পুরনো, বিরল শস্য ফিরিয়ে আনছেন তাঁরা
অতীতে ফলানো হতো এমন অনেক শস্য আছে যেগুলোর চাষ এখন আর তেমন হয় না৷ তবে অস্ট্রিয়ার এক সংগঠন সেগুলো বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে৷
সংগঠন প্রতিষ্ঠা
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে এক ঘণ্টার পথ পেরোলেই সুন্দর গ্রাম শিল্টেয়ার্ন৷ সেই গ্রামেই বাগান গড়ে তুলেছে ‘আর্শে নোয়া’৷ ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের লক্ষ্য, শস্যের বৈচিত্র্যতা ধরে রাখতে এবং পুরনো জাতের শস্য নতুন করে ফলাতে মানুষজনকে উৎসাহী করে তোলা৷
হারিয়ে যাওয়া শস্য
বিশ্বায়ন ও কৃষিখাতে শিল্পায়নের কারণে গত শতকে শস্যের অনেক জাত হারিয়ে গেছে৷ আর্শে নোয়া’র হিসেবে, সংখ্যাটি প্রায় ৭৫ শতাংশ৷ ছবিতে এয়ারফুর্ট নামের একটি বিট দেখতে পাচ্ছেন৷ এটি খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে চাষ হওয়া সাদা রংয়ের বিটের উত্তরসূরি৷
টমেটোর রকম
আর্শে নোয়া বলছে, বিশ্বে প্রায় চার হাজার ৮০০ জাতের শস্য আছে৷ তবে এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ জমিতে মাত্র ১০০ জাতের শস্যের চাষ হয়৷ তাই অন্য জাত টিকিয়ে রাখতে সেগুলো সংগ্রহ করছে আর্শে নোয়া৷ ইতিমধ্যে তারা ৬২০ ধরনের টমেটো সংগ্রহ করেছে৷ ছবিতে তার কিছু দেখতে পাচ্ছেন৷
হুমকি
শস্যের বৈচিত্র্যতার ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে উঠেছে বীজ বাণিজ্যে একচ্ছত্রতা ও জিনতত্ত্ব৷ ছবিতে রাশিয়ার শসা দেখতে পাচ্ছেন, যা ইউরোপে এসেছিল উনিশ শতকের শেষে৷ এই শস্য অনেক ঠান্ডা সহ্য করতে পারে৷
উৎসাহ প্রদান
বাগানের সবজি চেখে দেখার জন্য আছে রেস্তোরাঁ৷ এর মাধ্যমে আর্শে নোয়া বিরল প্রজাতির সবজি ও ফলের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে৷
শস্যের উন্নয়ন
শুধু বিরল জাতের শস্য ফলানোই নয়, সেসব সবজিকে আরো উন্নত করারও চেষ্টা করে আর্শে নোয়া৷ যেমন ছবির এই লাল বিট৷ এই সবজির স্বাদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সংগঠনটি৷
রোগের বিরুদ্ধে লড়াই
ছবির এই সবজিটি ভিটামিন সি-তে ভরপুর৷ ইউরোপ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে এটি এসেছে৷ রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকে এটি ‘হার্বা রোমানা’ নামে চাষ হয়ে আসছে৷ আর্শে নোয়ার বিশ্বাস, সবজি ও ফলের যদি বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলা যায়, তাহলে নতুন রোগ প্রতিরোধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করতে সুবিধা হবে৷