প্রিন্স সালমানের বিরুদ্ধে মামলা মার্কিন আদালতে খারিজ
৭ ডিসেম্বর ২০২২২০১৮ সালে তুরস্কের সৌদি কনসুলেটে মার্কিন-সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়৷ এরপর খাশোগির বাগদত্তা হাতিজে জেঙ্গিস মামলাটি দায়ের করেছিলেন৷
এর আগে মার্কিন গোয়েন্দারা তদন্ত শেষে জানিয়েছিলেন, খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন সালমান৷
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গতমাসে বলেছিল, সৌদি প্রশাসনে সালমানের উঁচু অবস্থান থাকায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত৷
ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল জাজ জন বেটস বলেন, জেঙ্গিস ও খাশোগির মানবাধিকার সংস্থা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সালমানের সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে ‘শক্তিশালী' ও ‘মেধাবী' যুক্তি দিয়েছিল৷
কিন্তু মার্কিন সরকারের অবস্থান প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা তার নেই বলে জানান তিনি৷
বেটস বলেন, বাইডেন প্রশাসন ‘সৌদি আরবসহ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক ইস্যুগুলোর জন্য দায়বদ্ধ৷ ফলে সালমানের ইমিউনিটি বা দায়মুক্তির বিষয়ে এই আদালত অন্যরকম সিদ্ধান্ত দিলে সেটা ঐ বিষয়গুলোতে অযথা হস্তক্ষেপ করবে'৷
বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা মার্কিন আদালতে দায়মুক্তি পেয়ে থাকেন৷ সালমানকে গত সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়৷
বেটস বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য' অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রিন্সের দায়িত্ব পাওয়ার সময় ও সালমানের বিষয়ে মার্কিন সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার সময় তাকে ‘অস্বস্তিতে' ফেলেছিল৷
খাশোগির প্রতিষ্ঠা করা সংস্থা ‘ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাও' মঙ্গলবারের রায়ের সমালোচনা করেছে৷
খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সালমান৷
ওয়াশিংটন পোস্টের কলামনিস্ট খাশোগি সৌদি সরকার ও সালমানের নীতির কট্টর সমালোচক ছিলেন৷
জেডএইচ/কেএম (এএফপি, এপি, রয়টার্স)