প্লাস্টিক কাপে কফি পান করেন? ছেড়ে দিন!
জার্মানিতে প্রতি বছর প্রায় তিন বিলিয়ন প্লাস্টিক কফি কাপ ব্যবহার করা হয়, যেগুলো পুনর্ব্যবহার করা যায়না৷ তবে পরিবেশমন্ত্রী প্লাস্টিক কাপের ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে বিশেষভাবে ভাবছেন৷
‘ডিসপোজেবল’ মানসিকতা
‘জার্মানিতে এরই মধ্যে ‘ডিসপোজেবল’ মানসিকতা তৈরি হয়ে গেছে, যা থেকে বেরিয়ে আসা খুব সহজ নয়’ একথা বলেন জার্মানির পরিবেশ মন্ত্রী স্ভেনিয়া শুলৎসে৷
ভীতিজনক পরিসংখ্যান
জার্মানির পরিবেশ বিষয়ক এজেন্সির দেওয়া পরিসংখ্যানে জানা যায় , জার্মানিতে প্রতিদিন প্রতি ঘন্টায় তিন লাখ বিশ হাজার ডিসপোজেবল প্লাস্টিক কাপ ব্যবহার করা হয়৷
আবর্জনার স্থান শেষ পর্যন্ত সাগরে
‘ডিসপোজেবল’ বা মাত্র একবার ব্যবহার করা প্লাস্টিকের কাপের আবর্জনা শেষ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায় সাগরে৷ যা পরিবেশ দূষণের বড় একটি কারণ৷
কফি টু গো
জার্মানিতে ‘কফি টু গো ’ –এর বয়স এখন মাত্র ২৩ বছর ৷ গত ২০ বছরে জার্মানদের জীবনযাত্রায় ভীষণভাবে পরিবর্তন এসেছে৷ পরিবেশ বিষয়ক এজেন্সির করা সমীক্ষার রিপোর্টে প্রকাশ, ১৯৯৬ সালে জার্মানিতে প্রথম ‘কফি টু গো ’ অর্থাৎ প্লাস্টিক কাপে প্রথমবার কফি বিক্রি হয়৷
৩০ সেন্ট বাড়ানোর দাবী
প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস করার জন্য, কফি শপ, বেকারি, সুপারমার্কেট, পেট্রোল স্টেশনে প্লাস্টিক কাপের কফির মূল্য ৩০ সেন্ট বাড়ানো উচিত বলে জানানো হয় গবেষণায়৷
উৎপাদনকারীদেরও এগিয়ে আসতে হবে
পরিবেশের মন্ত্রী যে পদক্ষেপগুলি এখন বাস্তবায়ন করতে চান তা এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়৷ তবে তাঁর মতে আগামীতে ডিসপোজেবল কাপ উৎপাদনকারীদেরও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে এবং তাদের ক্ষেত্রেও নিয়ম কিছুটা কঠিন করা হবে৷
২০২১ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ
ইউরোপীয় ইউনিয়নে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, ২০২১ সাল থেকে প্লস্টিকের কাপ, প্লেট, কাপ, চামচ ইত্যাদির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে৷
উদাহরণ প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ
প্লাস্টির আবর্জনা কমানোর লক্ষ্যে প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ হতে পারে একটি বড় উদাহরণ৷ কারণ জার্মানিতে ২০১৭ সালে দোকানগুলোতে প্লাস্টিক ব্যাগের বাড়তি মূল্য রাখার সিদ্ধান্ত হয়৷ বলাই বাহুল্য যে এর মধ্য দিয়ে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে৷