পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ির টিকে থাকার সংগ্রাম
ঘোড়ার গাড়ি ঢাকার প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য। একসময় এর ব্যাপক কদর ছিল। এখনো ঐতিহ্য আছে, তবে কদর নেই, চরম অনাদর-অবহেলায় চলছে টিকে থাকার লড়াই৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
আভিজাত্যের অতীত
একসময় রাজা-বাদশা, জমিদাররা নানান কাজে ব্যবহার করতেন ঘোড়ার গাড়ি। ষাটের দশকে শহর, গ্রাম-গঞ্জে সাধারণ মানুষের আওতায় চলে এলে বাহনটি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সত্তর দশকের মাঝামাঝি থেকে বিয়েসহ বিভিন্ন পারিবারিক, সামাজিক অনুষ্ঠানে ঘোড়ার গাড়ির ডাক পড়তে থাকে।
নবাবি আমল থেকে
ঢাকায় ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন নিয়ে মতভেদ রয়েছে। জনশ্রুতি আছে, ১৮৩০ সালে এই বাহনের যাত্রা শুরু হয়। তখন ছিল নবাবি শাসন। ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের একাংশ মনে করেন, ঢাকায় বসবাসকারী আর্মেনীয়রা ১৮৫৬ সালে ঢাকায় প্রথম এটি চালু করে। জানা যায়, ১৮৬৭ সালে ঢাকায় ঘোড়ার গাড়ি ছিল ৬০টি, ১৮৮৯ সালের দিকে তা বেড়ে ৬০০টি হয়ে যায়।
ঘোড়ার গাড়ির যত নাম
ঈদ, পহেলা বৈশাখ, পূজা-পার্বণ, উৎসব কিংবা অন্য কোনো বিশেষ দিবসে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘোড়ার গাড়ি এখনও চোখে পড়ে। এই বাহনটি ‘টমটম’ নামেই বেশি জনপ্রিয়। তবে একেবারে শুরুতে, অর্থাৎ ঢাকায় প্রচলন শুরুর সময়ে এটি ‘ঠিকা গাড়ি’ নামে পরিচিত ছিল। দুই চাকা ও একটি ঘোড়া দিয়ে চালানো বাহনকে ‘এক্কা গাড়ি’ ডাকা হয়। টাঙ্গাইল অঞ্চলে ঘোড়ার গাড়িকে বলা হতো ‘টাঙ্গা গাড়ি’।
গুলিস্তান টু সদরঘাট
খুব ছোট পরিসরে হলেও ঘোড়ার গাড়ি এখনও পুরান ঢাকার নিত্যদিনের বাহন। গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজারের সামনে থেকে সদরঘাট মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তায় চলাচল করে এগুলো। ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা। তবে ছুটির দিনে প্রত্যেক যাত্রীর ভাড়া হয়ে যায় ৫০ টাকা। বর্তমানে সদরঘাট-গুলিস্তান রুটে ১৫-২০টি ঘোড়ার গাড়ি চলে। ১০ বছর আগের তুলনায় সংখ্যাটা অনেক কম, ১০ বছর আগে এই রুটে চলতো ৮০ থেকে ১০০টির মতো টমটম।
বড় গাড়ি, বেশি যাত্রী
গাড়ির আকারের ওপর নির্ভর করে যাত্রীর সংখ্যা। সাধারণত চার চাকা ও দুই ঘোড়ার একেকটি টমটমের সামনে, মাঝে ও পেছনের আসন মিলিয়ে মোট ১২ জন যাত্রী বসানো যায়। ঘোড়ার গাড়ি চালান কোচোয়ান বা গাড়োয়ান। যাত্রী ডাকা, মালপত্র ও ভাড়া তোলার জন্য থাকে একজন সহযোগী (হেলপার)।
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ঘোড়ার গাড়ি। একেকটি গাড়ি প্রতিদিন সর্বোচ্চ ছয়বার সদরঘাট-গুলিস্তান রুটে যাওয়া-আসা করতে পারে। কোচোয়ান-হেলপারের পারিশ্রমিক ও ঘোড়ার খরচ বাদে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হয় ঘোড়ার গাড়ির মালিকদের।
গাড়ির দাম ১২ লাখ টাকা
