1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশের সংবাদপত্র, সাংবাদিকতায় পুলিশ

সুলাইমান নিলয় ঢাকা
১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

গত এক দশকে দেশে হু হু করে বেড়েছে অনলাইন পত্রিকার সংখ্যা৷ ২০১৯ সালে তথ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসাবে নিবন্ধন পেতে আট হাজার আবেদন জমা পড়েছে৷ এর মধ্যে সর্বশেষ ঘোষণা দিয়ে বাজারে এসেছে পুলিশের নিউজ পোর্টাল৷

https://p.dw.com/p/408qg
ছবি: news.police.gov.bd

গত ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরে সংস্থাটির মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ এটি উদ্বোধন করেন৷ তিনি এই নিউজ পোর্টালটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক৷ এর সম্পাদক ও প্রকাশক হিসাবে রয়েছেন, বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটি) মোঃ কামরুজ্জামান৷

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম পুলিশের পোর্টালটির উদ্বোধন সংক্রান্ত নিউজে বেনজীরকে উদ্বৃত করে লিখেছে বলেন, নিউজ পোর্টালটির থাকবে পৃথক রিপোর্টিং টিম, যারা সবাই পুলিশের সদস্য৷ পুলিশ নিউজে সাংবাদিকতার গোল্ডেন রুলস অনুসরণ করে সংবাদ পরিবেশন করা হবে৷ পোর্টালে দেশ-বিদেশের সাম্প্রতিক নিউজ ছাড়াও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অর্জনগুলো দ্রুততম সময়ে তুলে ধরা হবে৷

অপর কনটেন্ট পার্টনার বাংলা ট্রিবিউন তাকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘প্রাথমিকভাবে বাংলায় নিউজ পোর্টালটি চালু হয়েছে৷ পরবর্তীতে আমরা ইংরেজি ভার্সন চালু করবো৷ মূলত পুলিশের অর্জনগুলো তুলে ধরা হবে এই পোর্টালে৷’

‘পুলিশ নিউজে মূলত পুলিশ সদস্যরাই নিউজ করবেন৷ পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে তাদের নিউজগুলো অনুমতি সাপেক্ষে ক্রেডিট দিয়ে ছাপানো হবে৷’

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

পত্রিকাটি উদ্বোধনের আগে একটি প্রেজেন্টেশন দেয়া হয়, সেখানে পত্রিকাটির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়, সরকারি বিদ্যমান নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে জনগণের কল্যাণকর নিউজসমূহ প্রচার করা, বাংলাদেশ পুলিশের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পুলিশ নিউজের মাধ্যমে তুলে ধরা, প্রো-একটিভ পুলিশিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নিউজসমূহ গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা, সাধারণ মানুষের জীবন ঘনিষ্ঠ সমস্যা এবং এর যুতসই সমাধানের কথা তুলে ধরা, বাংলাদেশের ক্রাইম নিউজের অন্যতম প্রধান নিউজ সাইট হিসাবে পরিণত করা, সাংবাদিকগণ যাতে সহজে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারেন, সে জন্য সুনির্দিষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে সুদৃঢ় মেলবন্ধন স্থাপন করা, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন, অর্জন ও অগ্রগতির খবরাখবর তুলে ধরা-প্রভৃতি৷

পুলিশ নিউজের সংবাদ সংগ্রহ প্রক্রিয়া

উপস্থাপনায় চারধাপের সংবাদ সংগ্রহ প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়৷

১. পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিট

পুলিশ নিউজের পক্ষ থেকে পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিট সমূহের সাথে যোগাযোগ করে, নিউজ ভ্যালু আছে, এমন সব নিউজসমূহ তুলে আনা হবে৷

