ফুটবলারদের যত ‘পাগলামি’
ফ্রাইবুর্গের কোচ ক্রিস্টিয়ান স্ট্রাইখকে ধাক্কা দেওয়ার শাস্তি হিসেবে সাত সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ফ্রাঙ্কফুটের অধিনায়ক ডেভিড আব্রাহাম৷ মাঠে ফুলবলারদের কিছু অদ্ভূত, কিছু নির্মম কাণ্ড দেখুন ছবিঘরে৷
নভেম্বর ২০১৯: স্ট্রিচকে আব্রাহামের ধাক্কা
ফ্রাইবুর্গের কোচ ক্রিস্টিয়ান স্ট্রাইখকে ফ্রাঙ্কফুটের অধিনায়ক ডেভিড আব্রাহাম মাঠে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার পর ম্যাচটি বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শেষ হয়৷ আব্রাহম লাল কার্ড পেয়েছিলেন৷ এই ঘটনার জন্য সাত সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় তাকে৷ এর বিরুদ্ধে আপিল করে হেরে গেছেন আব্রাহাম৷
জুলাই ২০১৪: নেইমারের বিশ্বকাপ শেষ
২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল ও কলম্বিয়ার মধ্যকার ম্যাচের শেষ দিকে কলম্বিয়ার হুয়ান কামিলো জুনিগা পুরো শক্তি নিয়ে ব্রাজিলের সুপারস্টার নেইমারের উপর লাফিয়ে উঠেন৷ এতে আহত হয়ে নেইমারকে মাঠ ছাড়তে হয়৷ ওই বিশ্বকাপে আর মাঠে নামতে পারেননি নেইমার৷
জুন ২০১৪: ‘ভ্যাম্পায়ার’ সুয়ারেজ
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচে উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ বলের দখল নিতে না পেরে ইতালির গিয়র্গিও চিয়েলিনির কাঁধে কামড়ে দেন৷ ইটালির খেলোয়াড়রা মাঠেই এর তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং চিয়েলিনি রেফারিকে কামড়ের চিহ্ন দেখান৷ এই ঘটনায় সুয়ারেজকে নয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়, শেষ হয়ে যায় তার বিশ্বকাপও৷
জুন ২০১২: রেফারিকে ঘুষি
বুন্ডেসলিগায় ফরচুনা ডুসেলডের্ফের বিপক্ষে ম্যাচের পর হার্থা বার্লিনের লেওয়ান কোবিশভিলি রেফারি ভল্ফগাং স্টার্কের মাথার পেছনে ঘুষি মারেন৷ রেফারি কোনোমতে তার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলেও আঘাতের স্থানে রক্ত জমে যায়৷ এই অপরাধে কোবিশভিলিকে সাড়ে সাত মাস নিষিদ্ধ এবং ৬০ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়৷
মার্চ ২০১২: এক নিমিষেই লাল কার্ড
হামবুর্গের পাওলো গুইরেরো স্টুটগার্টের গোলরক্ষক স্ভেন উলরাইশকে পেছন থেকে চার্জ করলে সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখান রেফারি৷ এছাড়া আট ম্যাচের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করা হয়৷
জুলাই ২০১০: কারাতে লাথি
জোহানেসবার্গে ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের নাইজেল ডি জং স্পেনের জাবি আলোনসোকে কারাতে স্টাইলে কিক করেন৷ ভাগ্যক্রমে গুরুতর আহত হননি অ্যালোনসো এবং খেলাও চালিয়ে যান৷ সবাইকে অবাক করে দিয়ে রেফারি শুধু হলুদ কার্ড দেখান নাইজেল ডি জংকে৷
ফেব্রুয়ারি ২০০৮: দেখতেও ভয়াবহ
২০০৮ সালে বার্মিংহামের এই ম্যাচে ডিফেন্ডার মার্টিন টেইলর আর্সেনালের ব্রাজিল-বংশোদ্ভূত ক্রোয়েশিয়ার এডুয়ার্ডো দা সিলভার বাম পায়ের গোড়ালিতে আঘাত করলে তিন জায়গায় ভেঙে যায়৷ ফাউলটি দেখতেও ভয়াবহ ছিল৷ প্রায় এক বছর বিশ্রামে থেকে সিলভা ফের মাঠে ফিরেছিলেন৷
জুলাই ২০০৬: সেই গুঁতো
জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ২০০৬ বিশ্বকাপে দূর্দান্ত খেলছিলেন জিনেদিন জিদান৷ ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে হঠাৎ করে ইতালির মার্কো মাতারাজ্জির বুকে মাথা দিয়ে সজোড়ে আঘাত করেন জিদান৷ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে৷
ডিসেম্বর ২০০৫: অস্কারযোগ্য
২০০৫ সালের এই ম্যাচে ডুইসবুর্গের কোচ নরবার্ট মেয়ার কোলনের আলবার্ট স্ট্রাইটের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন৷ মতবিরোধ বাড়তে বাড়তে দুজনের কপাল এক হয়ে যায়৷ এই ঘটনার পর ডুইসবুর্গের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হন নরবার্ট৷
জুন ১৯৯০: ‘লামা’ রাইকার্ড
জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে ম্যাচগুলো যে কোনো সময়ই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে, যেমনটি হয়েছিল ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে৷ ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড (ডানে) রুডি ফোলারকে (বামে) মারাত্মক ফাউল করে হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন৷ এরপর রাইকার্ড ভোলারের চুলে থুথু দিয়ে তার কান ধরে টানও দেন৷ তুমুল তর্ক শুরু হলে দু’জনকেই লাল কার্ড দেখানো হয়৷
জুলাই ১৯৮২: পড়ে গেল দাঁত
স্পেনে অনুষ্ঠিত ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ঘটনা৷ ফ্রান্সের প্যাট্রিক বাতিস্তঁ দৌড়ে পশ্চিম জার্মানরি গোলবারের দিকে এগিয়ে যান৷ গোলরক্ষক টনি শুমাখার এগিয়ে এসে শট নেওয়ার সময় বাতিস্তঁর ওপর লাফিয়ে ওঠেন৷ এতে শুমাখারের ডান হিপ বাতিস্তঁর মাথার আঘাত করে, ছিটকে পড়ে বাতিস্তঁর দুটি দাঁত ভেঙে যায়৷ কিন্তু রেফারি ফাউলের বাঁশিও বাজাননি!