1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেঁসে যেতে পারেন জ্যাকসনের চিকিৎসক

২৮ জুলাই ২০০৯

সন্দেহের তীর বেশ কদিন ধরেই তাঁর দিকে তাক করা৷ পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু তদন্তে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. কনরাড মারে এর নাম ঘুরে ফিরেই এসেছে৷ এবার অভিযোগ বেশ স্পষ্ট৷

https://p.dw.com/p/Iysv
জ্যাকসন ভক্তছবি: picture alliance/dpa

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বেসরকারি মার্কিন টেলিভিশন সিএনএন বলছে, মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা আগে প্রয়াত পপ কিং মারের দেওয়া শক্তিশালী প্রপোফল ওষুধ নিয়েছিলেন৷ এবং ওই ওষুধই তাঁর জীবন কেড়ে নিয়েছে৷

সূত্রটি সিএনএনকে জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ মনে করছে প্রপোফলই মাইকেল জ্যাকসনের আকস্মিক মৃত্যুর কারণ৷ এর একটি ব্র্যান্ড ডিপ্রিভ্যান নিয়েছিলেন জ্যাকসন৷ তবে টেক্সাস ভিত্তিক এই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের আইনজীবীরা এই খবরকে গুজব ও বেনামী সূত্রের অ্যাখ্যা দিয়ে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন৷ আইনজীবীরা বলছেন, মারে পপ তারকাকে এমন কোনো ওষুধ দেননি যাতে তাঁর মৃত্যু ঘটতে পারে৷

২৫ জুন জ্যাকসনের মৃত্যুর সময় মারে তাঁর লস এঞ্জেলেসের বাড়িতে ছিলেন৷ আদালতের নথিপত্র থেকে জানা গেছে, গত সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ মারের হিউস্টনের কার্যালয় ও স্টোরেজে জীবনবিনাশী জিনিসপত্রের জন্য তল্লাশি চালায়৷

সেখান থেকে তারা মারের কম্পিউটার ও বেশ ওষুধপথ্য নিয়ে এসেছে৷ তাঁর আইনজীবীরাও এসময় সেখানে ছিলেন৷ একজন আইনজীবী বলছেন, আমরা এ ঘটনায় খুবই বিস্মিত হয়েছি৷ কেননা তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ সার্বক্ষণিকই রয়েছে৷

পুলিশ ইতিমধ্যে মারেকে দুই দুইবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে৷ ২৪ জুলাই তাঁকে আরেকদফা জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা থাকলেও এই তল্লাশির কারণে তা স্থগিত করা হয়৷ কবে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তা জানানো হয়নি৷

মাইকেল জ্যাকসনের পুষ্টিবিদ চেরিলিন লি প্রথমবারের মতো জানিয়েছিলেন যে, মারাত্নক প্রভাবের কথা জেনেও প্রয়াত পপ তারকা হয়তো প্রপোফল নিয়ে থাকতে পারেন৷

২৫ জুন মাত্র ৫০ বছর বয়সে জ্যাকসনের মৃত্যুর পর এ নিয়ে তদন্ত চলছে৷ তদন্তের জন্য অতি প্রয়োজনীয় টক্সিকোলজি পরীক্ষার ফল এখনও আসেনি৷ এ সপ্তাহেই চূড়ান্ত ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদক: নাসিরুদ্দিন খোকন

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য