ফাটলো বাজি, বাড়লো দূষণের মাত্রা
কলকাতা, দিল্লি-সহ গোটা দেশেই দীপাবলিতে আতস বাজি ফাটলো। দিল্লিতে দূষণের মাত্রা সর্বাধিক।
নির্দেশকে বুড়ো আঙুল
দিল্লিতে সবরকম বাজি ফাটানোই নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু দীপাবলির রাতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে দিল্লির বহু এলাকায়। সন্ধে ৭টা থেকে লাজপতনগর, পশ্চিম দিল্লি, বুরারি, পশ্চিম বিহারে বিপুল বাজি ফেটেছে। পুলিশের চোখের সামনেই রাস্তায় নেমে মানুষ বাজি ফাটিয়েছেন।
দূষণের চাদর
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে দিল্লিতে। শুক্রবার সকালে ধোঁয়াশার হালকা চাদরে ঢেকে গেছে দিল্লি। চোখ জ্বালা করছে। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির দূষণ অতি ভয়ংকর বা সিভিয়ারে পৌঁছে গিয়েছিল। শুক্রবার সকালে তা হ্যাজারডাস সূচকে আছে। দিল্লির আশপাশের শহরগুলির পরিস্থিতিও ভয়াবহ। নয়ডা, ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদে বিপুল বাজি ফেটেছে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়
পরিবেশবিদদের একাংশের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের পরেই এত বাজি ফাটানোর সুযোগ পেলেন নাগরিকরা। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, গ্রিন ক্র্যাকার ফাটানো যাবে। তারপরেই সাধারণ মানুষ বাজি কিনতে শুরু করেন। যার মধ্যে বহু নিষিদ্ধ বাজিও ছিল। গ্রিন ক্র্যাকারের লেবেল লাগিয়ে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা।
কলকাতার পরিস্থিতি
অন্যবারের মতো না হলেও কলকাতাতেও ষথেষ্ট পরিমাণ বাজি ফেটেছে বৃহস্পতিবার। গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজি ফাটানোর অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ।
বাজির দূষণ
বিভিন্ন পাড়ায় এভাবেই রাস্তায় নেমে বাজি ফাটিয়ে দূষণ ছড়িয়েছেন নাগরিকরা।
সবুজ বাজি
অনেকেই দাবি করেছেন, তারা দোকান থেকে সবুজ বাজি কিনে এনেছেন। কিন্তু পরিবেশবিদদের বক্তব্য, সবুজ বাজির লাইসেন্স পশ্চিমবঙ্গে অন্তত কারো কাছে নেই। ফলে সবুজ বাজি বিক্রি করাও সম্ভব নয়। যে বাজি ফেটেছে, সবই নিষিদ্ধ।
এবং চকোলেট বোমা
অন্তত এক দশক আগে পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের চকোলেট বোমা ফাটানো নিষিদ্ধ হয়েছে। এই বোমের শব্দমাত্রা ৬৫ ডেসিবলের উপরে। কিন্তু যত্রতত্র ফেটেছে চকোলেট বোমা।
ছোটদের হাতে বোমা
কিশোরদের হাতে দেখা গেছে চকোলেট বোমা। রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে তারা এই বোমা ফাটিয়েছে।
তুবড়ির দূষণ
দেখতে সুন্দর লাগলেও এই ধরনের তুবড়ি বাজিতে বিপুল দূষণ হয়। এর ভিতরে গন্ধক থাকে। বারুদের সঙ্গে পুড়ে যা দূষণ তৈরি করে। কলকাতা এবং দিল্লির রাস্তায় এমন তুবড়ি ফাটানো হয়েছে দীপাবলির রাতে।
ফানুস ঐতিহ্য
কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে কালীপুজোর দিন ফানুস ওড়ানোর ঐতিহ্য আছে। ফানুস বাজি নিষিদ্ধ হলেও ঐতিহ্যবাহী ফানুস ওড়ানো হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়।
ফানুস উৎসব
উত্তর কলকাতার কোনো কোনো এলাকায় ফানুস উৎসব হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তেমনই এক উৎসবের প্রস্তুতি।