1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজপাকিস্তান

পেশোয়ার বিস্ফোরণ: লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

৩১ জানুয়ারি ২০২৩

এখনো পর্যন্ত ৫৯ জন বিস্ফোরণে নিহত। হাসপাতালে ভর্তি শতাধিক ব্যক্তি। মসজিদে বিস্ফোরণের দায় অস্বীকার করেছে তালেবান।

https://p.dw.com/p/4Mthe
পাকিস্তান বিস্ফোরণ
ছবি: Muhammad Sajjad/AP Photo/picture alliance

পেশোয়ারের যে মসজিদে সোমবার বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে এখনো জায়গায় জায়গায় রক্তের দাগ। ঘটনার পর যাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাদের অনেকেই মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট ৫৯জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে। তবে কোনো কোনো পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম মৃতের সংখ্যা আরো বেশি বলছে। হাসপাতালে এখনো ভর্তি অন্তত ১৫০জন। যদিও পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, হাসপাতালে ৩০০ মানুষকে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত ও আহতদের মধ্যে অধিকাংশই পুলিশ। ওই সময় মসজিদে তারা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন নামাজ পড়ার জন্য।

পুলিশ জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছে মসজিদে। ঘটনাস্থলে বিস্ফোরক এবং আত্মঘাতী হামলাকারীর দেহাংশ মিলেছে। শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে সে মসজিদে ঢুকেছিল। পেশোয়ারের ওই মসজিদে নিরাপত্তা ব্যবস্থার যথেষ্ট কড়াকড়ি ছিল। তারপরেও কীভাবে ওই জঙ্গি কীভাবে বোমা নিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দিকে দিকে নিন্দা

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, ''যারা এই কাজ করেছে, তাদের ছাড়া হবে না। তবে এই আক্রমণের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই।'' ঘটনাটিকে পাকিস্তানের উপর আক্রমণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন শরীফ। প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যেতে পারেন শরীফ।

বিস্ফোরণের নিন্দা করেছেন জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, ঘটনাটি আরো দুর্ভাগ্যজনক কারণ ধর্মীয় উপাসনালয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ধর্মপালনের স্বাধীনতার উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে।

তালেবানের পাকিস্তানি গোষ্ঠী তেহেরেক-ই-তালেবানের এক নেতা সোমবার ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল। কিন্তু তার দশঘণ্টার মধ্যে তালেবানের মুখপাত্র জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো যোগ নেই। ভুলবশত দলের নেতা ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল। মসজিদে তারা বিস্ফোরণ ঘটায় না বলে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের কাছে এখনো স্পষ্ট নয়, কারা এ কাজ করেছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডন)