1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রশ্নের মুখে টেক্সাসের গর্ভপাতবিরোধী আইন

১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

টেক্সাসের গর্ভপাতবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে মামলা করল দেশের আইনবিভাগ। প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।

https://p.dw.com/p/408jZ
টেক্সাস
ছবি: Michael M. Santiago/Getty Images

টেক্সাসের গর্ভপাতবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে মামলা করল দেশের আইনবিভাগ। প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।

মেয়েদের নিজের শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আছে। অ্যামেরিকার আইন এবং সংবিধান সেই অধিকার দেয়। টেক্সাসের গর্ভপাতবিরোধী আইনের সমালোচনা করতে গিয়ে এই ভাষায় কথা বলেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ওই আইন যাতে বাস্তবায়িত না হয়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। দেশের আইনবিভাগ বা জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট টেক্সাসের ওই আইনটির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। স্বয়ং দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মামলাটি লড়ছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গার্লল্যান্ড জানিয়েছেন, টেক্সাসের আইনটি সংবিধানসম্মত নয়। কোনো রাজ্য সংবিধানের মূল ভাবনা থেকে সরে গিয়ে আইন জারি করতে পারে না। মার্কিন সংবিধান দেশের মানুষের অধিকারের বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কিন্তু টেক্সাসের আইন নারীর অধিকারকেই চ্যালেঞ্জ করে বসেছে। সে কারণেই ওই আইনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

কী আছে আইনে

টেক্সাস সম্প্রতি গর্ভপাতবিরোধী আইন জারি করেছে। আইনে কার্যত নারীদের গর্ভপাতের বিষয়টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আইনের ব্যাখ্যায় আদালত জানিয়েছে, সম্প্রতি চিকিৎসকদের একটি দল এক পরীক্ষা চালায়। তাতে দেখা যায়, ছয় সপ্তাহের মাথাতেই ভ্রূণের হার্ট সচল হয়ে যায়। যারা গর্ভপাত করাতে চান, ছয় সপ্তাহের মধ্যে তারা অধিকাংশ সময় বুঝতেও পারেন না যে তারা গর্ভবতী। সে কারণেই গর্ভপাত কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিরোধী মত

অ্যামেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, এই আইন সংবিধানবিরোধী। নারীর অধিকার খর্ব করছে এই আইন। দেশের একেকটি রাজ্য একেকরকম ভাবে এধরনের আইন তৈরি করতে পারে না। সে কারণেই মামলা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও আইনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। তার মতে, আইনটি অমার্কিনি।

সুপ্রিম কোর্ট

এর আগে বেশ কিছু এনজিও ওই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। তবে ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের মামলা সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে দেখে, সেটাই এখন দেখার।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)