প্রেসিডেন্ট হতে চান বক্সিং তারকা মানি পাকিয়াও
ফিলিপাইন্সের বক্সিং তারকা মানি পাকিয়াও প্রেসিডেন্ট হতে চান৷ তাই বুধবার তার গ্লভস তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি৷
মানি পাকিয়াওয়ের পরিচয়
৪২ বছর বয়সি মানি পাকিয়াও বক্সিংয়ের একজন কিংবদন্তি৷ ইতিহাসের একমাত্র বক্সার হিসেবে তিনি আটটি বিভিন্ন ওজন শ্রেণিতে লড়ে সেরা হয়েছেন৷ ২৬ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ৭২ বার লড়েছেন৷ এর মধ্যে ৬২টিতে জিতেছেন৷ হেরেছেন আটটিতে, ড্র করেছেন দুটি৷ তিনি ১২টি বিশ্ব শিরোপা জিতেছেন৷
গরিব পরিবারে জন্ম
১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন পাকিয়াও৷ তারা ছয় ভাইবোন ছিলেন৷ একটি খুপরিতে বাস করতেন তারা৷ ১০ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে দেন৷ ১২ বছর বয়সে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বক্সিংয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার৷ রাস্তার লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন৷ ঐ লড়াইয়ে জিতলে ১৬০ টাকা, হারলে ৮০ টাকা পাওয়া যেত৷ ২০১৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি শুনেছিলাম আপনি লড়াইয়ে অংশ নিয়ে হারলেও টাকা পাবেন৷’’
রাজধানীতে পাড়ি
দক্ষিণের বুকিডনন রাজ্যে জন্মেছিলেন পাকিয়াও৷ ১৪ বছর বয়সে নৌকা চড়ে রাজধানী ম্যানিলায় চলে যান৷ সেখানে নির্মাণ শিল্পে কাজ করে কিছু টাকা বাড়িতে পাঠাতেন৷
পেশাদার বক্সার
১৬ বছর বয়সে বক্সার হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি৷ ১৯ বছর বয়সে বিশ্ব বক্সিং পরিষদের ফ্লাইওয়েট টাইটেল জেতেন পাকিয়াও৷ ওটাই তার প্রথম বিশ্ব সেরার খেতাব৷
সম্পদের পরিমাণ
২০২০ সালে দাখিল করা সম্পদের বিবরণী বলছে, তিনি প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার মালিক৷
রাজনীতি
২০১০ সালে কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচিত হন পাকিয়াও৷ এরপর ২০১৬ সালে সেনেটেও জয়লাভ করেন তিনি৷ মৃত্যুদণ্ড বাতিলের বিলের অন্যতম প্রস্তাবক ছিলেন তিনি৷ এছাড়া প্রেসিডেন্ট দুতার্তের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণারও সমর্থক ছিলেন পাকিয়াও৷ এই অভিযানে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ যাওয়ায় তার সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়৷
সব ধরনের মাদক পরীক্ষা
২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন, তরুণ বয়সে তিনি ‘সব ধরনের মাদক পরীক্ষা’ করে দেখেছেন৷
সমকামিতা নিয়ে মন্তব্য
সেনেট নির্বাচনের প্রচারণার সময় পাকিয়াও বলেছিলেন, সমকামী দম্পতিরা ‘পশুর চেয়েও খারাপ’৷ এমন মন্তব্যের জন্য নাইকি তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছিল যদিও পরে তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন৷
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
বুধবার বক্সিং ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিয়াও৷ বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটা তার জীবনের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন ‘ফাইট’ হতে পারে৷