1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রাঙ্কফুর্ট গাড়িমেলায় প্রাক্তন পূর্ব জার্মানির গাড়ির নব-অভ্যুত্থান

১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯

আজ থেকে ৪০ বছর আগে জিডিআর বা প্রাক্তন পূর্ব জার্মানির প্রথম স্পোর্টস কার তৈরী করা হয়: মেলকুস আরএস ১০০০৷ সেই মেলকুস’কেই সম্পূর্ণ নতুন কলেবরে দেখা গেল আন্তর্জাতিক গাড়ি প্রদর্শনীতে৷

https://p.dw.com/p/JiUx
নতুন মেলকুস আরএস ২০০০ছবি: picture-alliance/ dpa

ড্রেসডেনের রেসিং ড্রাইভার হাইঞ্জ মেলকুস’কে তাঁর ‘‘পূবের ফেরারি’’ তৈরী করার অনুমতি যোগাড় করতে রাজনীতির আশ্রয় নিতে হয়েছিল৷ নয়তো কম্যুনিস্ট দেশে ওরকম চোখ ধাঁধাঁনো স্পোর্টস কার তৈরী করার অনুমতি পাওয়া যেতো না৷ মেলকুস বোঝালেন, গাড়িটা তৈরী হবে জিডিআর-এর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে৷ তার দশ বছর পরেই অবশ্য উৎপাদন বন্ধ করতে হয়, কেননা গাড়ি তৈরীর মালমশলা পাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়৷ এমনকি মেলকুস গাড়ির কিছু কিছু অংশ নাকি এসেছিল পূর্ব জার্মানির অন্য গাড়ি ভার্টবুর্গ থেকে৷

পুনর্জন্ম

জার্মানির পুনর্মিলনের পর হাইঞ্জ মেলকুসের ছেলে পেটার এবং নাতি সেপ মেলকুস মিলে আরএস ১০০০ গাড়িটির একটি নতুন সংস্করণ বার করেন৷ তৈরী হয় মোট ১৫টি৷ এবার তাঁরা বাজারে আনছেন আরএস ২০০০৷ মাত্র ৯৫০ কিলোগ্রাম ওজনের, কিন্তু ৩২০ অশ্বশক্তির গাড়িটি পাঁচ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার স্পিড তুলতে পারে৷ সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ২৭০ কিলোমিটার৷ ফ্রাঙ্কফুর্টে মডেল দেখানোর আগেই নাকি প্রথম কয়েকটি গাড়ি বিক্রী হয়ে গেছে৷ বিদেশ থেকেও জিজ্ঞাসাবাদ এসেছে৷ আপাতত ড্রেসডেনের ঐ গ্যারেজ থেকেই বছরে ২৫টি করে গাড়ি তৈরীর পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ পুরো হাতে তৈরী গাড়ি৷ দাম পড়বে এক লাখ ইউরো মতো৷

ইলেকট্রিক ট্রাবি

ওদিকে প্রাক্তন পূর্ব জার্মানির কিংবদন্তীপ্রতিম জনতার গাড়ি হীনস্য হীন, দীনস্য দীন ট্রাবান্ট বা ট্রাবি’ও এবার বাজারে ফিরছে৷ হালকা নীল রঙের যে ট্রাবান্ট এন-টি’কে ফ্রাঙ্কফুর্টে দেখানো হল, সেটি চলবে দু’সিলিন্ডারের বদলে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে, অর্থাৎ বৈদ্যুতিক গাড়ি৷ গতি হবে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার৷ ব্যাটারি একবার চার্জ করে ১৬০ কিলোমিটার যাওয়া যাবে৷ দাম পড়বে বিশ হাজার ইউরো মতো৷ কিন্তু এ সব তো গাড়ি নয়, এরা অতীতস্মৃতি৷ তার কি কোনো দাম হয়?

প্রতিবেদক অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম