ফ্রান্সের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে?
২৪ এপ্রিল ২০২২ভোট চলবে স্থানীয় সময় রাত ৮টা পর্যন্ত৷ তার পর থেকেই বুথফেরত জরিপ আসতে শুরু করবে।
১২ জন প্রার্থী প্রথম দফা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন৷ ওই দফায় মাক্রোঁ পেয়েছিলেন ২৭.৮৫ শতাংশ ভোট, ল্য পেন পেয়েছিলেন ২৩.১৫ শতাংশ ভোট৷ বামপন্থি জঁ লুক মেলাশঁ পেয়েছিলেন ২১.৯৫ শতাংশ ভোট৷
সবশেষ জরিপ বলছে, মাক্রোঁ ৫৩ থেকে ৫৬ শতাংশ ভোট পাবেন, অন্যদিকে, ল্য পেন ৪৪ থেকে ৪৭ শতাংশ ভোট পেতে পারেন৷ অথচ ২০১৭ সালে মাক্রোঁ ৬৬ শতাংশ এবং ল্য পেন মাত্র ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন৷ সমীক্ষায় মাক্রোঁ এগিয়ে থাকলেও অল্প ব্যবধানের কারণে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে৷
১০ এপ্রিল প্রথম দফা ভোটে কোনো প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বিতীয় দফা ভোট৷ ২০০২ সালের পর, অর্থ্যাৎ জ্যাক শিরাকের পর ফ্রান্সের কোন প্রেসিডেন্ট টানা দুইবার ক্ষমতায় থাকেননি৷ ফ্রান্সে এবার মোট ভোটার ৪ কোটি ৮৭ লাখ৷
বামপন্থি নেতা জঁ লুক মেলাশঁ, যিনি প্রথম দফায় তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন, তিনি মাক্রোঁকে সমর্থন দিতে রাজি হননি, তবে ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছেন যাতে তারা ল্য পেনকে ভোট না দেন৷ ফলে তার যে লাখো কোটি সমর্থক আছে, তারা কাকে ভোট দিবে সেটা এই নির্বাচনে একটা বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
সবশেষ গত বুধবার টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী চরম দক্ষিণপন্থি শিবিরের মারিন ল্য পেন৷ প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই বিতর্কে দুই প্রার্থী ইউরোপের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন৷
বিতর্কে মুসলিম নারীদের হিজাব নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনার কথা জানান পেন৷ মাক্রোঁ এর বিরোধিতা করেন৷ যদিও পেনের টিম নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে জানিয়েছে, এ বিষয়টি তাদের কাছে মুখ্য না৷
ইউরোপপন্থি বলে পরিচিত মাক্রোঁ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আরও শক্তিশালী করে তুলে জোরালো ঐক্যের মাধ্যমে ফ্রান্সের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চান৷ ল্য পেন প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইইউ-কে আরও দুর্বল করে জাতীয় স্তরে ফ্রান্সের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন৷ অভিবাসন ও আইনশৃঙ্খলার মতো ক্ষেত্রেও সরকারের ব্যর্থতার দাবি করেন তিনি৷ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও আন্তর্জাতিক স্তরে দুশ্চিন্তার কারণ৷
এপিবি/এডিকে (এপি, এএফপি, রয়টার্স)