‘পুরুষরা’ অন্যরকম কেন? জেনে নিন
সামান্য সর্দি-জ্বরে পুরুষরা এত কাবু হয় কেন? কেন পুরুষরা স্বাস্থ্য সম্পর্কে কম সচেতন? উত্তর যাই হোক, আমাদের সমাজে পুরুষদেরই কিন্তু ‘হিরো’ ভাবা হয়! নারী ও পুরুষের কি এই পার্থক্য? চলুন, বিশেষজ্ঞদের ধারণা জেনে নেয়া যাক৷
পুরুষদের মধ্যে সচেতনতা কম
বাইরে যাওয়ার সময় দেখবেন, বেশিরভাগ মেয়েই নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সাথে ছোট এক বোতল পানি নিয়ে নেন৷ অথচ পুরুষদের এমনটা বড় একটা করতে দেখা যায় না৷ এক্ষেত্রে সাইকোলজিস্ট ড. ভল্ফগাং ক্র্যুগারের কথা, ‘‘মেয়েরা আসলে স্বাস্থ্য সম্পর্কে বেশি সচেতন৷’’ তাঁর কথায়, পুরুষরা একমাত্র পিপাসা পেলেই নাকি পানি পান করেন, অন্যথায় নয়৷
হ্যান্ড ক্রিম
প্রায় প্রতিটি মেয়ের হাত ব্যাগেই হ্যান্ডক্রিম থাকে, হাতকে সবসময় কোমল ও সুন্দর রাখার জন্য৷ যা পুরুষরা সাধারণত কল্পনাও করতে পারেন না৷ তাঁদের কাছে রুক্ষ হাতই যে ‘পুরুষত্বের’ পরিচয়!
পুরুষরা একটুতেই কাবু!
নারীরা যেখানে শরীর খারাপ নিয়েও কর্মস্থলে যাবন, সেখানে পুরুষরা কিন্তু সামান্য সর্দি-জ্বরেই বিছানা নেন৷ সেই সঙ্গে তাঁরা চান সঙ্গিনীর সেবা আর মনোয়োগ৷ অথচ এই পুরুষদেরই কিনা ভাবা হয় শক্তিশালী লিঙ্গ! এক্ষেত্রে ক্র্যুগারের ব্যাখ্যা, ‘‘নারী এবং পুরুষের ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা ভিন্ন৷ কারণ একজন নারী ‘মা’ হওয়া বা শিশু জন্ম দেয়ার মতো কষ্টও সহ্য করে থাকেন৷
পুরুষদের শীত কম লাগার কারণ
মেয়েরা যখন শীতে মোটা সোয়েটার গায়ে দেয়, পুরুষদের জন্য তখন শুধু টি- শার্টই যথেষ্ট৷ কেন? এর কারণ জানান স্পোর্টস বিষয়ক ডাক্তার ইঙ্গো ফ্যোরব্যোসে৷ তাঁর কথায়, পুরুষদের শরীরের ৪০ ভাগই পেশী আর নারীদের মাত্র ২৫ ভাগ৷ এছাড়া নারীদের ওপরের ত্বক পুরুষদের ত্বকের চেয়ে প্রায় ১৫ ভাগ পাতলা৷ সে কারণে মেয়েদের শীত বেশি লাগাই স্বাভাবিক৷
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ
পুরুষ বন্ধুরা একে-অপরের সাথে দেখা করতে চাইলে, তাঁদের লেখার ভাষা হয় এরকম – ‘শনিবার ঠিক সাতটায় এসো’৷ এর উত্তর আসে – ‘ওকে’৷ ব্যাস এটুকুই৷ অন্যদিকে, বেশিরভাগক্ষেত্রেই মেয়েরা হাজারো প্রশ্ন করেন৷ ক্র্যুগার জানান, মেয়েরা কথা বেশি বলেন৷ কারণ কথা বলা মধ্য দিয়ে নারীরা তাঁদের অনুভূতি অন্যকে ‘ট্রান্সফার’ করে থাকেন৷
পুরুষদের শার্টের বোতাম উলটোদিকে কেন?
উলটোদিকে বোতাম লাগানো শুরু হয় পুরুষদের তরোয়াল দিয়ে যুদ্ধ করার সময় থেকে৷ কারণ সেভাবে শার্টের বোতাম ‘না’ লাগালে তরবারি বের করাই কঠিন হতো৷ জানান প্যারিসের ফ্যাশন এবং ডিজাইন মিউজিয়ামের পরিচালক অলিভার গাবেল৷