1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফটোগ্রাফারের মডেল যখন মানুষ নয়

৮ অক্টোবর ২০২০

ফ্যাশন ফটোর মডেল হওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়৷ তবে শুধু মানুষ কেন, অন্য প্রাণীও এমন ছবির বিষয়বস্তু হতে পারে৷ ইটালির দুই আলোকচিত্রী একটি প্রাণীকে বেছে নিয়ে অভিনব ছবি তুলে যাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/3jbW2
ছবি: DW

মিলানের দুই আলোকচিত্রী মাটেও ট্রাংকেলিনি ও মোরেনো মন্টির ছবির সংগ্রহে আত্মসচেতন মোরগ ও মুরগির বিলাসবহুল পালকের পোশাক শোভা পাচ্ছে৷ দুজনেই স্বীকার করেন, যে তাঁরা মুরগির প্রেমে পড়ে গেছেন৷ এমনকি নিজেরাও ফ্যাশনদূরস্ত মুরগি পালন করছেন৷ মোরেনো বলেন, ‘‘সেটা ছিল প্রথম দর্শনেই প্রেম৷ কখনো ভাবিনি এমনটা হবে৷ মুরগি খুবই ফটোজিনিক, ছবির জন্য আদর্শ৷ মডেল হিসেবেও মুরগি উপযুক্ত৷ ঠিক জানে কখন কী করতে হয়, বোঝানোর প্রয়োজন হয় না৷’’

মাটেও ট্রাংকেলিনি সেইসঙ্গে বলেন, ‘‘মেক আপ প্রায় লাগে না বললেই চলে৷ বিজ্ঞাপন ও ফ্যাশন ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, মুরগি সেরা ও স্বতঃস্ফূর্ত মডেল৷’’

সম্ভবত ধৈর্যের বিচারেও মুরগি সেরা৷ সেটে ফটোগ্রাফার যেমনটা চান, তেমনটাই করে এই প্রাণী৷ বর্তমান প্রকল্পের জন্য মাটেও ও মোরেনো ৬০টি জাতের মধ্যে দুই জোড়া মুরগিকে প্রেমিক-যুগল হিসেবে বেছে নিয়েছেন৷ শিরোনাম হিসেবে ‘চিকেন ইন লাভ’ মন্দ হয় নি৷ মাটেও ট্রাংকেলিনি বলেন, ‘‘মোরগ আর মুরগির মধ্যে সম্পর্ক কীরকম? খুবই গভীর প্রেম, শর্তহীন ভালবাসা৷ মুরগি নিজের মোরগকে খুব ভালবাসে, সবসময়ে পেছন পেছন ঘোরে৷ প্রতিদিন সকালে মোরগ তার মুরগিকে এমনভাবে দেখে, যেন আগে কখনো দেখে নি৷ দেখেছো, একটা মুরগি!’’

ছবির মডেল যখন মুরগি

পোষ্যের খোঁজে দুই আলোকচিত্রী পাঁচ বছর আগে একটি পাখির মেলায় গিয়ে এত জাতের মুরগি দেখে অবাক হয়েছিলেন৷ তাঁরা ক্যামেরা বার করতেই মোরগ ও মুরগিও নানারকম পোজ দিতে থাকে৷

এভাবে ‘চিকেন’ নামে তাঁদের প্রথম ছবির সংকলন প্রকাশিত হয়৷ একশোটি ভিন্ন মুরগির জাতের ২০০ ছবি তাতে স্থান পেয়েছিল৷ মাটেও বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে নান্দনিক দিকটা আমাদের নাড়া দিয়েছিল৷ বইয়ের সৌন্দর্য ও সাফল্যের মধ্যে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে৷ কারণ মুরগি যে এত সুন্দর হতে পারে, এমনটা কেউ ভাবতে পারে না৷’’

যেমন মিলানে মাটেও-র বাগানে কেভিন নামের মোরগের গর্বের শেষ নেই৷ শানেল ও সামান্থা নামের দুই মুরগি নিয়ে তার সংসার৷ ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটেনের রানি ভিক্টোরিয়া বড় আকারের কোচিন জাতের এই মুরগি এশিয়া থেকে ইউরোপে নিয়ে এসেছিলেন৷

‘চিকেন ইন লাভ’ সংকলনের জন্য দুই আলোকচিত্রী বিভিন্ন জাতের মুরগিকে প্রেমিক-যুগল হিসেবে মিলিয়ে মিশিয়ে তুলে ধরেছিলেন৷ মাটেও ট্রাংকেলিনি বলেন, ‘‘কোন কোন জাতের মুরগি যুগল হিসেবে সুন্দর দেখায়, আমরা তা খতিয়ে দেখেছি৷ প্রজননকারী যেভাবে জোড় খোঁজে, সেভাবে নয়৷ মানুষের সমাজের মতোই নানা জাত ও বর্ণের সুন্দর বৈচিত্র্যের খোঁজ করি৷’’

তবে মোরগই সব সময়ে মধ্যমণী হয়ে থাকতে ভালোবাসে৷ মাটেও ও মোরেনো অবশ্য দেখিয়ে দিয়েছেন, যে মুরগিও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে বৈকি৷

মিশায়েল কাডেরাইট/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান