ফাইনালের পথে টাইগারদের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত
পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ৷ এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এশিয়ার সেরা হওয়ার ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ৷ ছবিঘরে থাকছে ম্যাচের স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত৷
মুশফিকের এক রানের দুঃখ
তামিম, সাকিব নেই৷ তার ওপর মাত্র ১২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ভয়াবহ চাপে বাংলাদেশ৷ কিন্তু পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে মোহাম্মদ মিঠুনের সাথে ১৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন মুশফিকুর রহিম৷ তবে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি করতে পারেননি মুশফিক, আউট হয়ে যান ৯৯ রানে৷ ওয়ানডেতে ৯৯ রানে আউট হওয়া প্রথম বাংলাদেশি তিনি৷ এশিয়া কাপেও এর আগে কেউ কখনো ৯৯ রানে আউট হয়নি৷
মিরাজের অগ্নিপরীক্ষা
সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে ব্যাটসম্যানদের ঘূর্ণিজাদুতে পরাস্ত করার মূল দায়িত্ব নিতে হয় মিরাজকেই৷ বেশ ঝুঁকি নিয়েই অধিনায়ক মাশরাফি প্রথম ওভারের দায়িত্ব দেন তাঁকে৷ সে ভরসার দারুণ প্রতিদান দিয়েছেন তিনি৷ প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন ওপেনার ফখর জামানকে৷ পরবর্তীতে ভয়ঙ্কর হতে থাকা আসিফ আলীকেও ফেলেন স্ট্যাম্পিং-এর ফাঁদে৷ পুরো ১০ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন মাত্র ২৮ রান৷
মুস্তাফিজ, দ্য কাটার মাস্টার
ভাগ্যের সহায়তা না থাকায় পাঁচ উইকেট পাওয়া হয়নি মুস্তাফিজের৷ অলআউট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেছে পাকিস্তানও৷ তবে পুরো ম্যাচেই মুস্তাফিজ ভুগিয়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের৷ বল বুঝতে ও খেলতে না পারার অস্বস্তি নিয়েই তাঁর বলে আউট হয়েছেন বাবর আজম, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ এবং হাসান আলী৷
ভরসার নাম মাহমুদুল্লাহ
ব্যাট হাতে এদিন বেশি কিছু করতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ৷ ৩১ বলে করেছেন ২৫ রান৷ কিন্তু বল হাতে পেয়েছেন দারুণ সাফল্য৷ ৩ দশমিক ৮০ ইকোনমি রেটে ১০ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৩৮ রান, ঘুরতে দেননি রানের চাকা৷ ইমাম-উল-হক যখন জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন পাকিস্তানি শিবিরকে, তখনই ৮৩ রানে তাঁকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে আউট করে ম্যাচের গতি ঘোরান বাংলাদেশের পক্ষে৷
মাশরাফি দ্য গ্রেট
নড়াইল এক্সপ্রেসের বোলিং নিয়ে নতুন কী-ই বা বলা যেতে পারে৷ শরীরের বিভিন্ন জায়াগায় ভয়াবহ ইনজুরি নিয়েও যেভাবে বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে শোয়েব মালিকের দেয়া ক্যাচ লুফে নিলেন, তাতে হয়তো সর্বকালের সেরা ফিল্ডার হিসেবে পরিচিত জন্টি রোডসও ঈর্ষান্বিত হবেন৷ ব্যাটিং ক্রিজ থেকে মাত্র দুই মিটার দূরে দাঁড়িয়ে দ্রুত গতির এ ক্যাচ ধরতে মাশরাফি সময় পেয়েচেন মাত্র ০.৮৫ সেকেন্ড!