প্রযুক্তির সাহায্যে ম্যাজিক আরও জাদুময়
৯ আগস্ট ২০১৮জটিল প্রযুক্তি প্রয়োগ করে চোখে ধুলো দেওয়াই ভ্যালেন্স-এর বৈশিষ্ট্য৷ তাঁর সরঞ্জাম লাস ভেগাসেই তৈরি৷ প্রত্যেক অনুষ্ঠানের আগে সেটি পরীক্ষা করতে হয়৷ তাঁর সর্বশেষ চমক হলো এমন করাত, যা দিয়ে মঞ্চে আসা কোনো দর্শকের মাথা কেটে ফেলার বিভ্রম সৃষ্টি করা যায়৷ অবশ্যই সেই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি হয় না৷ কিন্তু মঞ্চে কাজে লাগানোর আগে সেই কৌশলকে আরও নিখুঁত করে তুলতে হবে৷
পিটার বলেন, ‘‘দেখতে অবশ্যই অত্যন্ত মৌলিক মনে হলেও ম্যাজিকের ক্ষেত্রে সেটাই প্রবণতা৷ মানুষ আর এখন চাকচিক্য পছন্দ করেন না৷ এখন সবকিছু দেখতে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল' বা ব্যবহৃত হতে হবে৷ অর্থাৎ দেখলে মনে হবে ওয়ার্কশপ থেকে এসেছে, অনেকবার ব্যবহার করা হয়েছে৷''
মঞ্চে তাঁর নাম পিটার ভ্যালেন্স হলেও আসল নাম পেটার ম্যুনস্ট৷ বয়স ৩৮৷ জার্মানির দক্ষিণে জন্ম হলেও এখন তিনি বার্লিনে থাকেন৷ বছরে ৭০০র মতো অনুষ্ঠান করেন ভ্যালেন্স৷ যেখানেই যান, সঙ্গে অনেক লটবহর নিয়ে যেতে হয়৷
প্রায় ২০ বছর ধরে পেশাদারী শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন তিনি৷ ম্যাজিকের প্রতি তাঁর আকর্ষণ শিশু বয়সেই শুরু হয়েছিল৷ তবে এমন কৌশল আয়ত্ত করতে অনেক প্র্যাকটিসের প্রয়োজন হয়৷ যত কম বয়সে শুরু করা যায়, ততই ভালো৷ পিটার ভ্যালেন্স বলেন, ‘‘এটা এমন এক ম্যানিপুলেশন ট্রিক, অর্থাৎ ম্যাজিকের এমন কৌশল যা পুরোপুরি ছলচাতুরীর উপর নির্ভরশীল৷ সবার আগে এটাই শিখতে হয়৷ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে হাতসাফাই৷''
জাদুকররা ম্যাজিক দেখান বটে, কিন্তু তাঁদের নিয়মিত অনুশীলন করে যেতে হয়৷ পিটারের নিজস্ব রিহার্সাল কামরাও আছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটাই হলো আসল মজা৷ মানুষ বিশাল মাত্রার চোখ-ধাঁধানো ম্যাজিক কৌশল দেখে মুগ্ধ হন বটে, কিন্তু কখনো ছোট আকারের হাতসাফাইয়ের ম্যাজিক তাঁদের সবচেয়ে বিস্মিত করে৷''
বাহুল্যবর্জিত হলেও সেগুলিই সবচেয়ে জাদুময় মূহূর্ত৷
বেটিনা বুশ/এসবি