1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগ নেতার ঘুসি

ফয়সাল শোভন
২৫ মার্চ ২০১৯

১৮ মার্চের উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় একটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে মারধর করেছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমান৷ এই ঘটনার ভিডিওটি দেখুন৷

https://p.dw.com/p/3FcMN
Awami league  leader  polling center  Bangladesh   Video Screenshot
ছবি: DW

অধ্যাপক রহমান কমলগঞ্জ উপজেলার দুইবারের চেয়ারম্যান৷ স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে নিকটতম প্রার্থীর চেয়ে ৩০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন তিনি৷

এর আগে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন তিনি৷ 

নির্বাচনের দিন ভোট চলাকালে একটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে তাঁর মারধর ও হেনস্তা করার ভিডিও ডয়চে ভেলের কাছে আছে৷ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন মারধরের শিকার হওয়া নির্বাচনি কর্মকর্তাও৷ তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বলছেন, তিনি মারধর করেননি, শুধু ফোন কেড়ে নিতে চেয়েছেন৷

প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে মারছেন আওয়ামী লীগ নেতা

কী আছে ভিডিওতে

ঘটনাটি কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের৷ মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. ইফজালুর রহমান চৌধুরী চেয়ারে বসে কাউকে মোবাইলে ফোন দেয়ার চেষ্টা করছেন৷ তাঁর সামনে তখন উত্তেজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমান৷ তাঁকে ফোনটি ছাড়ার জন্য বারবার নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি, সেই সঙ্গে জোর করে ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন৷ এক পর্যায়ে ইফজালুর রহমান চৌধুরীর মুখে সজোরে ঘুসি বসিয়ে দেন রফিকুর রহমান৷ শেষ পর্যন্ত ফোনটিও কেড়ে নেন তিনি৷ ইফজালুর রহমান চৌধুরীকে এসময় তাঁর চেয়ারে অসহায়ভাবে বসে থাকতে দেখা যায়৷

‘‘কেন ওনার মাথা গরম হয়েছে বুঝতে পারিনি'' 

বিষয়টিকে আর আমি বাড়াতে চাচ্ছি না: ইফজালুর রহমান চৌধুরী

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. ইফজালুর রহমান চৌধুরী৷ তবে তিনি এটিকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷ এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি৷ ঘটনাটি সাড়ে এগারোটা থেকে পৌনে বারোটার মধ্যে ঘটেছে বলে জানান তিনি৷ ডয়চে ভেলেকে ইফজালুর রহমান বলেন, ‘‘সঠিক বুঝতে পারিনি কী নিয়ে ওনার মাথা গরম হয়েছে৷'' বিষয়টি পরে কাউকে জানাননি দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমাদের একটা মিউচ্যুয়াল হয়েছে৷ ভোটের সময় প্রার্থীদের মাথাতো একটু গরম থাকেই৷ এটা এক্সিডেন্টালি হয়েছে৷'' চাকুরির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টিকে আর আমি বাড়াতে চাচ্ছি না৷'' ইফজালুর রহমান চৌধুরী ফুলবাড়ি চা বাগানের সহ-ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷

‘‘কাড়াকাড়ি হয়েছে, মারধর করিনি'' 

মোবাইল কাড়াকাড়ি হইছে মারধর হয় নাই: রফিকুর রহমান

নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান বলছেন, তিনি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে মারধর করেননি৷ সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘উনি (ইফজালুর রহমান চৌধুরী) দরজা বন্ধ করে রুমের ভিতরে বসেছিলেন৷ সাংবাদিকরা পুলিশ দিয়ে তারপর খুলছে৷ জিজ্ঞাসা করেছে আপনার এখানে ভোট কতটা কাস্ট হয়েছে৷ ভোট কাস্ট হয়েছে ৩৫২টা, কিন্তু উনি বলেছেন ৮৫২টা৷'' ইফজালুর রহমান চৌধুরীর কক্ষে যাওয়ার পর তিনি বিভিন্ন দিকে ফোন দিচ্ছিলেন বলে জানান রফিকুর রহমান৷ বলেন, ‘‘ওনারে বললাম ফোন বন্ধ করেন৷ উনি বন্ধ করে না৷ এই ওনার সাথে ফোন নিয়ে কাড়াকাড়ি হইছে, উনি ফোন দেয় না৷'' কিন্তু মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন রফিকুর রহমান৷ দাবি করেন, ‘‘মোবাইল কাড়াকাড়ি হইছে মারধর হয় নাই৷'' 

রফিকুর রহমান দাবি করেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা  ভোট কারচুপি  করছিলেন৷ বিষয়টি অভিযোগ না করে কেন তার উপর চড়াও হলেন এ প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘যখন ফোন দেয়, তখন মাথা টাথা গরম তো, উত্তেজনার ব্যাপারতো৷ তখনই কাড়াকাড়ি হয়েছে এই আরকি?''

DW Mitarbeiterportrait | Faisal Ahmed
ফয়সাল শোভন ডয়চে ভেলের মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক৷@FaisalShovon14
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান