1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘প্রথম আধুনিক ব্রাইটন শ্যাম বর্ণের ছিলেন’

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রায় ১০ হাজার বছর আগে বসবাসকারী এক ব্যক্তির ডিএনএ বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন লন্ডনের বিজ্ঞানীরা৷ ঐ ব্যক্তির চোখের রং নীল ছিল বলেও জানিয়েছেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/2sVHS
ছবি: Getty Images/AFP/J. Tallis

ব্রিটেনের ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একটি যৌথ প্রকল্পের আওতায় বিজ্ঞানীরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মাথার খুলিতে দুই মিলিমিটার গর্ত করে ডিএনএ সংগ্রহ করেন৷

UK Cheddar-Man
কংকালটির মানুষকে ‘চেড্ডার ম্যান' ডাকা হচ্ছেছবি: Getty Images/AFP/J. Tallis

দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের চেড্ডার এলাকার একটি গুহায় ১৯০৩ সালে কংকালটি পাওয়া গিয়েছিল৷ তাই কংকালটির মানুষকে ‘চেড্ডার ম্যান' ডাকা হচ্ছে৷

প্রথম দিকে কংকালটি নিয়ে যে পরীক্ষা হয়েছিল, সেখানে বিজ্ঞানীরা চেড্ডার ম্যানের চোখের রং খয়েরি আর ত্বকের রং সাদা বলে ধারণা করেছিলেন৷

ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের ক্রিস স্ট্রিঙ্গার বলেন, ‘‘এটি খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে, ১০ হাজার বছর আগে একজন ব্রিট-এর এমন নীল চোখ আর শ্যাম বর্ণ ছিল৷''

নতুন এই গবেষণার ফল থেকে বিজ্ঞানীরা এই ধারণা করছেন যে, উত্তর ইউরোপের মানুষদের ফর্সা রংয়ের বৈশিষ্ট্যটি সাম্প্রতিক সময়ের, অর্থাৎ যতটা অতীতের মনে করা হয়েছিল, আসলে ততটা আগের নয়৷ 

চেড্ডার ম্যানসহ তাদের গোত্রের মানুষজন সবশেষ বরফ যুগের শেষের দিকে ব্রিটেনে অভিবাসন করেছিলেন৷ চেড্ডার ম্যানের ডিএনএর সঙ্গে আধুনিক যুগের স্পেন, হাঙ্গেরি ও লুক্সেমবার্গের মানুষদের মিল পাওয়া যাচ্ছে৷

ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের প্রাচীন ডিএনএ নিয়ে গবেষণা করা সেলিনা ব্রেস বলেন, ‘‘গুহার পরিবেশের কারণে চেড্ডার ম্যানের শরীরের অংশ অক্ষত ছিল৷ গুহার ঠাণ্ডা, শুকনো পরিবেশ ডিএনএ-র ভেঙে যাওয়া রোধ করেছে৷''

এদিকে, থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের সাহায্যে চেড্ডার ম্যানের একটি আবক্ষ মূর্তি তৈরি করা হয়েছে৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের জন্য তৈরি উচ্চপ্রযুক্তির এক স্ক্যানার ব্যবহার করে মূর্তিটি নির্মাণ করা হয়েছে৷ এতে সময় লেগেছে প্রায় তিন মাস

আলফনস কেনিস তাঁর ভাই আদ্রির সঙ্গে মিলে কাজটি সম্পন্ন করেন৷ ডিএনএ বিশ্লেষণ করে পাওয়া তথ্য ‘বৈপ্লবিক' বলে মন্তব্য করেন আলফনস কেনিস৷ চ্যানেল ফোর নির্মিত এক ডকুমেন্টারিতে তিনি বলেন, ‘‘অভিবাসন প্রক্রিয়ার ইতিহাসের গল্প এটি৷ আমরা সবাই অভিবাসী৷'' ১৮ ফেব্রুয়ারি ডকুমেন্টারিটি দেখানো হবে৷