1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পেশাদার গেমারদের কঠিন জীবনযাত্রা

২৬ এপ্রিল ২০২১

স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটারে ভিডিও গেম খেলতে অনেকেই ভালোবাসেন৷ অনেকের গেমের নেশাও হয়ে যায়৷ তবে সেই চাপ পেশাদারী গেমারদের তুলনায় নগণ্য৷ বার্নআউট ও স্ট্রেসের কারণে অনেকেই হাল ছেড়ে দেন৷

https://p.dw.com/p/3sZ4h
Symbolbild Videospiele
ছবি: picture-alliance/Bildagentur-online/Tetra Images

একটু আরাম করতে, মানুষজনের সঙ্গে মেলামেশা করতে এবং দৈনন্দিন জীবনের চাপ থেকে কিছুটা মুক্ত হতে গেমের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে৷ বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় নিজেকে যেন চেনাই যায় না৷ তবে বেশিরভাগ মানুষ পেশাদার গেমারদের মতো খেলতে পারেন না৷

তবে ভিডিও গেমের বিষয়টি অন্যরকম৷ এর মাধ্যমে নাম, যশ, অর্থ এবং অসংখ্য অনুরাগী গেমারদের হাতের মুঠোয় চলে আসে৷

এই ই-স্পোর্টস কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে উঠেছে৷ গোটা বিশ্বের তরুণ গেমাররা সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন৷ পেশাদার গেমারদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গড়ে ২৩ থেকে ২৫ বছর বয়সেই অবসর নিতে হয়৷

ই-স্পোর্টসপার্সনদের ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক ‘বার্নআউট'-এর সমস্যা বেড়েই চলেছে৷ অথচ সেই সমস্যা নিয়ে যথেষ্ট খোলামেলা আলোচনা হচ্ছে না৷ ধীরে ধীরে পেশাদার গেমাররা এবার বিষয়টি তুলে ধরে পরিবর্তনের দাবি তুলছেন৷

পেশাদার গেমারদের কথা

যেমন ওলোফ কাইবিয়ার গুস্তাফ্সশোন, যিনি ওলোফমাইস্টার নামেই বেশি পরিচিত৷ গেমিং ফ্যানরা তাকে ভালোভাবে চেনে৷ সুইডিশ বংশোদ্ভূত এই গেমার ২০ বছর বয়স থেকে পেশাদার গেমিং-র ক্ষেত্রে সক্রিয়৷ তিনি এর মধ্যে এক কিংবদন্তি হয়ে উঠেছেন এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা ‘কাউন্টার স্ট্রাইক: গ্লোবাল অফেন্সিভ' গেমার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন৷

২০১৫ সালে তিনি নিজের প্রাক্তন টিমকে বিশ্বসেরার খেতাব পেতে সাহায্য করেছিলেন৷ সবচেয়ে দামী গেমারের খেতাবও পেয়েছিলেন তিনি৷ নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ওলোফ বলেন, ‘‘আমি সারা জীবন গেমিং করেছি৷ একই সঙ্গে প্যাশন বা আবেগ এবং জীবন থেকে এক ধরনের ফাঁকির অনুভূতিও ছিল৷ একেবারে অন্য জগতে ডুব দেবার সুযোগ রয়েছে৷ খেলা ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ভাবতে হয় না৷ সেই অবস্থা সত্যি উপভোগ করেছি৷''

তবে ২০১৬ সালে হাতের কব্জিতে চোটের কারণে তিনি বাস্তব জগত ও গেমিং প্রতিযোগিতার চাপ হাড়ে হাড়ে টের পেলেন৷ ওলোফ বলেন, ‘‘এখন সবকিছু আরো বড় হয়ে উঠেছে৷ আরও বেশি প্রতিযোগিতার ফলে চাপও বেড়ে গেছে৷ করোনা সংকটের আগে বছরে দু'শরও বেশি দিন ভ্রমণ করতে হতো৷ সব সময়ে নিজের শক্তি নিংড়ে নিয়ে খেলে চললে প্রচণ্ড ক্লান্তি আসে৷ তোমার ভুল বিশ্লেষণ করার লোক রয়েছে, সে বিষয়ে সবার নিজস্ব মতামত রয়েছে৷''

২০১৭ সালে ব্যক্তিগত কারণে তিনি কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিয়েছিলেন৷ সেই সময়কার সমস্যা সম্পর্কে ওলোফ বলেন, ‘‘আমার আর ঠিকমতো ঘুম হতো না৷ সারাদিন শুধু গেমের কখা ভাবতাম৷ প্রতিদিন অবিরাম স্ট্রেস অনুভব করতাম৷''

তারপর সেই ধাক্কা কাটিয়ে তিনি আবার আসরে ফিরে এলেন৷ কিন্তু ২০২০ সালের মে মাসে ওলোফ তাঁর ফ্যানদের হতবাক করে দিলেন৷ এক টুইট বার্তায় তিনি জানালেন, ক্লান্তি, মানসিক চাপ ও প্রেরণার অভাবের কারণে তিনি পেশাদার গেমিং থেকে দীর্ঘ বিরতি নিচ্ছেন৷ ওলোফ বলেন, ‘‘কোনো টিম দিনে আট ঘণ্টা ধরে গেমিং করছে এবং তোমার থেকে ভালো খেলছে, এমনটা মেনে নেওয়া কঠিন৷ তখন তাদের হারাতে দিনে নয় ঘণ্টা ধরে খেলার গোঁ চাপে৷ প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা অনুশীলন ও পাঁচ ঘণ্টা নিজস্ব ট্রেনিংয়ের পরিণতি মোটেই ভালো হতে পারে না৷''

করোনা সংকটের কারণে সারাদিন অনুশীলনের চাপ আরো বেড়ে গেছে৷ বার্নআউট ও স্ট্রেসের কারণে একাধিক সেরা গেমার চলতি বছর পেশাদার জীবন থেকে বিরতির ঘোষণা করেছেন৷

আমেলিয়া হেমফিল/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য