যাত্রীদের নজর কাড়তে টমটমকে সাজানো হয় নানান সাজে। গত ১০-১২ বছর ধরে ময়ূরপঙ্খীর আদলের গাড়িই দেখা যায় বেশি। আজকাল অনেক ঘোড়ার গাড়িতে এসি, ওয়াইফাই, টিভি, সিসি ক্যামেরা, সাউন্ড সিস্টেমের মতো সুযোগ-সুবিধাও রাখেন কোনো কোনো মালিক। প্রাচীন বাহনে এমন আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়েছে নবাবী ডিজিটাল টমটম সার্ভিস। তাদের গাড়ির বাইরের অংশে রয়েছে ৫৫ ইঞ্চি টেলিভিশন ও ডিশ ক্যাবল। গাড়িটি তৈরিতে খরচ পড়েছে ১২ লাখ টাকা।
কম খেয়ে বেশি পরিশ্রম
ঘোড়াকে প্রতিদিন সকাল আর সন্ধ্যা এই দুই বেলা খেতে দেওয়া হয়। সাধারণত খাবারের তালিকায় থাকে ছোলা, ধানের কুড়া, ঘাস ও বিট লবণ মেশানো গম। পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাট থেকে এসব কিনে আনা হয়। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার ভুষি লাগে। দুটি ঘোড়ার জন্য একবস্তা ঘাস লাগে যার দাম ১০০ টাকা। ঘোড়ার গাড়ির মালিকরা বলেন, এসব পণ্যের দাম বাড়ায় খরচ অনেক বেড়েছে। ফলে এখন আর ঘোড়াকে তিন বেলা খাবার দেওয়া সম্ভব হয় না।
ফ্লাইওভারের আশ্রয়
ঘোড়ার কোনো আস্তাবল নেই, ঘোড়ার গাড়ির নেই নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ড৷ বঙ্গবাজারের একপাশে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নীচের জায়গাটা এখন অস্থায়ী আস্তাবল। সেখানেই সারিবদ্ধভাবে রাখা হয় ঘোড়া। তারা যেন সড়কে চলে না যায় সেজন্য দু’পাশ কাঁটাতারে ঘেরা।কোনো স্ট্যান্ড না থাকায় সড়কের পাশেই রাখতে হয় গাড়ি৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রেকার লাগিয়ে দিলে ধার করে হলেও ১২০০ টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে হয় ঘোড়া।
বিনামূল্যে প্রেসক্রিপশন, বেশি দামে ওষুধ
বঙ্গবাজারের উল্টো পাশে কেন্দ্রীয় পশু চিকিৎসা হাসপাতাল। হাসপাতালের ভেতরে প্রাণী রাখার জায়গাটা এখন গোডাউন ও মোটরসাইকেলের গ্যারেজ। ইমরান নামের একজন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পশু হাসপাতালের খালি জায়গাটা সিটি কর্পোরেশন বা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চাইলে আমাদের দিতে পারে। এখানে অসুস্থ ঘোড়া নিলেই দালালরা দেড়-দুই হাজার টাকা চেয়ে বসে। চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশন লিখেই খালাস, ওষুধ বেশি দামে বাইরে থেকে কিনতে হয়।’’
ছোট-বড় সবার প্রিয়
ঘোড়ার গায়ের রঙ, চোখ, খুর ও কেশর বিশেষ করে ছোটদের খুব আকৃষ্ট করে। ঘোড়ার টকাটক টকাটক শব্দ করে চলাও তাদের ভালো লাগে। নতুন প্রজন্মকে প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করাতে চান অনেক অভিভাবক, তাদের অনেকে ছোটদের নিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চড়েন।
যেখান থেকে আসে ঘোড়া
মোটামুটি পাঁচ ফুট উচ্চতার ভালো জাতের ঘোড়া কিনতে ৩০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লাগে। বেশির ভাগ ঘোড়া আনা হয় মানিকগঞ্জ থেকে।
অর্ধশত টমটম
