1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফের অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কুয়র্ৎস

১ অক্টোবর ২০১৯

দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে চরমপন্থি এফপিও বা ফ্রিডম পার্টির ভরাডুবি হওয়ায় অস্ট্রিয়ায় সাবেক চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুয়র্ৎস আবারো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/3QXzq
Wahl Österreich Sebastian Kurz
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Hochmuth

কুয়র্ৎসের পিপল'স পার্টি (ওভিপি) রোবাবার জাতীয় নির্বাচনে ৩৭ দশিমক ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে৷ ২০১৭ সালের চেয়ে পাঁচ দশমিক ৭০ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে দলটি৷ অস্ট্রিয়ার ছয় দশমিক চার মিলিয়ন মানুষ এবার ভোট দেওয়ার যোগ্য ছিল৷

২০১৭ সালের অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনে জিতে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সি রাষ্ট্রনায়ক হন সেবাস্টিয়ান কুর্ৎস৷ কিন্তু ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হয় তাকে৷

স্পেনের ইবিসা দ্বীপে ২০১৭ সালে ধারণ করা ওই ভিডিওতে জোট সরকারের শরিক এফপিও দলের নেতা ও ভাইস চ্যান্সেলর হাইনৎস-ক্রিস্টিয়ান স্ট্রাকেকে ক্ষমতায় এলে রাশিয়ার এক শিল্পপতির জন্য রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের বরাত দেওয়ার অঙ্গীকার করতে দেখা যায়৷ অস্ট্রিয়ায় রাজনৈতিক দলের চাঁদা সংক্রান্ত নিয়ম ফাঁকি দেওয়ার কথাও বলেন তিনি৷ এর জের ধরে স্ট্রাকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন কুয়র্ৎস৷ এরপর এফপিও দলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বরখাস্ত করলে দলটির অন্য মন্ত্রীরাও পদত্যাগ করেন৷

ভিডিও কেলেঙ্কারির পর এফপিও এবার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম ভোট পেয়েছে৷ গত নির্বাচনের থেকে ১০ শতাংশ কম ভোট পেয়েছে তারা৷ এবার তাদের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৬ শতাংশ৷

অন্যদিকে সোশাল ডেমোক্র্যাট পাঁচ শতাংশ ভোট হারিয়ে এবার ২২ শতাংশ ভোট পেয়েছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাদের সর্বনিম্ন ভোট৷

গ্রিনস-এর ভোট ১০ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে৷ ফলে তাদের সঙ্গে ওভিপি‘র যৌথভাবে সরকার গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷

নির্বচানে জিতে সমর্থকদের উদ্দেশে কুয়র্ৎস বলেছেন, ‘‘জনগণ আমাদের ক্ষমতায় বসতে আজ আবারো ভোট দিয়েছে৷'' তবে কোন দলকে তিনি তার জোট সরকারের শরিক করবেন সে বিষয়ে কিছু বলেননি৷

অন্যদিকে এফপিও‘র নতুন নেতা নরবার্ট হোফার জানান, তার দল বিরোধী বেঞ্চে বসতে পছন্দ করবে৷ ‘‘একটি দলের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং নিজেকে পুনর্গঠন করা দরকার'' বলে মনে করেন তিনি৷

১৯৮৬ সালের ২৭ আগস্ট ভিয়েনায় জন্ম নেওয়া কুয়র্ৎস ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়েছেন, অস্ট্রিয়ার বাধ্যতামূলক মিলিটারি সার্ভিসও শেষ করেন তিনি৷ ২০১৩ সালে ২৭ বছর বয়সে ইউরোপের তরুণতম নেতাহিসেবে অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান৷ দলের হাল ধরার পর থেকে পিপলস পার্টিকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এগিয়ে নেন তিনি৷

এসআই/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)