1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রতিবন্ধীদের মনে আশা জাগাচ্ছে ‘আবারো হাঁটা’

কামিলা রুটকস্কি/এআই৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪

শারীরিক প্রতিবন্ধী বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ তৈরি করেছেন রোবটচালিত পা যা পরিচালনা করা যাবে মস্তিষ্কের তরঙ্গের মাধ্যমে৷ বিজ্ঞানীদের এই উদ্ভাবন ইতোমধ্যে সাড়া জাগিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1D7VN
‘ওয়াক এগেইন' প্রকল্পের একটি ছবিছবি: cotesys.org

হুইলচেয়ার ছাড়া তাদের জীবন এতকাল প্রায় অচল ছিল৷ তবে মিগুয়েল নিকোলেলিসের এক প্রকল্প পরিস্থিতি বদলে দিচ্ছে৷ প্রকল্পের নাম ‘ওয়াক এগেইন' বা ‘আবারো হাঁটা'৷ এমনকি বিশ্বকাপের উদ্ভোধনীতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এই প্রকল্প৷ রোবটচালিত নকল পা ব্যবহার করে বলে শট নিয়েছিলেন এক পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তি৷

এই রোবট পা প্রতিবন্ধীদের আবারো হাঁটতে সহায়তা করছে৷ আর এটি পরিচালিত হয় মস্তিষ্ক থেকে পাওয়া তরঙ্গের ভিত্তিতে৷ নকল পায়ের নাম: বিআরএ সান্তোস ডুমমোন্ড ১৷

এমন পা তৈরিতে সতের মাস কাজ করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ তবে গবেষণা শুরু হয়েছিল বহু আগে৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকরা একত্রে কাজ করেছেন৷ ‘ওয়াক এগেইন' প্রকল্পের মিগুয়েল নিকোলেলিস এই বিষয়ে বলেন, ‘‘এটা এক সম্মিলিত উদ্যোগ৷ গত ৩০ বছর প্রাণীদের দিয়ে এ বিষয়ে গবেষণা করা হয়েছে৷ সেই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান আমরা গত চার বছর ক্লিনিক্যাল টেস্টে কাজে লাগিয়েছি৷ আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের সঙ্গে কাজ করেছি: জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ব্রাজিল...মোট ২৫টি দেশ৷''

প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা ব্যবহারকারীর মাথায় থাকা ক্যাপের মাধ্যমে মস্তিষ্কের তরঙ্গ রোবট চালিত নকল পায়ে পৌঁছায়৷ ইলেকট্রিক সিগন্যাল এভাবে চার্ট তৈরি করে৷ প্রক্রিয়াটি জটিল৷

নিকোলেলিস বলেন, ‘‘নকল পায়ের উপরের অংশে রয়েছে ককপিট৷ আর রোগীর মাথায় থাকা ক্যাপ মস্তিষ্কের কার্যকলাপের দিকে নজর রাখে৷ মস্তিষ্ক মোটর সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এমপ্লিফায়ারে লিপিবদ্ধ হয়৷ আর সিগন্যাল শনাক্ত করা গেলে নকল পায়ের সঙ্গে যুক্ত কম্পিউটার সেটি পর্যালোচনা করে এবং ব্যবহারকারীর ইচ্ছা বোঝার চেষ্টা করে৷

তিনি বলেন, ‘‘উদাহরণস্বরুপ হাঁটা কিংবা শ্যুটের কথা বলা যায়৷ রোগীর সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে রোবটটি নিতম্ব, হাঁটু এবং পায়ের গতিবিধি নির্ধারণ করে৷ নকল পায়ের বিভিন্ন অংশ সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নেয়, ঠিক যেমনটা ব্যবহারকারী চান৷''

তবে নিরাপদে হাঁটতে হলে ব্যবহারকারীকে মাটির স্পর্শও অনুভব করতে হবে৷ বিজ্ঞানীরাও বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছেন৷ এজন্য তারা কৃত্রিম চামড়া তৈরি করেছেন৷ এই চামড়ায় বিশেষ সেন্সর বসানো রয়েছে যা চাপ, তাপমাত্রা এবং গতি শনাক্তে সক্ষম৷ রোবটচালিত কৃত্রিম পায়ের তলায় তা যুক্ত আছে৷

মনে হতে পারে হলিউড সিনেমা থেকে বোধহয় এমন প্রকল্পের উদ্ভব৷ বিজ্ঞান আর ব্রাজিলের জন্য এটি আরেক সম্ভাবনা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য