ঢাকার মোট ৫০টি ঘোড়ার গাড়ির মধ্যে পুরান ঢাকায় রয়েছে ২৩টি, কামরাঙ্গীরচরে ২০টি, ধোলাইখালে চারটি ও যাত্রাবাড়িতে তিনটি। গাড়ি টানা ও পিঠে মানুষ তোলার ঘোড়া মিলিয়ে ঢাকায় মোট ২০০টির মতো ঘোড়া রয়েছে৷ একেকটি গাড়িতে দুটি ঘোড়া লাগলেও সবসময় অতিরিক্ত একটি ঘোড়া প্রস্তুত রাখা হয়। কোনো ঘোড়া ব্যথা পেলে বা অসুস্থ হয়ে পড়লে অতিরিক্ত ঘোড়াটি তখন গাড়ি টানে।
ঘোড়ার গাড়ি এবং রোমান্টিকতা
ঢাকাইয়াদের মধ্যে অনেকে এখনো বিয়ের সময় ঘোড়ার গাড়ি ভাড়া করেন। বিয়ের দিন ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে শ্বশুরবাড়ি যান কেউ কেউ। বিয়ে, গায়ে হলুদ, জন্মদিনের জন্য ফুল ও নানান রঙের ফিতা, রঙিন কাগজ দিয়ে সাজানো হয় ঘোড়া আর গাড়ি। কোনো অনুষ্ঠানের জন্য প্রতি গাড়ির জন্য ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা ভাড়া নেন মালিকরা।
ঢাকাই চলচ্চিত্রে
ঢাকাই চলচ্চিত্রে ঘোড়ার গাড়িকে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পে জমিদার বাড়ি বা চৌধুরী বাড়ির পটভূমি থাকলেই রুপালি পর্দায় এই বাহন ছিল অবধারিত। একসময় নিয়মিত বিভিন্ন ছবির চিত্রায়নে ব্যবহার হতো এটি। চলচ্চিত্রের সেই সোনালি দিন নেই। এখন মাঝে মধ্যে নাটক ও বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজে ঘোড়ার গাড়ি ভাড়া করা হয়। দৃশ্যধারণের জায়গা পুরান ঢাকার কাছাকাছি হলে ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা নেন মালিকরা।
আয়ের মৌসুম
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঘোড়ার গাড়ির চাহিদা বেশি থাকে। কারণ, সাধারণত এই সময়ে বিয়ে হয় বেশি। তখন ঘোড়ার গাড়ির জন্য স্থান, সময়ভেদে ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হয়। পুরান ঢাকার কাছাকাছি হলে ভাড়া কম। ঢাকার বাইরে থেকে ডাক এলে পিকআপে করে ঘোড়ার গাড়ি পাঠিয়ে দেন মালিকরা। তখন ভাড়াও নেওয়া হয় বেশি। বিভিন্ন জাতীয় দিবস আর রাজনৈতিক দলের শোভাযাত্রায়ও টমটমের ব্যবহার দেখা যায়।
দুই ধরনের গাড়ি
পুরান ঢাকায় লোহা ও স্টিলের তৈরি দুই ধরনের ঘোড়ার গাড়ি আছে। একেকটি গাড়ি বানাতে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। আর মোটামুটি মানের দুটি ঘোড়ার মূল্য এক লাখ টাকা। ফলে একটি ঘোড়ার গাড়ি তৈরিতে মোট দুই লাখ টাকা খরচ হয়। আর ভালো জাতের ঘোড়া কিনতে লাগে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। বঙ্গবাজার এলাকায় ঘোড়ার গাড়ি তৈরি হয়। শেরপুর থেকে আসে চাকা। অন্যান্য সরঞ্জাম ধোলাইখাল, নবাবপুর ও নয়াবাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়।
দিনভর পরিশ্রমের পর ৪০০ টাকা
উত্তরাধিকার সূত্রে কোচোয়ান বা গাড়োয়ানরা ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে পেশা বদলেছেন। কোচোয়ান ও সহযোগী মিলিয়ে পুরান ঢাকায় এখনও দেড়শ জনের রুটিরুজি এটাই। তারা সকালে ১০০ টাকা এবং দিনভর পরিশ্রম করে সন্ধ্যায় ফেরার পর ৩০০ টাকা পেয়ে থাকেন। প্রতিদিন গড়ে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা ভাড়া থেকে আসে। যদি ২৫০০ টাকা আয় হয় তাহলে কোচোয়ান বাড়তি ১০০ টাকা পায়। আয় অনুযায়ী পারিশ্রমিকও বাড়ে।
