‘পূর্ণাঙ্গ বিরোধী দল থাকলে সংসদ প্রাণবন্ত হয়’
২৬ জুন ২০১৯এসব বিষয় নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রথমবারের মতো সংসদে যোগ দেয়া জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা৷
ডয়চে ভেলে : এবারই তো প্রথম আপনি জাতীয় সংসদে এলেন, প্রথম সুযোগ পাওয়ার পর এই দুই অধিবেশনে কি নিয়মিত অংশ নিয়েছেন?
সুবর্ণা মুস্তাফা: হ্যাঁ, অংশ নিয়েছি৷
কেমন লাগছে?
এটা একেবারেই নতুন জায়গা৷ আমার নিজের যেটা সুবিধা আমি যে কোনো কাজই যখন করি, খুবই মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করি৷ নতুন কাজ যখন করি তখন সেটা শেখার চেষ্টা করি৷ আমি ছাত্রী খুব ভালো ছিলাম৷ যে কারণে দ্রুতই বুঝে উঠতে পারছি৷ এখানে এসে যেটা উপলব্ধি, আপনি যদি বৃহত্তরভাবে কিছু করতে চান তাহলে এর চেয়ে ভালো প্ল্যাটফর্ম আর নেই৷
সংসদ কি প্রাণবন্ত? আপনার কী মনে হয়?
আমরা সবাই জানি, সংসদে পূর্ণাঙ্গ বিরোধী দল থাকলে তা আরো বেশি প্রাণবন্ত হবে৷ বিরোধী দলের কিছু মানুষ (সদস্য) ইতোমধ্যে যোগ দিয়েছেন৷ উনাদের অর্ন্তভূক্ত করে পূর্ণাঙ্গ সংসদ এখনো হয়নি৷ তারা বাজেট সেশনে অংশ নেবেন, তখন এটা আরো বেশি প্রাণবন্ত হবে৷ সংসদের সবাই সরকারি দলের হলে অনেক বিষয়ে তো তর্কবিতর্ক হয় না৷ বিরোধী দল যেটা আছে, জাতীয় পার্টি তারাও যথেষ্ট অংশ নেন৷ আমি আশা করব, এবার বিএনপি আগের মতো ওয়াকআউটের নাটক আর করবে না৷
বিরোধী দলের অভাব আপনি উপলব্ধি করেছেন কিনা?
প্রথম সেশন তো হয়েছে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে৷ আর দ্বিতীয় সেশন তো খুবই কম সময়ের জন্য৷ প্রি-বাজেট সেশন, মাত্র ৪/৫ দিনের জন্য৷ এখানে বিরোধী দলের যতটুকু করার তা তারা করেছে৷
সরকারি দলের সদস্যদের মধ্যে সংসদ নিয়ে উৎসাহ কেমন?
তারা তো বড় জয় নিয়েই সংসদে এসেছেন৷ তাদের তো উৎসাহ থাকবেই৷ কিছুদিন পর এটা নিয়ে হয়ত প্রশ্ন হতে পারে৷
সিনিয়র নেতারা কি নিয়মিত অংশ নেন?
সবচেয়ে সিনিয়র নেতা তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই৷ তিনি দেশে থাকলেই সংসদে আসেন৷ একটি সেশনও মিস করেন না৷ আর তিনি থাকলে তো অন্য নেতারা আসেনই৷
তাদের কাছ থেকে আপনি নিশ্চয় শিখছেন?
যেহেতু লেখাপড়া জানি, আমাদের কাছে বইপত্র পাঠানো হচ্ছে সেগুলো পড়ছি৷ আর সংসদ একটা ভিন্ন জায়গা৷ এখানে সবার কাছেই সবার যাওয়ার সুযোগ আছে৷ সিনিয়র নেতারা সব সময়ই থাকেন, কারো সহযোগিতা লাগলে তারা তো করেনই৷ পুরনো কেউ কিছু জানতে চাইলেও সেটা করেন৷
আপনি কি সংসদে কথা বলেছেন?
আমি চাইলেই কথা বলতে পারি৷ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে যে কেউ কথা বলতে পারেন৷ এটা তো এমন কিছু না৷ আমি সংসদে সুন্দর একটা স্পিচ দিয়েছি, যেটা নিয়ে মিডিয়ায় বেশ আলোচনাও হয়েছে৷ আর আমি তো জুনিয়র কেউ না, যে হঠাৎ করেই সেখানে গিয়ে বসে পড়েছি৷
এ সুযোগ আপনি কিভাবে সামনে কাজে লাগাতে চান?
সামনে সময় আসুক, তখন দেখা যাবে৷ আর নিয়মিত যে কাজটা করা দরকার সেটা তো করছিই৷ একজন সংসদ সদস্যের যে দায়িত্ব সেটা পালন করছি৷ সংসদ সদস্য হওয়াতে মানুষকে সাহায্য করার পরিধি বেড়েছে৷
এই সংসদের অংশ হয়ে আপনি কি গর্ব বোধ করেন কি না?
অবশ্যই গর্ববোধ করি৷ আমি দেশের সর্বোচ্চ অফিসে অফিস করি, গর্ববোধ করব না? না করার কি আছে৷