1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফলমূল ও শাকসবজিও শিল্পের উপাদান

১১ মে ২০১৮

প্রথা ভেঙে শিল্প বার বার নিত্যনতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করে চলে৷ জার্মানির এক ইলাস্ট্রেটর অতি সাধারণ উপকরণ কাজে লাগিয়ে ত্রিমাত্রিক সৃষ্টিকর্মে মেতে থাকেন৷ ডিজিটাল নয়, বাস্তব জগত নিয়ে তাঁর সৃষ্টি গোটা বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2xUiY
Sprüche über Arbeit und ErholungSmiley gelegt aus den Resten eines Essens, smiley built with the remains of a meal
ছবি: picture alliance

প্রথা ভেঙে শিল্প সৃষ্টি

রবিবার সকালের প্রাতরাশ, তবে কাগজের তৈরি৷ খেলার মার্বেল দিয়ে তৈরি আঙুর৷ শাকসবজি দিয়ে তৈরি মাংস৷ উল বা পশম দিয়ে তৈরি মস্তিষ্ক৷ খাবারদাবার দিয়ে তৈরি আস্ত একটা মাথা৷ জার্মানির অঙ্কনশিল্পী সারা ইলেনব্যার্গার এমন অপ্রত্যাশিত উপকরণ নিয়ে খেলতে ভালবাসেন৷ তাঁর চারিপাশের পরিবেশের প্রায় সবকিছুই তাঁকে প্রেরণা জাগায়, তাঁর সৃষ্টির উপকরণ হয়ে ওঠে৷

বার্লিনে নিজের স্টুডিওর কাছে এক দোকানে গোটা সপ্তাহের বাজারও অনায়াসে তাঁর কাজের অংশ হয়ে পড়ে৷ সারা বলেন, ‘‘আমার সব উপকরণই ভালো লাগে, তবে ফলমূল ও শাকসবজি অনেকদিন ধরে আমার প্রিয়৷ এর অন্যতম কারণ অবশ্যই এগুলির বৈচিত্র্য, উজ্জ্বল রংয়ের বাহার৷ তাছাড়া শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা জানা না থাকায় বেশ একটা চমক থাকে৷ মনে রাখতে হবে, এটা অরগ্যানিক উপাদান৷''

বার্লিনের ভেডিং পাড়ায় স্টুডিও৷ সেখানে সারা ইলেনব্যার্গার গ্রাফিক ডিজাইনের চিরায়ত কাঠামো ভেঙেচুরে নতুন ধারা সৃষ্টি করছেন৷ বিজ্ঞাপন, পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন অথবা শুধু শিল্পের খাতিরেই তিনি নানা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন৷ কখনোই সেগুলি দ্বিমাত্রিক হয় না৷ তাঁকে থ্রিডি ইলাস্ট্রেটর বলা চলে৷ তিনি শিল্প, গ্রাফিক্স ও ফটোগ্রাফির সীমানায় বিচরণ করেন৷ মূলত অ্যানালগ জগতের জন্যই তিনি কাজ করেন৷ তিনি মিউনিখ শহরে বড় হয়েছেন৷

সারা বলেন, ‘‘সম্ভবত ছোটবেলা থেকেই আমি নানা উপকরণ জুড়ে সৃষ্টির কাজে মেতে উঠি৷ আমি আসলে সেই প্রজন্মের শিশু, যারা প্রায় কোনো টেলিভিশন, কম্পিউটার বা ডিজিটাল জগত ছাড়াই বড় হয়েছে৷ তাই যা ছিল, তাই নিয়ে ভাঙাগড়ার জন্য যথেষ্ট সময় ও জায়গা ছিল৷ মজার কথা, মিউনিখে আমার বাবার একটা রেস্তোরাঁ ছিল৷ তখন আমার বয়স চার বা পাঁচ৷ রেস্তোরাঁর ভাঁড়ার ঘরই ছিল আমার খেলার জায়গা৷ তাই খাবারদাবারের সঙ্গে বরাবরই আমার একটা সংযোগ ছিল৷''

লন্ডনে গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে উচ্চশিক্ষার পর তিনি মিউনিখে তাঁর তৎকালীন বন্ধুর সঙ্গে গয়নার এক ব্র্যান্ড চালু করেন৷ কিন্তু সৃজনশীলতার বিকাশ সেখানেই থেমে যায়৷ তিনি তখন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিজের থ্রিডি গ্রাফিক প্রকাশের চেষ্টা করছিলেন৷ সেই কাজে তিনি বিপুল সাফল্যও পান৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তাঁর ছবি প্রকাশিত হয়েছে৷ সারা ইলেনব্যার্গার বলেন, ‘‘আমার ধারণা, হাতে করে কিছু ধরতে পারলে এবং সৃষ্টির কাজে নিজস্ব শক্তি তার মধ্যে ঢেলে দিলে তার ফল অসাধারণ হয়৷ সেটি নিখুঁত না হলেও অনেক বেশি মানবিক৷ দ্বিমাত্রিক আদর্শ কম্পিউটার সারফেসের তুলনায় আমার কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য৷''

সারা ইলেনব্যার্গারের শৈলি বড় আকারেও প্রয়োগ করা সম্ভব৷ তিনি জার্মানিতে নিয়মিত ফ্রান্সের ‘অ্যারমেস' ব্র্যান্ডের দোকানের জানালা ডিজাইন করে থাকেন৷ তিনি চ্যালেঞ্জ ভালোবাসেন৷ সব দিক থেকেই তাঁর সৃষ্টিকর্ম দেখতে সুন্দর হোক, সেটাই তিনি চান৷ বড় প্রকল্প রূপায়নের ক্ষেত্রে তিনি সানন্দে শিল্পী ও মিস্ত্রীদের সঙ্গে কাজ করেন৷

সারা ইলেনব্যার্গার গোটা ইউরোপের সবচেয়ে সফল ইলাস্ট্রেটর-দের অন্যতম৷ গোটা বিশ্বে তাঁর অনবদ্য শৈলির বিপুল চাহিদা রয়েছে৷

শ্যারন ব্যারকাল/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য