পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যার বিচারের দাবি পাঠকদের | পাঠক ভাবনা | DW | 11.11.2020
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যার বিচারের দাবি পাঠকদের

সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এ সম্পর্কে এক পাঠক মন্তব্য করেছেন, ‘মানসিক হাসপাতালের কর্মীরা আনিসুল করিমকে যেরকম নির্মমভাবে মারধর করেছে, সুস্থ কেউ সে দৃশ্য দেখলে সেও মারা যেতো৷’ 

বাংলাদেশের হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে  পাঠক এজাজ আহমেদ মিতুল ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘শুধুমাত্র সিএমএইচ ছাড়া বাংলাদেশের সরকারী বেসরকারী সব হাসপাতালেরই তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে৷ এখানে পয়সা, মামু, দল আর কে কার লোক এসবই চলে৷ এসব হাসপাতালে ভালো মানুষও অসুস্থ হয়ে যায়৷’ পাঠক মিতুলের সাথে পুরোপুরি একমত পাঠক জাকির হোসেনও৷ আর পাঠক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পাবনা মানসিক হাসপাতালে খোঁজ খবর নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে জানিয়েছেন, সেখানে চলে রমরমা ব্যবসা আর রোগীদের প্রতি অসহনীয় অত্যাচার! একই হাসপাতাল নিয়ে মাসুম রনি শিকদারের মন্তব্য, সেখানে যদি গোপন ক্যামেরা লাগানো যায় তাহলে বোঝা যাবে সেখানে চিকিৎসার নামে শারীরিক নির্যাতন করা হয়! এইচ এম খান পাপ্পুও মনে করেন বেশির ভাগ মানসিক চিকিৎসার ক্লিনিকগুলোতে সেবার নামে জবরদস্তির মাধ্যমে রোগীদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷

আর পাঠক মম প্রণয় ফেসবুক পাতায় তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এভাবে, আমার এই সোনার বাংলাদেশে যুবকেরা যা ইচ্ছা করবে তাতে কোন বাধা দেওয়া যাবে না৷ মানসিক রোগীদের এ দেশে বাঁচার কোন অধিকার নেই, মেধাবী ছাত্র বেচেঁ থাকার কোন অধিকার নেই৷

পাঠক সুমন কবির মানসিক হাসপাতাল সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ায় করেছেন, ‘আম্মাকে নিয়েছিলাম যশোর সদর হসপিটালে সেখানে প্রতিবার রোগী হুইল চেয়ারে উঠলেই একশো টাকা করে দিতে হয়৷ আপনাকে বেশি দূর যেতে হবে না ঢাকা মেডিকেল ইমারজেন্সি গেটে যান, দেখুন কি পরিমাণ ট্রলি কিন্তু টাকা না একটাও পাবেন না৷’

আনিসুর রহমানের মতে বাংলাদেশে মানসিক হাসপাতালের স্টাফদের মানসিক সুস্থতা আগে নিশ্চিত করা প্রয়োজন৷ বিথী আক্তার তার অভিজ্ঞতা জানালেন, এত অমানবিক আচরণ করেছে হাসপাতালের লোকেরা আমি তো অবাক ৷ খুব কষ্ট পেয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি৷ ডয়চে ভেলের পাঠক আবদুল আলি একটি সেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত৷ তিনি লিখেছেন, ‘রোগীর সেল্ফ কন্ট্রোল থাকে না বলেই তো তারা সেবা প্রতিষ্ঠানে আসেন৷ এক্ষেত্রে রোগীকে বুঝিয়ে, প্রয়োজনে মেডিকেশন দিয়ে শান্ত করতে হয়৷ তবে এরা যা করেছে তা চিকিৎসার পর্যায়েই পড়ে না, অবশ্যই এদের শাস্তি হওয়া উচিত৷’

পাঠক রবিন রহমান জানিয়েছেন, মাইন্ড এইড মানসিক হাসপাতালে মতো ঢাকা শহরে এমন বহু বেআইনি ব্যবসা চলছে৷ তিনি আগামীতে এই বিষয়টি নিয়ে ছবিসহ প্রতিবেদন করার অনুরোধ জানিয়েছেন ডয়চে ভেলেকে৷ 

কিন্তু একটি বিষয় পাঠক সাইদুল ইসলামের কাছে পরিস্কার নয়, তার প্রশ্ন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে, মাদকাসক্ত হাসপাতালে কেন ভর্তি হলেন? পাঠক নয়ন রহমানও এই-ই বিষয়টি জানতে চেয়েছেন৷

তাছাড়া পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন পাঠক মিতুল৷ বিচারের  দাবি আবদুল আলি, সাজ্জাদ হোসেনসহ অনেকের৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার 
সম্পাদনা: খালেদ মুহিউদ্দীন

নির্বাচিত প্রতিবেদন