ফ্রান্সের যেসব জায়গায় অবশ্যই যাওয়া উচিত
ফ্রান্স ভ্রমণে প্রতি বছর কত পর্যটক যান, জানেন কি? ৮ কোটি ৩০ লাখ! দেশটির আকর্ষণীয় কয়েকটি গন্তব্যস্থল তুলে ধরা হলো এই ছবিঘরে৷
প্যারিস
সেইন নদীর তীরে ঘোরাঘুরি, লুভরের মোনালিসার প্রেমে পড়া, আর্ক ডি ত্রিয়োম্ফের দিকে তাকিয়ে থাকা অথবা আইফেল টাওয়ার থেকে ফরাসি রাজধানীর সৌন্দর্য উপভোগ: প্যারিসে পর্যটকদের জন্য রয়েছে দেখার অনেক কিছু৷
প্রোভোঁস
সুগন্ধি ল্যাভেন্ডার ক্ষেত, মধ্যযুগের পাহাড়ি গ্রাম, দারুণ আলো৷ প্রোভোঁসে গ্রীষ্মকালে অসাধারণ এসব দৃশ্য দেখতে পাবেন৷ পিকাসো, ফান গখের মতো বিখ্যাত সব চিত্রশিল্পী ছবি আঁকার জন্য এই জায়গাটিকে বেছে নিয়েছিলেন৷ প্রতি বছর এখানে ঘুরতে আসেন ৩ কোটি পর্যটক৷
কুতে ডি’জুওর
বিলাসিতা আর গ্ল্যামারের জন্য এই শহরটি বিখ্যাত৷ ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপের অভিজাতরাই কেবল এখানে ছুটি কাটাতে আসতেন৷ এরপর নামকরা শিল্পীরা আসতে লাগলেন৷ বর্তমানে মার্সেই আর মেতোঁতে অনেকেই ঘুরতে আসেন৷
আল্পস
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে আল্পস পর্বতমালা৷ মঁ ব্লঁ-র চূঁড়া পর্বতারোহীদের কাছে অন্যরকম আকর্ষণ৷
পিরেনে
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমে স্পেন সীমান্তের কাছে এর অবস্থান৷ যাঁরা এখানে সাইকেল চালিয়ে যেতে পারেন, শারীরিক সুস্থতার জন্য তাঁদের বাহবা দিতেই হয়৷
লোয়ার ভ্যালি
ফ্রান্সের দীর্ঘতম নদী লোয়ার রয়েছে এখানে৷ এখানকার ছোট্ট এলাকায় অনেক দুর্গের দেখা পাবেন আপনি৷ ২০০০ সাল থেকে লোয়ার ভ্যালি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ৷
ব্রেতানে
পশ্চিম ফ্রান্সের বোতঁ উপকূলের বন্য সৌন্দর্য আপনাকে পাগল করার জন্য যথেষ্ট৷ এখানকার পরিবর্তনশীল আবহাওয়া ল্যান্ডস্কেপের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়৷
নরম্যান্ডি
এখানে গেলে ইউরোপের সবচেয়ে উত্তাল ঢেউয়ের সাথে পরিচয় হবে আপনার৷ এক একটা ঢেউয়ের উচ্চতা ৪৬ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে৷ বছরের কিছুটা সময় পুরো দ্বীপটি পানিতে ঢাকা থাকে৷ ১৯৭৯ সাল থেকে এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত৷
কুতে দেয়ারজোঁ
এর অর্থ রূপালি উপকূল৷ সমুদ্র সৈকতটি ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ, যেখানে রয়েছে ধবধবে সাদা বালি, যেটা সূর্যের আলোতে রূপালি মনে হয়৷ জায়গাটি যে কারো ভ্রমণের জন্য স্বপ্নের গন্তব্যস্থল হতে পারে৷
বর্দো আর আলসাসের মাঝের আঙুরক্ষেত
যাঁরা মদ্যপানে আগ্রহী, তাঁদের জন্য ফ্রান্স আনন্দের জায়গা৷ কিছু ফরাসি ওয়াইন বিশ্বে মাইলফলক রচনা করেছে৷ এই দেশে ১৪টি ওয়াইন তৈরির এলাকা রয়েছে, যাদের প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য৷ তবে সবচেয়ে ভালো ওয়াইন আসে বর্দো এলাকা থেকে৷