1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে আন্দোলন, বিমানবন্দর নির্মাণ বন্ধ

২৭ জানুয়ারি ২০১৮

সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার ফিলিপ ঘোষণা দেন যে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে৷ একইসঙ্গে রাস্তা ছেড়ে আন্দোলনকারীদের ঘরে ফিরতেও বলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/2rYOH
ছবি: Reuters/S. Mahe

এ ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী৷ আন্দোলনকারীদের শত শত কর্মী উদযাপন করছেন তাদের এ ‘বিজয়'৷ আসছে ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ তাঁরা একটি বিজয় উদযাপনের পার্টিও করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন৷

তবে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা রাস্তা বন্ধ করে গড়ে তোলা অস্থায়ী ক্যাম্প সরিয়ে না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন৷

যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটছে, পশ্চিম ফ্রান্সের সেই নঁতের মেয়র ইয়োহানা ওঁলাদ অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তে খুশি নন৷ তিনি বলেন, জাতীয় সরকার ব্ল্যাকমেইল ও হুমকির কাছে নতজানু হয়ে গেছে৷ এর আগে প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ বলেন, ‘‘নত্রদাম-দে-লন্দ প্রকল্প বাতিল করা হবে৷ এই প্রকল্প নিয়ে যা হয়েছে তাতে এটাই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত৷''

তিনি মনে করেন, ৫০ বছর আগে হাতে নেয়া প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক অনেক আগেই শেষ হওয়া উচিত ছিল৷

বছরের পর বছর ধরে আন্দোলনকারীরা রাস্তা দখল করে যে ক্যাম্প তৈরি করেছে, তা তুলে দেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আগেই এ এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়৷ 

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা দখলে রাখা এলাকাতে সামাজিক, পরিবেশগত ও কৃষিনির্ভর পরীক্ষামূলক কর্মকাণ্ড চালানো যেতে পারে বলে দাবি করেন৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর নিয়ে সিদ্ধান্তে আসা রীতিমতো কঠিন ছিল৷ কারণ, এটি নির্মাণের পক্ষে ও বিপক্ষে দু'রকমই মত আছে৷ কিন্তু আন্দোলনকারীদের উত্তেজনা প্রশমন করতে এই সিদ্ধান্ত দরকার ছিল৷

‘‘গত দশ বছরে এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হয়েছে, তার শেষ হওয়া দরকার৷'' বলেন তিনি৷

যাঁরা এই বিমানবন্দরের পক্ষে, তাঁদের যুক্তি, সেই অঞ্চলের অর্থনৈতিকে গতিশীল রাখতে বড় বিমানবন্দর দরকার৷ আর বিরোধীরা বলছেন, এটার কোনো প্রয়োজন নেই৷ এতে বৈশ্বিকীকরণের অপব্যবহার হবে৷  

প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ জানান,  সে অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে নঁতে ও রেন বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হবে৷

ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলের এই বিমানবন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত হয় ৫০ বছর আগে৷ তখন থেকেই এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন সে অঞ্চলের অনেকেই৷ বিশেষ করে, স্থানীয় অনেক কৃষক এই বিমানবন্দরবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন৷

এর আগে, এই বিমানবন্দর হবে কিনা এ নিয়ে রেফারেন্ডামও হয়েছে৷ তখন বিমানবন্দর তৈরির পক্ষেই সিংহভাগ ভোট পড়েছিল৷ যাঁরা বিমানবন্দরের পক্ষে, তাঁরা বলছেন, সরকারে এ সিদ্ধান্তে গণতন্ত্রের পরাজয় ঘটল৷

তবে ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্থানীয় এক আন্দোলনকারী  বলেন, ‘‘সবচেয়ে সুখের বিষয় হলো, নানা মতের, নানা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার মানুষ এক ছাতার নিচে আসতে পেরেছেন এবং দাবি আদায় করতে পেরেছেন৷ ''

জেডএ/এসিবি (এপি, এএফপি)

প্রতিবেদনটি নিয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