1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নাস্তিক হত্যার বৈধতা দেয়া হচ্ছে'

আরাফাতুল ইসলাম২০ এপ্রিল ২০১৬

ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশত্যাগী একজন ব্লগার৷ তিনি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ব্লগারদের বিপদ বাড়াচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1IYsh
শেখ হাসিনা
ছবি: Getty Images/AFP/D. Emmert

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সপ্তাহে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘মুক্তচিন্তার নামে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া বিকৃত রুচি ও নোংরা রুচির পরিচয়৷'' পাশাপাশি তিনি এ ধরনের লেখালেখির কারণে হামলার শিকার হলে তার দায় সরকার নেবে না বলেও জানিয়েছেন৷

সামাদ হত্যার পর সরকারের অবস্থান

সর্বশেষ ঢাকায় অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যাকাণ্ডের পর এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী৷ সামাদ ছিলেন একজন নাস্তিক এবং গত ৬ এপ্রিল ঢাকায় তাঁকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করা হয়৷ ফেসবুকে ইসলাম ধর্মের সমালোচনামূলক একাধিক পোস্ট করেছিলেন তিনি, যেগুলাকে হত্যার কারণ হিসেবে দেখিয়ে টুইটারে তার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আনসার আল-ইসলাম৷

বর্তমানে ইউরোপে নির্বাসিত ব্লগার ‘নাস্তিকের ধর্মকথা' বলেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর ধর্ম সম্পর্কে কেউ যদি লেখে তাহলে তিনি তা বরদাশত করবেন না! এটি সরাসরি চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি সরাসরি হুমকি৷''

‘নাস্তিকের ধর্মকথা' একটি ছদ্মনাম৷ এই নামে লেখালেখি করলেও উগ্রপন্থিদের কাছে তাঁর পরিচয় গোপন থাকেনি৷ বরং একাধিক ‘হিট লিস্টে' তাঁর নামে প্রকাশ হয়েছে৷ ফলে এক পর্যায়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্বৃত করে তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ধর্মের বিরুদ্ধে ‘নোংরা' কথা বললে যদি কোনো অঘটন ঘটে যায়, তবে তার দায় সরকার নেবে না৷ বাস্তবিক অর্থে এই কথাটি বলার মধ্য দিয়ে সরকার এ পর্যন্ত ঘটা নাস্তিক-মুক্তমনাদের সমস্ত হত্যাকাণ্ড, আক্রমণের বৈধতা দিলেন এবং ভবিষ্যতেও নাস্তিকদের যাতে একের পর এক খুন করা হয় – সে ব্যাপারে আমন্ত্রণ, উৎসাহ ও আহ্বান জানালেন৷''

দ্য বব্স প্রতিযোগিতায় ‘‘রেজর'স এজ''

‘নাস্তিকের ধর্মকথা' সম্প্রতি একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছেন, যা ডয়চে ভেলের দ্য বব্স প্রতিযোগিতার ‘নাগরিক সাংবাদিকতা' বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে৷ এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘দ্য ববস প্রতিযোগিতায় ‘‘রেজর'স এজ''-এর মনোয়ানায়ন পাওয়া আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা৷ এই ডকুমেন্টারি আমার কাছে যতখানি না একটি ডকুমেন্টারি, তার চাইতেও এটি আমার কাছে একটিভিজমের মাধ্যমে৷''

মূলত, বাংলাদেশে কি চলছে তা বিশ্বকে দেখিয়ে দেয়া এবং এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্যে বাংলাদেশ সরকারের উপরে চাপ প্রয়োগ করার জন্য ও সংকটে থাকা ব্লগারদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্যে বিশ্ববাসীকে আহবান জানানোর উদ্দেশ্যে তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন নাস্তিকের ধর্মকথা৷ ইতোমধ্যে তা বিশ্বের একাধিক দেশে একাধিক ফোরামে প্রদর্শিত হয়েছে৷ পাশাপাশি ইউটিউবেও ভিডিওটির একাধিক সংস্করণ রয়েছে৷

মুক্তমনা এই ব্লগার বলেন, ‘‘দ্য ববস প্রতিযোগিতায় এই ডকুমেন্টারির মনোনায়ন পাওয়ার মাধ্যমে আরো অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ বস্তুত এর মাধ্যমে ডিডাব্লিউ বা ‘দ্য ববস' আমার অ্যাক্টিভিজমের পাশে দাড়াঁলো ও অংশীদার হলো, আমি এভাবেই দেখছি৷ সে জন্যে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ৷''

দ্য বব্স প্রতিযোগিতায় ‘‘রেজর'স এজকে'' ভোট দিতে ক্লিক করুন এখানে৷ খেয়াল রাখবেন, ভোট দেয়ার আগে প্রথমে ওয়েবসাইটটিতে ‘লগ-ইন' করতে হবে৷ আর ‘লগ-ইন' অপশন পাবেন সাইটটির উপরের দিকে৷ সেখানে থাকা ফেসবুক বা টুইটার বাটনে ক্লিক করে লগ-ইন করুন৷ এরপর ‘নাগরিক সাংবাদিকতা' বিভাগ এবং ‘‘রেজর'স এজ'' বাছাই করে টিপে দিন ভোট বাটন৷ প্রতি ২৪ ঘণ্টায় একবার ভোট দেয়া যায়৷

নাস্তিক হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দেয়া নিয়ে আপনার মত কী? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য