1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ফাকিং’ এবার ‘ফাগিং’ হবে

২৭ নভেম্বর ২০২০

গ্রামের নাম ফাকিং৷ তা নিয়ে ইন্টারনেটে বহু ঠাট্টা হয়েছে৷ অগত্যা গ্রামের নাম বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা৷

https://p.dw.com/p/3ltmu
গ্রামের নাম ফাকিং
ছবি: Volker Preufler/imago images

হাজার বছরের পুরনো নাম বদলে ফেলেছে অস্ট্রিয়ার গ্রাম ফাকিং৷ জার্মানির সীমান্তে অবস্থিত ছোট্ট এই গ্রামে লোকসংখ্যা শখানেক৷ দীর্ঘদিন ধরেই এই গ্রামের নাম ফাকিং৷ ইন্টারনেট আসার আগে পর্যন্ত গ্রামের নাম নিয়ে কোনো সমস্যাও ছিল না৷ কিন্তু ইন্টারনেট আসতেই শুরু হলো সমস্যা৷ বাড়লো পর্যটকদের উৎপাত৷ অন্য কোনো কারণে নয়, সকলেই গ্রামের নাম লেখা সাইনবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন৷ কেউ কেউ খুলে নিয়ে যান গ্রামের নাম৷ ফলে শেষ পর্যন্ত গ্রামের মানুষ নাম বদলানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন৷ প্রশাসনকে জানানো হয়৷ আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নাম বদলে হচ্ছে ফাগিং৷

জার্মান ভাষায় ফাকিং শব্দের কোনো অর্থ নেই৷ উচ্চারণ ফাগিং৷ এত দিন এই নাম নিয়ে যে বিপত্তি হতে পারে, তা বুঝতেই পারেননি গ্রামের মানুষ৷ বস্তুত এই গ্রামের অদূরেই রয়েছে আরো দুইটি গ্রাম-- কিসিং এবং ওয়েডিং৷ বহু পর্যটকই জার্মানির মিউনিখ থেকে সালজবুর্গের রাস্তায় এই গ্রামগুলিতে নেমে ছবি তোলেন৷ সাইনবোর্ড তুলে নেন সংগ্রহে রাখার জন্য৷ ইন্টারনেটে নামের জন্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এলাকাটি৷ ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা বেড়েছে৷

ফাকিং শব্দের অর্থ জানার পরে গ্রামের মানুষেরও বিপত্তি বেড়েছে৷ কোনো কোনো ব্যক্তি ফাকিং সাইনবোর্ডের গায়ে লিখে দিয়েছেন ‘আমাদের আবহাওয়া ফাকিং গুরুত্বপূর্ণ’৷ গ্রামের মানুষ চাইছিলেন না, এই বিপত্তি চলুক৷ সে কারণেই তাঁরা নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেন৷

ফাকিং নাম বদলানোর সিদ্ধান্ত নিলেও একই ধরনের আরো বেশ কয়েকটি জনপদ এখনো পুরনো নাম বদলের কথা ভাবেনি৷ তেমনই দুইটি গ্রামের নাম ওবারফাকিং, উনটারফাকিং৷ জার্মান সীমান্তে পাহাড়ের কোলে এই দুইটি গ্রামও কি ফাকিংয়ের পথ অনুসরণ করবে?

এসজি/জিএইচ (ইলিয়ট ডগলাস)