1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুকের রাজনৈতিক ক্ষমতা

জাহিদুল হক২৯ অক্টোবর ২০১২

‘আরব বসন্ত’ প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ফেসবুক তথা সামাজিক মাধ্যমের একটা রাজনৈতিক ক্ষমতা রয়েছে৷ আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের প্রচারেও এসব মাধ্যম ব্যবহৃত হচ্ছে৷ আগামীতে বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে৷ তাতে সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা কী হবে?

https://p.dw.com/p/16YaQ
ছবি: facebook.com

২০০০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পরাজয় নির্ধারিত হয়েছিল মাত্র ৫৩৭ ভোটে৷ এর ফলে জিতে আসা রিপাবলিকানদের আমলে ইরাক ও আফগানিস্তানে দুটো যুদ্ধ হয়েছে৷ কিন্তু সেসময় যদি ডেমোক্রেটরা জিততো তাহলে হয়তো ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো৷ আসন্ন মার্কিন নির্বাচন উপলক্ষ্যে ডেমোক্রেটদের তৈরি করা একটি ভিডিওচিত্রে এমন মন্তব্য করে সবাইকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে৷

২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময় পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে ফেসবুকের কারণে ঐ নির্বাচনে ৬০ হাজার ভোট বেশি পড়েছে৷

Arabische Redaktion jubelt über 150000 Fans
‘আরব বসন্ত’ প্রমাণ করে যে সামাজিক মাধ্যমের একটা রাজনৈতিক ক্ষমতা রয়েছে...ছবি: DW

এই দুটো তথ্য একসঙ্গে বিবেচনা করলে ফেসবুক তথা সামাজিক মাধ্যমের রাজনৈতিক ক্ষমতা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়৷

এবারও নির্বাচন উপলক্ষ্যে ফেসবুক, টইটার, ইউটিউবে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বারাক ওবামা আর মিট রমনি৷ শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রধান দুই প্রার্থীকেও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে৷

সামনে আসছে বাংলাদেশের নির্বাচন৷ তাতে ফেসুবক, টুইটারের কেমন ভূমিকা থাকতে পারে সেটা জানতে চেয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের কাছে৷ তাঁর গবেষণার একটি প্রিয় বিষয় হলো সামাজিক মাধ্যম৷ তিনি বলছেন, অ্যামেরিকার মতো হয়তো প্রভাব সেভাবে বাংলাদেশের নির্বাচনে পড়বে না৷ কেননা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র চার শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে৷ এর মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৮ লক্ষ৷ ফলে নির্বাচনি প্রচারণায় এখনো প্রচলিত ব্যবস্থাগুলোই প্রাধান্য পাবে৷ যেমন মানুষে মানুষে যোগাযোগ, বিজ্ঞাপন, লিফলেট বা রেডিও, টিভিতে এক ধরণের প্রচারণা৷

Mark Zuckerberg
ফেসবুকের নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ...ছবি: AFP/Getty Images

পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমের প্রভাবকেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন৷ ফাহমিদুল হক বলেন, ‘‘ফেসবুক, টুইটার যারা ব্যবহার করেন তারা সমাজের শিক্ষিত লোক৷ তাদের বেশিরভাগই শহরে বাস করেন৷ তারা ‘ওপিনিয়ন লিডার' হিসেবে কাজ করেন৷ অর্থাৎ তাদের কথাকে অন্যরা গুরুত্ব দেয়৷ এছাড়া বিভিন্ন ব্লগেও যেসব লেখা হয় তারও একটা প্রভাব পড়ে পাঠকের মনে৷''

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, তিনি গত ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় ব্লগ নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন৷ সেসময় তিনি দেখতে পান যে, নির্বাচনের সময় ব্লগগুলোতে ক্লিক বেড়ে গিয়েছিল৷ ফাহমিদুল হক বলেন, ‘‘গত নির্বাচনের সময় তরুণ ব্লগারদের লেখায় সাবেক জোট সরকারের দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি প্রতিফলিত হয়েছিল৷ ফলে সেসবের একটা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে নির্বাচনে৷ আর এবার তো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে৷ ফলে এবার আরও বড় আকারে প্রভাব পড়তে পারে৷ বিশেষ করে কোনো কোনো সাংসদের ভাগ্য অনলাইনের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হতে পারে৷''

Week 44/12 Science1 - MP3-Mono

এই গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ বলেন, এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহার বেড়ে যেতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেক মন্ত্রী বা রাজনীতিবিদেরই এখম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷ তারা তার মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন৷ নির্বাচনের সময় তাদের ফেসবুক ব্যবহার আরও বাড়বে বলে আমার ধারণা৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য