1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্স ২০১০: দমেনেক’এর শেষ মিশন

১ জুন ২০১০

ফরাসি কোচ রেমঁ দমেনেক স্বদেশে ফ্যানদের দুয়ো শুনে, এক কেলেঙ্কারি বিজড়িত দল নিয়ে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়৷ তাঁকে নিয়ে বিতর্ক তো কম নয় এবং কম দিনের নয়৷

https://p.dw.com/p/NepQ
রেমঁ দমেনেক (মাঝে)ছবি: AP

২০০৮-এর ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্রান্স প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেওয়ার পরই দমেনেক'কেও বিদায় দেওয়ার কথা উঠেছিল - তিনি যে টিঁকে যান, সেটাই আশ্চর্য৷ দমেনেক আবার ব্যাপারটা চরমে তোলেন দলের চূড়ান্ত খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তাঁর বান্ধবী এস্তেল'কে বিয়ের প্রস্থাব দিয়ে, তা'ও আবার টেলিভিশনের পর্দায়৷ এবং সেযাবৎ ফরাসি ফুটবল ফ্যানদের মনোভাব যে বিশেষ বদলায়নি, তার প্রমাণ পাওয়া গেল গত ২৬শে মে লঁস-এ, বিশ্বকাপের আগে স্বদেশে ফরাসি দলের শেষ ওয়ার্ম-আপ খেলায়, কোস্টা রিকা'র বিরুদ্ধে৷ ফ্যানরা দমেনেক'কে দুয়ো দিয়ে কিছু বাকি রাখেনি৷

গোটা কোয়ালিফিকেশনটাই তো ফ্রান্স প্রায় হোঁচট খেতে খেতে পেরিয়েছে৷ এবং থিয়েরি অঁরি'র ‘‘ঈশ্বরের (বাঁ) হাত'' গোলটা ছাড়া আয়ারল্যান্ডও সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হত না, এবং ফ্রান্সও প্লে-অফ মারফৎ দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে পারত না৷ পরে স্তাদ দ্য ফ্রঁস'এর ফ্রেন্ডলি'তে ফ্রান্সকে ফুটবল খেলার একটা পাঠ দিয়েছে স্পেন৷ তা'তেও পার পেয়ে যান দমেনেক৷ কিন্তু ফরাসি ফুটবল সমিতি যে বিশ্বকাপের আগেই লরঁ ব্লঁ'কে তার বদলি হিসেবে ঠিক করে বসে আছে, এর ফলে দমেনেকের কর্তৃত্বের যে কি ঘটবে, তা তিনিই জানেন৷ তবে সম্প্রতি একটি ফরাসি পত্রিকার সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গেছে : ‘‘আপনারা আমাকে বোকা ভাবেন৷ আমি কিন্তু একজন বিদ্রোহী৷''

Flash-Galerie WM Fans Frankreich
ফ্যানরা দমেনেক'কে দুয়ো দিয়ে কিছু বাকি রাখেনিছবি: picture alliance/dpa

দমেনেক যখন তাঁর ২৩ জনের স্কোয়াডের নামকরণ করেন, তখন দেখা যায় যে তিনি করিম বেঞ্জেমা এবং সমির নস্রি'কে সযত্নে বাদ দিয়েছেন, কেননা এই দু'জনই ইউরো ২০০৮-এ তরুণ এবং অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের মধ্যে গোল বাঁধিয়েছিল৷ এর একটি ফল হয়তো এই যে, এবার দলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ২০০৮-এর তুলনায় অনেক ভালো৷ ২৬শে মে কোস্টা রিকা'র বিরুদ্ধে খেলায় দমেনেক তাঁর স্টার্টিং লাইন-আপ থেকে স্বয়ং ক্যাপ্টেন থিয়েরি অঁরি'কে বাদ দেন৷ আরো বড় কথা, দমেনেক তাঁর প্রিয়, ডিফেন্সিভ ৪-২-৩-১ ফর্মেশন ছেড়ে ৪-৩-৩'এ এসেছেন৷ রবিবার টিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ার্ম-আপ খেলাতেও ঐ ৪-৩-৩ পদ্ধতি বজায় থাকে - যদিও ফ্রান্স উইলিয়াম গালাস'এর গোলে কোনোক্রমে ১-১ ড্র করে নিজেদের এবং দমেনেকের মুখরক্ষা করে৷ এবং এবারেও স্টার্টিং লাইন-আপে ক্যাপ্টেন থিয়েরি অঁরি ছিলেন না৷

বোঝা যাচ্ছে যে, নতুন পদ্ধতিতে খেলায় অভ্যস্ত হতে ফ্রান্সের আরো কিছুটা সময় লাগবে : পুরনো পরিভাষায় বলা যায়, একজন স্টপারের বদলে দু'জন স্টপার দিয়ে খেলা৷ কিন্তু তারা এ'ভাবে তাদের সাবধানী, বোরিং ট্যাকটিক্স ছেড়ে বেরোতে পারবে, ঠিক যে ট্যাকটিক্সের জন্য তারা সম্প্রতি নিজেদের ফ্যানদের কাছ থেকে গাল খেয়েছে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