পুরান দিল্লির অলি-গলি-পাকস্থলী
পুরনো দিল্লি মানে শুধু ইতিহাস নয়৷ পেটপুজোও৷
সুতোর মতো রাস্তা
গরু দাঁড়ালে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা৷ গলি বললেও বেশি বলা হয়৷ এটাই পুরনো দিল্লি৷ গলি জুড়ে ছড়িয়ে আছে হরেক দোকান৷ খাবার থেকে শাড়ি-- সব পাওয়া যায় এখানে৷
শাহজাহানাবাদ
পুরান দিল্লির প্রেমে পড়েননি, এমন মানুষ নেই৷ মুঘল সম্রাট শাহজাহান এক সময় এই দিল্লির প্রেমে পড়েই নাম রেখেছিলেন শাহজাহানাবাদ৷ এখনও সেই ফলক জ্বল জ্বল করছে পুরান দিল্লির তস্য গলির ধারে৷
পরোটার নামে রাস্তা
পরোটাওয়ালি গলি পুরান দিল্লির সম্ভবত সব চেয়ে জনপ্রিয় রাস্তা৷ এই রাস্তাতে ঢুকলেই চোখে পড়বে একের পর এক পরোটার দোকান৷
হাজার কিসিমের পরোটা
এই সমস্ত দোকানে নানা রকমের পরোটা পাওয়া যায়৷ দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকেরা দিল্লি আসেন এই পরোটা গলির টানে৷
বিশিষ্টদের পরোটা
পরোটা গলির প্রতিটি দোকানই তৈরি হয়েছে উনিশ শতকে৷ দোকানের গায়ে বড় বড় করে লেখা আছে জন্মের বছর৷ আর আছে বিশিষ্টদের ছবি৷ খেলোয়াড় থেকে শিল্পী এমনকি, রাজনীতিবিদ-পরোটা গলিতে পা রাখেননি এমন মানুষ নেই৷ জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী সকলেই এসেছেন পরোটা খেতে৷ দোকানে দোকানে উজ্জ্বল সে সব ছবি৷
ওজনে পরোটা
দিল্লিতে পরোটা বিক্রি হয় ওজনে৷ এই সমস্ত শতাব্দী প্রাচীন দোকান শুধুই পরোটা বানায় দিনভর৷ হোলসেলে এখান থেকে ওজনে পরোটা কিনে নিয়ে যান অন্য দোকানদাররা৷
পরোটা থেকে কচুরি
পরোটা গলিকে যে কোনও সময় চ্যালেঞ্জ করতে পারে এই ঐতিহাসিক কচুরির দোকান৷ ১০০ বছরের পুরান এই দোকান দিনের কোনও সময় ফাঁকা থাকে না৷
কোর্মা কালিয়া
শুধুই কোর্মা পাওয়া যায় এই দোকানে৷ নানা কিসিমের কোর্মা৷ চেখে দেখে ফরমায়েশ করতে পারেন ক্রেতা৷
জ্যামজমাট
গলির ভিতর জ্যাম নেই, এমন দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হয়নি কারও৷ রিকশ, ঠেলা, মানুষ-- সব মিলিয়ে জমজমাট হয়ে থাকে পুরান দিল্লির গলি৷ অনেকে বলেন, এই সব গলি ঘুমোয় না৷ সারা দিন সারা রাত চলছে বিকিকিনি৷
গন্ধের গলি
শুধু খাবার নয়৷ পুরান দিল্লির গলি মানেই আতরের দোকান৷ বৃদ্ধ বিক্রেতা কেবল গন্ধ বিক্রি করেন না, গন্ধের গল্পও বলেন৷ প্রতিটা দোকান মন জিতে নেয় পর্যটকদের৷
বাড়ির অন্দরে
গোলাপের গন্ধ কোন সময়ে কেমন লাগে, তা জানতে হলে যেতে হবে বিশিষ্ট উর্দু কবি মির্জা গালিবের কাছে৷ পুরান দিল্লির প্রেমে পড়ে সেখানেই বাড়ি বানিয়েছিলেন গালিব৷
গালিব মিউজিয়াম
ছোট, কিন্তু দিল্লি এলে গালিব মিউজিয়াম দেখতেই হবে৷ পিলারে পিলারে গালিবের লেখা নবাবি দিল্লির কাহিনি শোনায়৷
রঙ-বেরঙ
পরোটা, কচুরি, আতরের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে রঙ৷ রঙ জাল দিয়ে কাপড়ে ডাই করা হবে৷ পুরান দিল্লির এও এক বহু পুরনো ব্যবসা৷ গলিতে গলিতে এমন দোকান৷
কুছ দে দে বাবা
আনন্দ আছে, পাশাপাশি রয়েছে মন খারাপ৷ পুরনো দিল্লি জুড়ে ছড়িয়ে ভিখিরির দল৷ নানা বয়সের মানুষ৷ চোখে আকুতি, পেটে খিদে৷
এক ঝাঁক ইচ্ছে ডানা
একই সঙ্গে আছে এমন প্রাণ খোলা আনন্দও৷ পুরান দিল্লির অলি গলিতে ঘুরতে ঘুরতে দেখা হবেই ওদের সঙ্গে৷
শেষ চুমুক
এক গ্লাস লেমোনেড৷ তাও ১৫০ বছরের পুরনো দোকানে৷