1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন পোলান্সকি

২১ অক্টোবর ২০০৯

‘বিটার মুন’ থেকে ‘পিয়ানিস্ট’, অসংখ্য মশালা ছবি করেছেন পোলানস্কি৷ তাঁকে জুরিখে গ্রেপ্তার করাটাও বেশ গোয়েন্দা গল্পের মত রোমাঞ্চময়. বলছে সংবাদসংস্থা এপি৷

https://p.dw.com/p/KBfg
পোলানস্কি এখন জেলবন্দীছবি: AP

রোমান পোলানস্কি৷ এই পোলিশ ফরাসি ফিল্ম ডাইরেক্টরের নাম বেশ পরিচিত আন্তর্জাতিক মহলে৷ তাঁর ছবি মানেই নারীপুরুষ সম্পর্কের এক অনাবিষ্কৃত দিক৷ কখনও বা রীতিমত রোমাঞ্চক সেইসব কাহিনী৷ অজানা মনস্তাত্বিক সব গলিঘুঁজিতে সেই কাহিনীর ঘোরাফেরা৷

সাতের দশকে এক নাবালিকা কিশোরীর সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্ক করে অ্যামেরিকা থেকে পালিয়ে যান পোলানস্কি৷ চলে আসেন আটলান্টিকের এপারে, ফ্রান্সে৷ যুক্তরাষ্ট্রে মামলা হয়, জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা৷ ততক্ষণে সাগর পেরিয়ে পালিয়েছেন তিনি৷ গোপনে৷

বহু বছর পর নাট্যমঞ্চে যবনিকা উঠেছে৷ সেই সেদিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, তিন দশক আগের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নতুন করে জারি করে নিয়ে, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ চলচ্চিত্র উত্সবে অ্যাওয়ার্ড নিতে বিমানবন্দরে পা দেওয়া মাত্র তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে মার্কিন পুলিশ৷ সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে অ্যামেরিকার বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে৷ তাই সেখানে গ্রেপ্তার করাটা সহজ৷ সুইস জেলে এখন বন্দী পোলানস্কি৷ অ্যামেরিকার হাতে তাঁকে তুলে দেওয়ার জন্য অপেক্ষায়৷

কিন্তু কী করে অ্যামেরিকা জানল যে তিনি সুইজারল্যান্ডে আসবেন ? সংবাদসংস্থা এপি

বলছে, সুইস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মার্কিন পুলিশের ইমেল চালাচালির যাবতীয় তথ্য তাদের হাতে৷ খবরটা মার্কিন গোয়েন্দাদপ্তরকে সুইজারল্যান্ডই প্রথমে দেয়৷ এরপরই নড়েচড়ে বসে মার্কিন আইন ও বিচারমন্ত্রক৷ খবর যায় পুলিশে৷ তড়িঘড়ি একদল মার্কিন পুলিশ সোজা জুরিখ বিমানবন্দরে পোলানস্কি আসার আগেই হাজির হয়ে যান৷ তাঁকে বা-কায়েদা গ্রেপ্তার করা হয়৷

পোলানস্কি এতসব ষড়যন্ত্রের কিছুই বিন্দুবিসর্গ খবর পান নি৷ তাঁকে একদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জুরিখ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কমিটি৷ আর অন্যদিকে তাঁরই জন্য ফাঁদ পাততে সাহায্য করেছে সুইস আইন ও বিচারমন্ত্রক৷ দেখা গেল, নিজের বহু ছবিতে রহস্য রোমাঞ্চ কাহিনীর দক্ষ সেলুলয়েডে বর্ণনা করা পরিচালক পোলানস্কি, বিজের ৭৬ বছরের জীবনে এই প্রথম মোক্ষম পা দিয়ে বসেছেন পুলিশের ফাঁদে৷

ইংরেজিতে একেই বলে ‘আয়রনি'৷

প্রতিবেদন-সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা- হোসাইন আব্দুল হাই