ফুল-পাতায় পৃথিবী
মার্গারেটা পার্টেল একজন বোটানিক্যাল ইলাস্ট্রেটর৷ ২০ বছর ধরে তাঁর কাজ গাছের পাতা-ফুল-শাখায় ছবি আঁকা৷ কাজ মূলত ভিয়েনা এবং ডাবলিনে৷ তবে সুযোগ পেলে নানা দেশে ঘুরে ফুটিয়ে তোলেন গাছের ছবি৷ ছবিঘরে দেখুন এমনই কিছু নিদর্শন৷
ছবির সন্ধান
এই গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম লাইলিয়া পুরপুরাটা৷ মার্গারেটা কোথায় এর সন্ধান পেয়ে তাতে এমন সুন্দর ছবি এঁকেছিলেন কে জানে৷ তবে এমন গাছের সন্ধানে রং-তুলি নিয়ে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াতেও তাঁর আপত্তি নেই৷
এঁকেও মজা
চলছে হাইটেক ফটোগ্রাফির যুগ৷ প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে, ছবি তোলা হচ্ছে সহজ, অনেক বৈচিত্র্যও আসছে ছবিতে৷ তবে বোটানিক্যাল ইলাস্ট্রেশনে যেমন বৈচিত্র্য ধরা দেয় যন্ত্রের ছবিতে ততটা সবসময় আসে না৷ ওপরের ছবিটি দেখলে আপনারও তা মনে হবে৷
সচেতনতা বাড়ায়
চারপাশের প্রকৃতির দিকে আমরা কি খুব একটা মনযোগ দিই কখনো? গাছে ছবি আঁকলে আমাদের চোখ কিন্তু গাছের দিকে যাবেই৷ এভাবে পরিবেশ, প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোতেও ভূমিকা রাখে বোটানিক্যাল ইলাস্ট্রেশন৷
টিকে আছে, টিকে থাকবে
গাছে ছবি আঁকা নতুন কিছু নয়৷ শত শত বছর ধরে চলে আাসছে বোটানিক্যাল ইলাস্ট্রেশন৷ কখনোই মনে হয়নি, এমন ছবি পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতে পারে৷
মাদাগাস্কারের অর্কিড
মাদাগাস্কার অর্কিডের জন্য বিখ্যাত৷ অ্যারাংগিস ডিসটিঙ্কটা বৈজ্ঞানিক নামের এই গাছে মার্গারিটা এমন রংয়ের আঁচড় দিয়েছিলেন সেখানে গিয়েই৷
গাছের বন্ধু
গাছের অনেক প্রজাতি বৈজ্ঞানিক নামকরণের আগেই হারিয়ে যায়৷ বোটানিক্যাল ইলাস্ট্রেশন হয়ে গেলে নাম তো পায়ই, ছবিও থেকে যায় গাছের৷ ছোট ছোট অনেক গাছ ছবি হয়ে থেকে যায় সাদা কাগজে৷
রাখতে হয় যত্ন করে
ছোট ছোট গাছ যত্ন করে ছবি করে রাখেন মার্গারেটা৷ গাছের শেঁকড়ও যাতে ঠিক থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয়৷ ড্রাকোসেফালুম অস্ট্রিয়াকুম গাছটিকে সেভাবেই রেখেছেন মার্গারেটা পার্টেল৷