1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুরসভা নির্বাচন: তৃণমূলের ১০২, প্রাসঙ্গিক হলো বাম

২ মার্চ ২০২২

১০৮টি পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়। তবে চিন্তার ভাঁজ ফেলল বাম এবং পাহাড়ের হামরো পার্টি। 

https://p.dw.com/p/47swO
পুরভোটে তৃণমূলের জয়জয়াকার। ছবি: Subrata Goswami/DW

১০৮টি পুর নির্বাচনে খাতা খুলল বামেদের। তাহেরপুর পুরসভা দীর্ঘদিন পর বামেদের দখলে গেল। জয় পেল দার্জিলিংয়ে নবগঠিত হামরো পার্টিও। তবে কংগ্রেস এবং বিজেপির ভাগ্যে শিঁকে ছেড়েনি। নিজের গড় বহরমপুরে বিপুল ভোটে হেরেছেন অধীর চৌধুরী। শুভেন্দু অধিকারীর খাস তালুক কাঁথিতে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। তৃণমূল পেয়েছে ১০২টি পুরসভা। চারটি পুরসভা ত্রিশঙ্কু।

পুর নির্বাচনে তৃণমূল যে বিপুল ভোটে জিতবে, তা মোটামুটি ধরেই নেওয়া গেছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনে তাদের বিপুল জয় রাস্তা তৈরি করেই রেখেছিল। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরভোটে ব্যাপক কারচুপি করেছে শাসক দল। বুথ দখল, রিগিং-- সব অভিযোগই তাদের বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু তারপরেও সব পুরসভার জয় পেল না তৃণমূল। ১০২ টি পুরসভা দখল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।

অন্যদিকে গত ১০ বছরে বাম এবং কংগ্রেসের ভোট শতাংশ ক্রমশ কমেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে দুইটি দল একটিও আসন জিততে পারেনি। সেই বামেরাই পুরভোটে খানিকটা হলেও ঘুরে দাঁড়াল। ভোট বিশেষজ্ঞরাও আশা করেননি, তাহেরপুর বামেরা দখল করতে পারবে। ফলে বামেদের একটি পুরসভা পাওয়া রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। তবে বামেরা সামান্য ঘুরে দাঁড়ালেও কংগ্রেসের আরো ভরাডুবি হয়েছে। একসময় গোটা মুর্শিদাবাদেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিল কংগ্রেস। সাম্প্রতিককালেও বহরমপুরের অলিখিত নবাব হিসেবে দেখা হতো কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে। সেই অধীর-ম্যাজিকও শেষরক্ষা করতে পারল না। বহরমপুরে বিপুল ভোটে হেরেছে কংগ্রেস।

অভূতপূর্ব ফল পেয়েছে পাহাড়ে সদ্যগঠিত হামরো পার্টিও। দার্জিলিং পুরসভা তারা দখল করে নিয়েছে। বিমল গুরুং বিরোধী এই দল পাহাড়ে এখন অত্যন্ত জনপ্রিয়। তৃণমূলের সঙ্গেও তাদের যথেষ্ট দূরত্ব।

এদিন সব মিলিয়ে ২২৭৪টি ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ১৯৪৭টি। বামেরা জিতেছে ৬৪টি, বিজেপি ৬২টি এবং কংগ্রেস ৬০টি আসন। তবে তৃণমূল পুরবোর্ড গঠন করবে ১০২টি পুরসভায়। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি পুরসভা কার্যত বিরোধীশূন্য।

তৃণমূল বিপুল ভোট পেলেও যেভাবে বামেরা এবং হামরো পার্টি বোর্ড গঠনের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, তা দলের হাইকম্যান্ডে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। তবে এই নির্বাচনে আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেল, বিজেপির ভোট ক্রমশ কমছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, নির্বাচন কমিশন)