1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পূর্ব লিবিয়ায় আটক তুরস্কের জাহাজ

৯ ডিসেম্বর ২০২০

পূর্ব লিবিয়ায় আটক তুরস্কের মালবাহী জাহাজ। খালিফা হাফতারের বাহিনী এই জাহাজ আটক করেছে।

https://p.dw.com/p/3mSHt
লিবিয়ায় যুদ্ধ থামলেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজক।ছবি: Reuters/Esam Omran Al-Fetori

তুরস্কের মালবাহী জাহাজ আটক করল খালিফা হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি(এলএনএ)। হাফতার দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করছেন, পশ্চিম লিবিয়ার গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল অ্যাকর্ড(জিএনএ)-কে অস্ত্র সাহায্য করছে এর্দোয়ানের তুরস্ক। ত্রিপোলির এই সরকারকে তুরস্ক ও কাতার সমর্থন করে। আর হাফতারকে সমর্থন করে আমিরাত, মিশর ও সৌদি আরব। এই বিরোধেই ফেঁসেছে তুরস্কের মালবাহী জাহাজ।

এলএনএ জানিয়েছে, পশ্চিম তুরস্কের দিকে যাওয়া একটি জাহাজ তারা আটক করেছে। জাহাজটির নাম মাবরৌকা। তাতে নয় জন তুরস্কের ও সাতজন ভারতীয় নাবিক ছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জাহাজটি নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। লিবিয়ার সেনার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিল না। তাই জাহাজটিকে আটক করা হয়েছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবিলম্বে জাহাজটি ছেড়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, হাফতারের বাহিনী সমানে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখাচ্ছে। যদি এই ভাবে তুরস্কের উপর আঘাত হানার চেষ্টা হয়, তা হলে তারা প্রতিফল পাবে বলে সাবধান করে দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগামী বছর জাতিসংঘের উদ্যোগে তুরস্কে  রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে। নির্বাচনও হওয়ার কথা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ এই উদ্যোগ নিলেও হাফতার ও তাঁর মিলিশিয়া আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তুরস্কের স্বার্থের উপর আঘাত করা হলে, এ বার প্রত্যাঘাত করা হবে। এই নিয়ে চলতি বছরে তুরস্কের দ্বিতীয় জাহাজ আটক করল হাফতারের বাহিনী।

২০১১ সালের বিক্ষোভে গদ্দাফির পতনের পর লিবিয়া এখন দুই ভাগে বিভক্ত। জিএনএ পশ্চিম লিবিয়া শাসন করে এবং এলএনএ পূর্ব লিবিয়া। পশ্চিম লিবিয়া অধিকার করার জন্য হাফতার এক বছর ধরে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তুরস্ক তখন পশ্চিম লিবিয়াকে সামরিক সাহায্য করে। হাফতারের ইচ্ছে সফল হয়নি। গত জুনে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তবে দুই পক্ষের বাহিনীই সীমানায় মোতায়েন করা আছে।

সোমবার এলএনএ জানায়, তুরস্ক এখনো জিএনএ-কে অস্ত্র ও সেনা পাঠিয়ে সাহায্য করছে। তারপরেই এই জাহাজ আটক করা হয়েছে।

জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, এপি, রয়টার্স)