রাজসিক-ঐতিহ্য
ঢাকার ৪০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঘোড়ার গাড়ির ঐতিহ্য তুলে ধরে ‘রাজসিক’ নামে একটি ভাস্কর্য গড়ে তোলা হয়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের এ ভাস্কর্যটির নকশা করেছেন মৃণাল হক। এতে নবাব সলিমুল্লাহকে তার স্ত্রী, ছেলে ও পেয়াদাকে ঘোড়ার গাড়িতে দেখা যায়। রাজশাহীতে বহরমপুর বাইপাস মোড়ে একটি ঘোড়ার গাড়ির ভাস্কর্য আছে। সেই ভাস্কর্যের কারণে ওই জায়গার নাম হয়েছে ‘ঐতিহ্য চত্বর’।
পুষ্টি ও পরিচর্যার অভাব
দিনভর পরিশ্রম করতে হয় বলে গাড়ি টানা ঘোড়ার সমস্ত অবয়ব জুড়েই চোখে পড়ে ক্লান্তির ছাপ৷ মাথা নীচু করে চলে তারা। কেন্দ্রীয় পশু চিকিৎসা হাসপাতালের পরিচালক শফিউল আহাদ সরদার বললেন, পর্যাপ্ত খাবার ও পুষ্টির অভাব, উপযুক্ত বাসস্থান ও যথাযথ পরিচর্যার ব্যবস্থা না থাকায় ঢাকার ঘোড়াগুলো ভগ্ন স্বাস্থ্যের।
সংক্ষিপ্ত জীবন
পাকা রাস্তায় চলতে হয় বলে ঢাকার এসব ঘোড়ার পায়ের খুর দ্রুত ক্ষয়ে যায়। ক্ষয় ঠেকাতে খুরের সঙ্গে লোহার এক ধরনের খাপ লাগিয়ে দেয়া হয়। গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘোড়ার নাকে পরানো হয় রশি। এর ফলে কোচোয়ান যেদিকে টানে সেদিকেই দৌড়াতে বাধ্য হয় ঘোড়া। পিঠে মানুষ বহন করা ঘোড়ার গড় আয়ু ৪০ বছরের মতো। কিন্তু কেন্দ্রীয় পশু চিকিৎসা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঢাকার গাড়ি টানা ঘোড়া গড়ে মাত্র ১৬ থেকে ১৮ বছর বাঁচে।
না খেয়ে মরে ঋণগ্রস্ত মালিকের ঘোড়া
ঘোড়ার গাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলী ভান্ডারী একসময় মাছের ব্যবসা করতেন। ছেলের শখ পূরণ করতে চলে আসেন ঘোড়ার গাড়ির ব্যবসায়। ডয়চে ভেলেকে তিনি শোনালেন হতাশার কথা। করোনার কারণে অনেক দিন বন্ধ ছিল টমটম। কোনো আয় ছিল না। তখন কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি ঘোড়ার গাড়ির মালিকরা। চাহিদামতো খাবার দিতে না পারায় বেশকিছু ঘোড়া মারা গেছে তখন। অনেক মালিকের মাথার ওপর এখন দুই-তিন লাখ টাকার ঋণের বোঝা।
রাষ্ট্রীয় প্রণোদনার আশা
অনেকে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবসায় এসেছেন পূর্ব পুরুষদের অনুসরণ করে৷ তবে কেউ কেউ শখের বশেও জড়িয়েছেন এই ব্যবসায়৷ টুকু রাজা তাদেরই একজন। এই ব্যবসায় ২৩ বছর কেটে গেছে তার। পুরান ঢাকার এই বাসিন্দা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ঘোড়ার গাড়িকে টিকিয়ে রাখতে চাই রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা ও প্রতিটি ঘোড়ার বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা। আমাদের শেঁকড়ের এই ঐতিহ্য হারিয়ে গেলে অনেকের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে, দেশের সুনামও নষ্ট হবে।’’