প্যান্ট-বিহীন মেট্রো যাত্রা!
বছরে একদিন প্যান্ট না পরে মেট্রোয় চড়তে হবে৷ শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমনটাই হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মেট্রোতে৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
ঠিক কেমন এই যাত্রা?
‘নো প্যান্টস সাবওয়ে রাইড’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ইম্প্রভ এভ্রিহোয়্যার’-এর মস্তিষ্কপ্রসূত৷ ২০০২ সালে মাত্র সাতজন এই যাত্রায় শামিল হলেও বর্তমানে এই প্যান্ট-বিহীন মেট্রোযাত্রা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের আনাচে কানাচে৷
কবে ও কোথায়?
প্রতি বছর ডিসেম্বরের শেষদিকে ‘ইম্প্রভ এভ্রিহোয়্যার’-এর ওয়েবসাইটে একটি তালিকা প্রকাশিত হয়৷ সেখানে কোন শহরে, কোন দিন এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে, তা জানিয়ে দেয়া হয়৷ সাধারণত জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে এই যাত্রা হয়ে থাকে৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নাট্য বা কৌতুক সংগঠনগুলো এতে যোগ দিয়ে থাকে৷
‘নো প্যান্টস’ কেন?
উদ্যোক্তাদের মতে, জনগণের মধ্যে নিছক হাস্যরস জাগানোর উদ্দেশ্যেই এই কর্মসূচির আয়োজন করেন তাঁরা৷ কিন্তু অনেকেই মনে করেন, এই কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের শরীর নিয়ে ‘পজিটিভিটি’ বা ইতিবাচকতা ছড়াতে সক্ষম হতে পারে৷
নিউইয়র্কে ‘নো প্যান্টস’
নিউইয়র্কে প্রথমবার একেবারেই সফল হয়নি এই ‘বিনা প্যান্টে’ মেট্রো যাত্রা৷ কিন্তু ২০০৬ সালে এতে যোগ দিয়েছিলেন দেড়শ’রও বেশি মানুষ৷ ২০১৩ সালেও সেখানে বেশ উৎসাহের সাথে পালিত হয়েছে এই অভিনব যাত্রা৷
সারাবিশ্বে ‘নো প্যান্টস’
গত সতেরো বছরে এই অভিনব ইভেন্টটি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশে৷ ২০০২ সালে সূচনার পর এখন এই ‘নো প্যান্টস’ হিড়িক এসে পৌঁছেছে ইউরোপেও৷ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ছাড়াও এখন পর্যন্ত জার্মানি, রাশিয়া, বেলজিয়াম, ফিনল্যাণ্ড, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগাল, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যাণ্ডের বাসিন্দারা এমন রাইডে অংশ নিয়েছেন৷
এশিয়াতেও ‘নো প্যান্টস’
পশ্চিমা বিশ্বের পর এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও লেগেছে বিনা প্যান্টে মেট্রো চড়ার ধুম৷ ২০১৩ সালেই ইসরায়েল ও ভারতের কিছু শহরে স্বল্পক্ষণের জন্য কিছু মানুষ প্যান্ট ছাড়াই মেট্রো চড়েছিলেন৷ কিন্তু প্রশাসনের দিক থেকে বিরোধিতার শিকারও হন সেইসব নাগরিকরা৷
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
২০১৬ সালে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে কিছু মানুষ ‘নো প্যান্টস সাবওয়ে রাইড’ পালন করতে নেমে পড়েন৷ কিন্তু বাধা আসে প্রশাসনের দিক থেকে৷ অভিযোগ ওঠে, জনসাধারণের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এই রাইড৷ এরকম প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে অন্যান্য দেশের পুলিশকর্মীদের মধ্যেও৷