২. বাংলাদেশের স্থানীয় গণমাধ্যমের সংবাদ

সাংবাদিকতার নীতি মেনে যথাযথ ক্রেডিট প্রদানের মাধ্যমে পুলিশ নিউজের পলিসির সাথে যায়, এমন স্থানীয় সংবাদসমূহ পুলিশ নিউজ প্রচার করবে৷ পুলিশ নিউজ যে সব স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে সংবাদ সংগ্রহ করবে, ওই সব গণমাধ্যম চাইলে যথাযথ ক্রেডিটসহ বিনামূল্যে পুলিশ নিউজের সংবাদ ব্যবহার করতে পারবে৷

৩. আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদ

পুলিশ নিউজ বিশ্বের উল্লেখযোগ্য নিউজ এজেন্সি ও গণমাধ্যমের সংবাদ সমূহ প্রচার করবে৷ এটা বলার সময় স্ক্রিনে একটি কম্বো ছবি দেখানো হয়, যেখানে রয়টার্স, এপি, এএফপি, সিনহুয়া, ডিপিএ, ইউএনআই, টিএএসএস, ইউপিআই, আইপিএস, পিটিআই, আইপিএস, আইআরএনএ প্রভৃতি সংস্থার লোগো ছিল৷

৪. রিপোর্টিং

পুলিশ নিউজের জন্য একটি নির্ধারিত রিপোর্টারদের টিম থাকবে৷ পুলিশ নিউজের সম্পাদকের অভিপ্রায় অনুযায়ী তারা বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করবে৷

এতে জানানো হয়, আপাতত news.police.gov.bd ঠিকানায় এই সংবাদ মাধ্যমটিকে পাওয়া যাবে৷ তবে শিগগিরই অ্যাপেও পাওয়া যাবে এটি৷

উপস্থাপনায় বলা হয়, সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতাকে যথাযথভাবে অনুসরণ করে স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের প্রথম শ্রেণির গণমাধ্যমে পরিণত হতে বদ্ধপরিকর পুলিশ নিউজ৷

‘এটা হবে পুলিশের অনলাইন নিউজ লেটার’

যোগাযোগ করা হলে গাজী টিভির প্রধান সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, অনলাইন নিউজ পেপার বলে নতুন মনে হচ্ছে৷ কিন্তু এটা নতুন না৷ এর আগেও পুলিশের ডিটেকটিভ বলে পুলিশের একটা মান্থলি ম্যাগাজিন ছিল৷ যেখানে অনেক ধরনের রিপোর্ট যেত৷ লেখা যেত৷ প্রবন্ধ যেত৷

‘‘আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, পুলিশের প্রধান যেহেতু বলেছেন, একটা অনলাইন পোর্টাল করবেন; পুলিশের নিউজ দেয়ার জন্য৷ আমরা এভাবে ভাবতে পারি, এটা আসলে পুলিশ বাহিনীর অনলাইন নিউজ লেটার হবে৷ সুতরাং এটাকে সেভাবে দেখা যেতে পারে৷ সাংবাদিকতা করবেন বলে যে কথাটা উনি বলেছেন, সেটা হলো হয়ত সাংবাদিকদের মত করে কিছু রিপোর্ট ওনারা দিতে চাচ্ছেন৷’’

ওরা সাংবাদিকতা করুক, এটাকে আমি মাথার মধ্যেও নিচ্ছি না: সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিন্তু আসলে উনারা সাংবাদিকতা করতে পারবেন না৷ সাংবাদিকতার যে মৌলিক জায়গাটা আছে, সেখানে হলো নায্যতার জায়গা, সেখানে অবজেক্টিভিটির জায়গা, সেখানে মানুষের কথা বলার জায়গাটা-সেটা আমার ধারণা, যারা পক্ষে বলছে আর যারা বিপক্ষে বলছে, তারা একটা ভুল প্রেক্ষাপট থেকে বলছে৷ আমি বিষয়টাকে দেখছি, পুলিশ বাহিনীর একটি অনলাইন নিউজ লেটার হিসাবে৷ আমি বিষয়টাকে দেখছি, পুলিশ বাহিনীর একটি অনলাইন নিউজ লেটার হিসাবে৷ এর বেশি কিছু আমি আপাতত ভাবতে পারছি না এবং ওরা সাংবাদিকতা করুক, এটাকে আমি মাথার মধ্যেও নিচ্ছি না৷

