্রাম্প টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফ্লিন এবং তাঁর পরিবারকে। ফ্লিনও টুইট করেছেন বাইবেলের একটি অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে।

ফ্লিনের সঙ্গে ডনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল নাটকীয়। ডেমোক্র্যাটপন্থী হয়েও ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন ফ্লিন। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা এতটাই বেড়েছিল যে, ভোটে জেতার পরের দিনই ফ্লিনের নাম নিজের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক বিষয় ও সামরিক ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের মুখ্য কাউন্সেলর হিসেবে ঘোষণা করেন ট্রাম্প। একাধিক অনুষ্ঠানে সে সময় তাঁদের এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে।

কিন্তু সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চেয়ার পাওয়ার মাত্র ২৩ দিনের মাথায় ফ্লিনকে পদ থেকে সরিয়ে দেন ট্রাম্প। অভিযোগ, ওয়াশিংটনে রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফ্লিন। সেখানে রাশিয়ার উপর জারি করা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কথা হয়েছে। ফ্লিন সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসন সে সময় অভিযোগ করে, ফ্লিন ওই বৈঠকের বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন এবং এফবিআই-এর কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

২০১৭ সালে ফ্লিন দোষ কবুল করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যদিও ২০২০ সালের গোড়ায় ফ্লিন ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন তুলে নেন। তাঁর সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প ক্ষমা করে ফ্লিনের উপর থেকে সমস্ত অভিযোগ তুলে নিলেন।

ফ্লিনের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করছেন ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট মামলাতেও সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, সে ঘটনাতেও ফ্লিনের ভূমিকা ছিল। যদিও এখনো পর্যন্ত সেই মামলায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য প্রমাণ মেলেনি।

সাংবিধানিক ভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ক্ষমা করার অধিকার আছে। বারাক ওবামা আট বছরে ২১২ জনকে ক্ষমা করেছিলেন। চার বছরে ট্রাম্প ক্ষমা করেছেন ২৮ জনকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সব চেয়ে কম ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প।

এসজি/জিএইচ (এপি, এএফপি)