ফিরে দেখা দিল্লি দাঙ্গা
এক বছর আগে জ্বলে পুড়ে গিয়েছিল যে অঞ্চল, সেখানে আবার প্রাণ ফিরছে। কিন্তু আতঙ্ক থেকেই গেছে। তখন আর এখনের ছবি।
আতঙ্কের মুখ
দাঙ্গা বিধ্বস্ত এই নারী অস্থায়ী ক্যাম্পে বসে কেঁদে ফেলেছিলেন। পরিবারের কাউকে তখনো খুঁজে পাননি তিনি।
এক বছর পর
এই নারীও দীর্ঘদিন ক্যাম্পে ছিলেন। বেশ কয়েকমাস আগে ঘরে ফিরে এসেছেন। নতুন করে রং করছেন বাড়ির দেওয়াল। কিন্তু চোখে মুখে এখনো আতঙ্ক।
পুড়ে যাওয়া গ্যারাজ
দাঙ্গার সময় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই গ্যারাজে। বহু গাড়ি নষ্ট হয়েছিল। পালিয়ে গেছিলেন সকলে।
এক বছর পর
এক বছর পরে গ্যারাজের মালিকানার হাত বদল হয়েছে। বিয়েবাড়ি হিসেবে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে গ্যারাজটি।
কেয়ারটেকারের ঘর
দাঙ্গার সময় খাবার ছেড়ে পালাতে হয়েছিল কেয়ারটেকারকে। পুরো ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল দাঙ্গাকারীরা।
এক বছর পর
নতুন করে রং হয়েছে ঘরে। নতুন কেয়ারটেকার এসেছেন। খাট পেতেছেন সেই একই জায়গায়। ঘরে না থাকলে তালা দিয়ে রাখেন নতুন কেয়ারটেকার। ভয়ে।
পোড়ো বাড়ি
আগুনে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বাড়িটি। ছবি তোলার সময়েও বিভিন্ন জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।
এক বছর পর
এক বছর পরেও এলাকায় ফেরেননি এই বাড়ির কেউ। একই অবস্থায় ধ্বংসাবশেষ হয়ে পড়ে আছে।
লুঠ হয়ে গেছে সব
সমস্ত কিছু লুঠ করে ঠেলা গাড়িটা পর্যন্ত ভেঙে দিয়ে গিয়েছিল দাঙ্গাকারীরা। যাওয়ার আগে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এক বছর পর
এক বছর পরে ছন্দে ফিরেছে জীবন। নতুন ঠেলা গাড়ি আবার রাখা হয়েছে দরজার পাশে। ওই গাড়িতে করেই প্রতিদিন জিনিস বিক্রি করেন বাড়ির মালিক।
রাস্তা জুড়ে ইট
ইটবৃষ্টি হয়েছে দুই দিক থেকেই। জাফরাবাদের এই রাস্তাটি দেখলে মনে হতো যুদ্ধক্ষেত্র।
এক বছর পর
এক বছর পরে ওই রাস্তায় কংক্রিট ঢালা হয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক হয়েছে।
দোকানের পর দোকান লুঠ
একের পর এক দোকানে ঢুকে সমস্ত কিছু লুঠ করেছিল দাঙ্গাকারীরা। মুস্তাফাবাদের একটি দোকানও আস্ত ছিল না।
এক বছর পর
নতুন করে দোকান খুলেছেন স্থানীয় মানুষ। যা গেছে, তার ক্ষতিপূরণ এখনো মেলেনি। কোনোমতে পসরা সাজিয়ে আছেন তাঁরা।
সব হারানো বাঞ্জারা
রাজস্থান থেকে এসে পাঁচিলের ধারে অস্থায়ী ঘর বানিয়েছিলেন এই বাঞ্জারা। খুলেছিলেন ছোট্ট চায়ের দোকান। দাঙ্গাকারীরা তাঁকেও ছাড়েনি।
এক বছর পর
লাল পাঁচিলের ধারে নতুন করে ঘর বানিয়েছেন বাঞ্জারারা। তবে এখনো আতঙ্কে ভুগছেন। রাতের অন্ধকারে ফের কেউ আগুন লাগিয়ে দেবে না তো?
জ্বলে যাওয়া টায়ার বাজার
বড় রাস্তার ধারে এই টায়ার বাজারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক লাখ টাকার টায়ার নষ্ট হয়েছিল। বহু ব্যবসায়ীর মাথায় হাত পড়েছিল।
এক বছর পর
ফের খুলেছে টায়ার বাজার। খুলেছে দোকান। কিন্তু এখনো দাঙ্গার ক্ষতি সামলে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।
যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি
দাঙ্গার সময় এমনই ছিল জাফরাবাদ, মুস্তাফানগর, শিববিহারের চেহারা। রাস্তাজুড়ে শুধুই ধ্বংসস্তূপ।
এক বছর পর
এক বছর পর স্বাভাবিক হয়েছে রাস্তাঘাটের চেহারা। গাড়ি-ঘোড়া চলছে স্বাভাবিক ছন্দে। তবে মানুষের মনে আতঙ্ক এখনো থেকে গিয়েছে।