পুলিশ যে এটাকে বাংলাদেশের মূল ধারার সংবাদ মাধ্যম হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চান, সে বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, অতি উৎসাহ৷ এটা কখনো সম্ভব হবে না৷ জনগণ এটাকে গ্রহণও করবে না৷ যদি সেই প্রচেষ্টা নেয়া হয় এবং এটার ব্যাখ্যা দেয়া উচিত৷ পুলিশ বাহিনীর কাজ সাংবাদিকতা করা নয়৷ পুলিশ বাহিনীর কাজ সাংবাদিকতা করা নয়৷ পুলিশ বাহিনীর কাজ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা৷ সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার চেষ্টা করা৷ ওনাদের যে ম্যান্ডেট আছে, সেই ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ করা৷ সাংবাদিকতা করা ওনাদের কাজ না৷

‘পুলিশের বিনিয়োগ চলবে, সাংবাদিকতা নয়’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, সাংবাদিকতা কিন্তু একটা পেশা৷ স্বীকৃত যত পেশা আছে, ধরেন, ডাক্তার, আইনজীবী, প্রকৌশলী-সব জায়গায় তাদের পেশাগত কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷ যেমন, আমি আইনজীবী৷ বার কাউন্সিল বলে দিয়েছে, আমি ব্যবসা করতে পারবো না৷ যারা সরকারি চাকরি করে, সেখানে পেশাজীবীদের যে নিয়ন্ত্রণ, তার চেয়ে আরো কঠিন নিয়ন্ত্রণ৷ পেশাজীবীদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়, কয়েকটি বিধি দ্বারা৷ কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের বেলায় সুনির্দিষ্ট আইন আছে৷ সেখানে কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷ সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে আবার সিভিল কর্মচারীদের তুলনায় পুলিশ, আর্মির বাধ্যবাধকতা আরো অনেক বেশি৷

ত্রৈমাসিক বা ষান্মাসিক একটা ম্যাগাজিন বের করা আর একটা মিডিয়া পরিচালনা করা সম্পূর্ণ ভিন্ন: মনজিল মোরসেদ

তিনি বলেন, সেখানে তিনি অন্য একটি পেশা, যেমন সাংবাদিকতা, হোমিওপ্যাথি ডাক্তারি করা, দোকানদারি করা-এটার কোন সুযোগ নাই৷ পুলিশ প্রধান যে বক্তব্য দিয়েছেন যে, তাদের একটা ওয়েবসাইট তারা ওপেন করছেন৷ সেটা কিন্তু পুলিশের একটা ওয়েবসাইট আছে, সেখানে আমরা বিভিন্ন তথ্য পাই৷ সেই তথ্যগুলো সংগ্রহ করার সোর্স কিন্তু পুলিশই৷ কোথায় কোন আসামি গ্রেপ্তার হলো, কে বদলি হলো-সেটা তারা তাদের যে মিডিয়া থাকবে, ইউটিউব থাকবে, ফেইসবুক থাকবে, সেখানে তারা সেটা দিতে পারবে৷ কিন্তু যদি বলা হয়, পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তা সাংবাদিকতা করবেন, এটির আইনগত কোন সুযোগ নাই৷ যদি উনি সরকারি চাকরিতে বহাল থেকে থাকেন৷

মনজিল মোরসেদ বলেন, মাসিক, ত্রৈমাসিক পত্রিকা করতে কোন বাধা না থাকলে অনলাইন সংবাদপত্র করতে সমস্যা কোথায়-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ত্রৈমাসিক বা ষান্মাসিক একটা ম্যাগাজিন বের করা আর একটা মিডিয়া পরিচালনা করা-সম্পূর্ণ ভিন্ন৷

