1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃতদেহ

৯ ডিসেম্বর ২০২১

বুধবার পোল্যান্ডের সেনা ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীর দেহ উদ্ধার করেছে। তার ব্যাগ থেকে নাইজেরিয়ার পাসপোর্ট মিলেছে।

https://p.dw.com/p/441Im
বেলারুশ
ছবি: Policja Podlaska/REUTERS

পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে এখনো ভয়াবহ অবস্থা। একদিকে দুই দেশের মধ্যে তীব্র বিতর্ক চলছে। যাতে অংশ নিয়েছে ইউরোপের একাধিক দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অন্যদিকে প্রবল ঠান্ডায়জঙ্গলেবসে থাকা একের পর এক অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলির মতে, গত কয়েকসপ্তাহে অন্তত ডজনখানেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার রাতে পোল্যান্ডের সেনা জানিয়েছে, বেলারুশ সীমান্তে পেট্রোলিং চালানোর সময় তারা ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। তার দেহের পাশে একটি ব্যাকপ্যাক পড়ে ছিল। সেখান থেকেই নাইজেরিয়ার পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। ওই ব্যক্তির কাছেই আরো কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশীর সন্ধান মেলে। প্রবল ঠান্ডার মধ্যে তারা জঙ্গলে বসে ছিলেন। সেনা অফিসারদের তারা জানান, বেলারুশ সেনা সীমান্ত পার করে তাদের ওই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। পোল্যান্ডের সেনা ফের তাদের বেলারুশের দিকে পাঠিয়ে দেয়।

ইউরোপের একাধিক দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিযোগ, ইইউ- উপর চাপ সৃষ্টি করতেই বেলারুশ এই সংকট তৈরি করেছে। মধ্য প্রাচ্য থেকে ইউরোপে ঢোকার নতুন রাস্তা বেলারুশের মদতেই তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। শয়ে শয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশী এখন বেলারুশ হয়ে পোল্যান্ড ঢুকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে চাইছেন। কিন্তু পোল্যান্ড সীমান্ত সিল করে দিয়েছে। বিশাল সংখ্যক সেনা তারা সীমান্তে মোতায়েন করেছে। ব্রিটেনও তাদের সীমান্ত পাহারায় সাহায্য করছে। বুধবার চেক প্রজাতন্ত্রও জানিয়েছে তারা পোল্যান্ড সীমান্তে ১৫০ চেক সেনা পাঠাতে পারে।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অবস্থা

ইউরোপে আশ্রয়ের খোঁজে যে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা এই রাস্তায় এসেছিলেন, তাদের অবস্থা এখন ভয়াবহ। পোল্যান্ড তাদের ঢুকতে দিচ্ছে না, বেলারুশ তাদের ফিরতে দিচ্ছে না। ফলে জঙ্গলেই দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। তার মধ্যে ভয়াবহ শীত। সামান্য খাবার জলও তারা পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলির অভিযোগ। তাদের মতে, সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত ডজনখানেক মানুষ মারা গেছেন। তবে বেসরকারি হিসেব আরো বেশি।

এসজি/জিএইচ (এএফপি, রয়টার্স)