ফুকুশিমা : সাগরে তেজস্ক্রিয়তা যুক্ত পানি যাওয়া ঠেকানো হয়েছে
৬ এপ্রিল ২০১১তেজস্ক্রিয়যুক্ত পানি যেখান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগরে গিয়ে পড়ছিল, সেখানকার মেঝেতে ‘‘ওয়াটার গ্লাস'' নামে পরিচিত একধরণের রাসায়নিক প্রবিষ্ট করানো হয়েছে বলে পারমাণবিক প্রকল্পের কর্মীরা বুধবার জানিয়েছেন৷ টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ারের প্রকৌশলীরা বলেছেন, পুরো পারমাণবিক এলাকায় হাইড্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে সেখানে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেই সম্ভাব্য বিস্ফোরণের কথা ভেবে তা প্রতিরোধে, প্রয়োজনে পুরো এলাকায় নাইট্রোজেন গ্যাস ছড়ানো হতে পারে৷ যেসব জায়গা দিয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ছে, তা প্রতিরোধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না, কারণ, উচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয়তার কারণে প্রকল্পের কর্মীরা বিশেষ ধরণের আচ্ছাদন দিয়ে প্রকল্পটি ঢাকতে পারছেন না৷ তবে প্রকৌশলীরা বলছেন, পুরো আচ্ছাদন স্থাপন করতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে৷
এদিকে ১১-ই মার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামির পরে প্রায় একমাসের কাছাকাছি সময় অতিবাহিত হলেও, ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক চুল্লিগুলো এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলেই জানিয়েছেন, পারমাণবিক বিশেষজ্ঞরা৷ টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানি টেপকোর প্রকল্প পরিচালক বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি চুল্লির একটির ফুটো সাড়াতে তারা তরল গ্লাস ব্যবহার করছেন৷ টেপকোর মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘তরল গ্লাসের মিশ্রণ প্রবিষ্ট করানোর পরে গতকালই ফুটোগুলো ছোট হয়ে এসেছে৷''
ওদিকে স্থানীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক সংকট এবং তেজস্ক্রিয়তা যুক্ত পানি পাম্প করে সাগরে ফেলার বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন উদ্বিগ্ন৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