তিনি বলেন, পত্রিকা চালানো বা টিভি করার জন্য কোন সংস্থা ইনভেস্ট করতে পারে৷ কিন্তু সেখানে সরকারি চাকরি করা কেউ সাংবাদিক হিসাবে পারফর্ম করতে পারবেন না৷

পুলিশের কোন গণমাধ্যমে বিনিয়োগ করলে সেটা পরিচালনা করতে আলাদাভাবে লোক নিয়োগ করতে হবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি৷

‘পুলিশ মূলধারার সংবাদমাধ্যম করতে চাইলে চিন্তায় পড়বো’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন বলেন, পুলিশ বাহিনীর অনলাইন সাইট থাকতেই পারে৷ সেখানে তারা নিজেদের বাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেন৷ এমনকি তাদের কোন একটি অভিযান বা অপারেশান যে কারণে হচ্ছে, তার পুরোপুরি নিষ্পত্তি হলে, সে সম্পর্কে কেস স্টাডি দিতে পারেন৷ জনসেবামূলক বা সতর্কতামূলক তথ্য দিতে পারেন৷ এই ‘‘পোর্টাল তাদের জনসংযোগ মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে৷ এ কারণে তারা সাংবাদিকতার কলাকৌশল শিখতে পারেন, তাহলে তাদের প্রতিবেদন সুলিখিত ও সুউপস্থাপিত হবে৷”

তিনি বলেন, আমি খবরে আরও পড়লাম বাংলাদেশ পুলিশ অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘‘এরই অংশ হিসেবে এই নিউজ পোর্টাল৷’’ আমি এখানেও কোনোই সমস্যা দেখছি না৷ পুলিশের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এই নিউজ পোর্টালের লক্ষ্য হলে, সেটি অবশ্যই কাম্য৷

পোর্টাল তাদের জনসংযোগ মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে: ড. গীতি আরা নাসরীন

সাংবাদিকতা বিভাগের এই শিক্ষক বলেন, আমি তখনই শুধু চিন্তায় পড়বো,যদি পুলিশ বাহিনী একটি মূলধারার সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করতে চান, তবে তা অবশ্যই নিরাপত্তাবাহিনীর মূল দায়িত্ব এবং সংবাদমাধ্যমের মূল দায়িত্বের মধ্যে সাংঘর্ষিক৷ কেননা, সংবাদমাধ্যমকে কিন্তু রাষ্ট্রের চতুর্থ অঙ্গ ডাকা হয়৷ একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অঙ্গ তিনটি: আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগ৷ 

‘‘আর সংবাদমাধ্যম হলো চতুর্থ স্তম্ভ বা অঙ্গ৷ সংবাদমাধ্যম কে ওয়াচডগ বলা হয, কেননা সংবাদমাধ্যম কিন্তু এই অন্যান্য অঙ্গের ওপর নজরদারী করবে৷ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে যদি সংবাদমাধ্যম কাজ না করে, তবে সেখানে কোনো গণতন্ত্র আছে বলে বলা যাবে না৷ যেহেতু পুলিশ রাষ্ট্রের নির্বাহী অংশের অন্তর্ভুক্ত, এবং এই পোর্টালটির ঠিকানা দেখুন: নিউজ ডট পুলিশ ডট গভ ডট বিডি (news.police.gov.bd)৷ পুরোপুরি সরকারি একটা পোর্টাল৷ সুতরাং আমার মনে হয় না, এটি আমরা স্বাধীন সংবাদমাধ্যম বলতে আমরা যা বুঝি তা৷ একইভাবে যেমন ধরুন সরকারি কর্মকর্তা, কিম্বা বিচারকেরা যদি আলাদা করে সংবাদমাধ্যম চালু করেন, তা তাদের চালু করার কথা নয়৷ আমরা সবাই বুঝি৷’’

‘আইনগত বাধা মনে হয় নাই’

