1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রেমিকার ফাঁসির রায়

৩০ মার্চ ২০১৬

প্রেমিককে হত্যার পর তাঁর হৃদপিণ্ড কেটে বের করে ফেলা বাংলাদেশের খুলনার এক তরুণীকে ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত৷ প্রেমিকার দাবি, ছেলেটির অন্য এক মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল৷

https://p.dw.com/p/1IM0k
ছুরি হাতে এক নারী
ছবি: picture-alliance/dpa/Romain Fellen

২১ বছর বয়সি ফাতেমা আক্তার সোনালী প্রতিশোধ নিতে দু'বছর আগে তার প্রেমিককে নির্মমভাবে হত্যা করে৷ কেননা ছেলেটি তাকে বিয়ে করতে রাজি ছিল না৷ আর গোপনে তাদের যৌনমিলনের দৃশ্য ভিডিও করেছিল, জানিয়েছেন প্রসিকিউটর কাজি সাব্বির আহমেদ৷

তিনি বলেন, ‘‘অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে ছেলেটির যৌনমিলনের ভিডিও খুন করা মেয়েটি দেখেছিল, ছেলেটির ল্যাপটপে৷''

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আর অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় প্রেমিক এমদাদুল হককে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সোনালী৷ প্রেমিককে হত্যার আগে অবচেতন করতে বিশটি ঘুমের বড়ি মিশ্রিত কোমল পানীয় পান করায় সে৷ এরপর ২৮-বছর বয়সি প্রেমিকের হাতপা বেঁধে তাকে জবাই করে হত্যা করে সোনালী৷ সবশেষে তাঁর বুকের বামপাশে কেটে হৃদযন্ত্র বের করে ফেলে৷

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের বিচার কি হয় তা দেখতে সোমবার খুলনার আদালতে হাজির হন অনেক মানুষ৷ আদালত সোনালীর শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করে৷ প্রেমিকের হৃদযন্ত্র বের করে আনার কারণ হিসেবে খুনি আদালতকে জানায়, সে দেখতে চেয়েছিল তার প্রেমিকের হৃদয় কত বড়৷ কেননা সে মনে করেছিল, তার প্রেমিক যেসব ‘দুষ্কর্ম' করেছে তার জন্য তার হৃদযন্ত্র বড় হওয়ার কথা!

উল্লেখ্য, সোনালী ২০১৪ সালে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় এবং খুলনার আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ আছে তার৷ তবে উচ্চ আদালত যদি মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে তাহলে সোনালী হবে ফাঁসিতে ঝোলা বাংলাদেশের প্রথম নারী৷

এআই/ডিজি (এএফপি, বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য