1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেডারেল বাহিনীকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ অ্যামেরিকা

২৩ জুলাই ২০২০

শিকাগো সহ অ্যামেরিকার প্রধান সব শহরে বিক্ষোভ সামাল দিতে ফেডারেল বাহিনী পাঠাবেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যে পোর্টল্যান্ডে এই বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের নিয়মিত সংঘর্ষ হচ্ছে। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প তাঁর সিদ্ধান্তে অটল।

https://p.dw.com/p/3fici
ছবি: AFP/M. Trinca

অ্যামেরিকা জুড়ে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ বন্ধ করতে চরম ব্যবস্থা নিলেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ভরসা না রেখে তিনি শহরগুলিতে ফেডারেল পুলিশ পাঠাতে শুরু করেছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করছেন বিক্ষোভকারীরা। বিরোধিতা করছেন বিরোধী ডেমোক্র্যাট নেতা ও শহরের মেয়ররাও। তা সত্ত্বেও তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন না ট্রাম্প।   

ট্রাম্পের দাবি, শিকাগোর অবস্থা আফগানিস্তানের থেকেও খারাপ। তাই সেখানে ফেডারেল বাহিনী না পাঠিয়ে কোনও উপায় নেই। শুধু শিকাগো নয়, আরও একগুচ্ছ শহরে ফেডারেল পুলিশ পাঠাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই কানসাসে ২০০ জন ফেডারেল পুলিশ কর্মী আছেন। পোর্টল্যান্ডে আছেন।

ফেডারেল বাহিনী যাওয়ার পর পোর্টল্যান্ডে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। দাবি উঠেছে, ট্রাম্পের বাহিনীকে পোর্টল্যান্ড ছাড়তে হবে। প্রতিদিন ফেডারেল পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হচ্ছে। ফেডারেল বাহিনীও কড়া হাতে বিক্ষোভ মোকাবিলা করতে চেয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।  অভিযোগ উঠেছে, কোনো কারণ ছাড়াই ফেডারেল পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ফেডারেল বাহিনী পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নাম দিয়েছে 'অপারেশন লেজেন্ড'।  আর ট্রাম্প বলেছেন, যে সহিংসতা দেখা যাচ্ছে, তাতে আমাদের সামনে বাহিনী পাঠানো ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।

কিন্তু বিরোধী ডেমোক্র্যাট মেয়ররা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানবেন না। এমনকী যে শিকাগোর পরিস্থিতি ট্রাম্প আফগানিস্তানের থেকেও খারাপ বলেছেন, সেখানকার মেয়র লরি লাইটফুট বলেছেন, তিনি ফেডারেল পুলিশকে শহরের রাস্তায় নামতে দেবেন না। কোনও পরিস্থিতিতেই তিনি ট্রাম্পের বাহিনীকে শিকাগো নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দেবেন না।

শিকাগোতে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৪১৪টি হত্যা হয়েছে, যা আগের বছরের প্রায় দ্বিগুণ। মঙ্গলবারও একটি অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার সময় গুলি চলে। ১৪ জন আহত হন।

পোর্টল্যান্ড, শিকাগো, সিয়াটেল, কানসাস, ওয়াশিংটনের মেয়র অ্যামেরিকার অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বারকে  চিঠি লিখে ফেডারেল বাহিনী পাঠানোর বিরোধিতা করেছেন। বার অবশ্য বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেছেন, ফেডারেল বাহিনী প্রতিটি শহরে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করে কাজ করবে। তারা দাঙ্গা বিরোধী ইউনিটের অংশ হবে না।

কিন্তু তাতে বিতর্ক থামছে না, বরং বাড়ছে। এ বার যে সব শহরে ফেডারেল বাহিনী গিয়ে বিক্ষোভ থামাবার চেষ্টা করবে, সেখানে গোলমাল আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। আর ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও লোকের ক্ষোভ-বিক্ষোভ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন।

ডিএইচ/এস জি(এপি, ডিপিএ)