পুলিশ নিউজ বিষয়ে এর সম্পাদক ও প্রকাশক বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটি) মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ধরেন কুড়িগ্রাম জেলায় ১০জন ওয়ারেন্টের আসামি ধরল, ৫জন মাদকের আসামি ধরলো, ৬ কেজি গাজা ধরল, ৫০০ পিস ইয়াবা ধরল৷

‘‘এটার কোনটাই হয়ত রেগুলার মিডিয়াতে নাও আসতে পারে৷ সেটা যদি আমার নিউজ পোর্টালে তুলে ধরি৷ সেটাতো একটা মোটিভেশনাল ফ্যাক্টর৷ এর মাধ্যমে আমি যদি আমি আমার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়ে যেতে চাই, সেটাকেই আমি বলছি, একেবারে জনগণের দোরগোড়ায় পর্যন্ত আমরা পুলিশের সেবাকে আমরা পৌঁছে দিতে পারি৷’’

নিউজ মাধ্যমতো আমাদের আগে থেকে ছিলই: পুলিশ নিউজের সম্পাদক এআইজি মোঃ কামরুজ্জামান

এটা কি পুলিশের মুখপাত্র হবে নাকি এখানে যে খবরগুলো প্রকাশিত হবে-সেটা একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট…--প্রশ্ন করতে গেলে তিনি বলেন, আপনি কী বলতে চাচ্ছেন—এর আগে কি আপনার কোন পুলিশের সংবাদ মাধ্যম বা নিউজ প্রকাশের কোন মাধ্যম সম্পর্কে আপনার ধারণা কি ছিল না? অলরেডি আমাদের ৬৪ বছর পুরনো একটা পত্রিকা (ডিটেকটিভ) আছে৷ আপনি জানেন কি-না৷ বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো পত্রিকা৷ সেটাও কিন্তু একটা মাধ্যম৷ সেখানেও কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত সংবাদ প্রকাশ করে আসছি৷

এই পত্রিকার কী অবস্থা-জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ধারণা সেটা বাংলাদেশের অনলাইন যুগে কয়েকটি পত্রিকা যদি জীবিত থাকে, সেটার মধ্যে বেশ ভালো মত আছে ডিটেকটিভ পত্রিকা৷ সেটা মান্থলি সার্কুলেশন যথেষ্ট ভালো৷ ৬৪ বছর যাবত আমরা কিন্তু এই পত্রিকাকে চালিয়ে যাচ্ছি৷ সুনামের সাথে যথেষ্ট সাফল্যের সাথে এই পত্রিকা চলছে৷ আপনারা দেখেন লাস্ট ভার্সন অনলাইনে সার্চ দিলে পাবেন৷ ডিএমপি নিউজ-২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ৮ বছর যাবত এটা চলছে৷

‘‘ডিএমপি নিউজ ডিএমপিকে নিয়ে কাজ করছে৷ এর পরিধিকে বাড়ানোর জন্য আমরা পুলিশ নিউজ করেছি৷ আমরা যদি মনে করি, একটা সিএমপি নিউজ হলে ভালো হয়, সিএমপি যদি মনে করে, এটাতো কোন বাধা নাই৷ করতেই পারে৷’’

‘‘আপনি বললেন, কেন আমাদের একটা নিউজ মাধ্যম করার প্রয়োজন হলো, নিউজ মাধ্যমতো আমাদের আগে থেকে ছিলই৷ আছে এবং আরো বাড়তেও পারে৷ আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে, একটা পার্টিকুলার নিউজ যদি এসে থাকে, নিউজটা যদি আমাদের বাহিনীর স্লোগানের সাথে না যায়, আমার কর্মকাণ্ডের সাথে সাংঘর্ষিক হয়-তাহলে সেই নিউজটা নিয়ে আপনি বলতে পারেন৷ কিন্তু একটা পুলিশ নিউজ পোর্টাল কেন আসলো-এটা কি… এটা আসতেই তো পারে৷ আইনগত বাধা মনে হয় নাই৷’’